পাইলস এর লক্ষণ - পাইলস এর চিকিৎসা

অনেকেই জানেন না পাইলস এর লক্ষণ কি কি। আজ আমরা আলোচনা করব পাইলস এর লক্ষণ এবং পাইলসের চিকিৎসা নিয়ে। আমাদের পাঠকদের মধ্য থেকে অনেকেই আছেন যারা পাইলস এর লক্ষণ এবং পাইলস এর আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান। মলদ্বারের সিরাপ ফুলে যাওয়া অথবা এ সম্বন্ধিত বিভিন্ন রোগ কেই পাইলস বলে। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসি পাইলস এর লক্ষণ গুলো। 
পাইলস এর লক্ষণ - পাইলস এর চিকিৎসা
আজ এই আর্টিকেলে আপনারা পাইলস এর লক্ষণ পাইলসের চিকিৎসা পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় সম্পর্কিত যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিস্তারিত জানতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে পাইলস এর লক্ষণ সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। পাইলস এর লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে  আমাদের সঙ্গেই থাকুন শেষ পর্যন্ত।

পেজ সূচিপত্রঃ পাইলস এর লক্ষণ - পাইলস এর চিকিৎসা

ভূমিকা

আজকে আমরা আলোচনা করতে চলেছি পায়েসের লক্ষণ পাইলসের চিকিৎসা সম্পর্কে। আমাদের পাঠকদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা দীর্ঘদিন যাবত পাইলস নিয়ে চিন্তিত। বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেলে কিভাবে পাইলস সারানো যায় কোন কোন খাবারের কারণে পাইলস বৃদ্ধি পায় ।

পাইলসে আক্রান্ত হলে কোন কোন পদক্ষেপ অনুসরণ করতে। প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকবেন এবং এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি নিজে সতর্ক হবেন এবং নিচে উল্লেখিত নিয়ম গুলো অনুসরণ করে পাইস থেকে মুক্তি পাবেন।

পাইলস হলে কি কি সমস্যা হয়

মলত্যাগের সময় যদি অতিরিক্ত ব্যথা সৃষ্টি হয় মলদ্বারে এবং অস্বস্তি হয় তাই সে ক্ষেত্রে এটি পাইলসের ইঙ্গিত বলে ধরে নেওয়া হয়। এছাড়া অনেক দিন ধরে যদি এ সমস্যা থেকে যায় এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা না নেওয়া হয় সেক্ষেত্রে রক্তপাত হতে পারে। এই সমস্যাগুলো থেকে যদি রক্তপাত শুরু হয় অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে এমনকি এমনিয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এই সমস্যাগুলোকে পাইলসের সমস্যা বলেই বিবেচনা করা হয়। অনেক রোগী আছেন যারা বুঝতে পারার পরেও সঠিক সময়ে পাইলসের চিকিৎসা করে না। সামাজিক বিভিন্ন জটিলতা ও লজ্জার কারণে এই রোগের চিকিৎসা করেন না অনেকেই। কিন্তু রোগের কাছে যেহেতু কাছে যেহেতু লজ্জার কোন স্থান নেই। এই জন্য এ রোগের আক্রান্ত বুঝতে পারার সাথে সাথে অবশ্যই চিকিৎসা শুরু করে দেয়া উচিত। 

তবে এর রোগে আক্রান্ত বুঝতে পারার পরে ঘরোয়া কিছু উপায় অনুসরণের মাধ্যমে এ রোগ সারিয়ে তোলা সম্ভব। সর্বপ্রথম এমন একটি পাত্র নিতে হবে যেটা টয়লেট সিটে বসানো যায় এরপরে হালকা কুসুম গরম জল নিতে হবে এবং তাতে মেশাতে হবে  এপসম লবণ।এরপরে জলের পাত্র কাছাকাছি মলদা রাখতে হবে এতে অনেকটাই রেহাই মিলবে ব্যাথা থেকে। 

এই পদ্ধতি অনেক প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে ব্যথা নাশ করার জন্য মলদ্বারের। তবে যদি আপনার বাসায় বাত টব থাকে তাহলে এই লবণ জলে মিশিয়ে বাত টবে গোসল করতে পারেন।

পাইলস থেকে কি ক্যান্সার হয়

যেসব রোগে আক্রান্ত হলে মলত্যাগের সময় রক্ত বের হয় সে সকল রোগের মধ্যে ক্যান্সার একটি। যে সকল রোগে আক্রান্ত হলে মল এর সঙ্গে রক্ত বের হয় সেই রোগগুলো হলঃ
  • এনাল ফিসার
  • আলসারেটিভ কেলোইটিস
  • পাইলস
  • ক্যান্সার
  • রেকটাল পলিপ (এই রোগ বাচ্চাদের বেশিভাগ ক্ষেত্রে হয়ে থাকে)
পাইলসের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের রক্তপাত হতে পারে এর মধ্যে একটি হলো মল ত্যাগের সময় রক্তপাত হওয়া। অনেক সময় মলত্যাগের সময় ফোটা ফোটা রক্ত পড়া। মলের সঙ্গে রক্ত লেগে থাকা। রক্তের রং কালো তে রুপান্তরিত হওয়া।

পাইলস এর লক্ষণ

অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে পাইলস বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। একজন মানুষের পাইলসের সিম্পটমস এর সাথে আরেকজন মানুষের পাইলসের সিমটম মিলতে নাও পারে। পাইলসের লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম কিছু লক্ষণ নিচে দেওয়া হলঃ মলত্যাগের সময় তরল বা শক্ত মল বের হওয়া। প্রতিদিনের খাবারে ফাইবার জাতীয় খাদ্য গুণ কম থাকা বা ফাইবার জাতীয় খাদ্য না খাওয়া। লিভারের রোগ বা রক্তচাপ বৃদ্ধি করে এমন খাবার খাওয়া।
যদি পারিবারিক পাইলসের ইতিহাস থেকে থাকে তাহলে এ সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে ডায়রিয়া তে আক্রান্ত হলে পাইলস এর মত সমস্যা হতে পারে। কোন ভারী বস্তু তোলার সময় যদি পায়ুপথে নিয়মিত চাপ পড়ে সে ক্ষেত্রে পাইলস হতে পারে। শারীরিক বিভিন্ন অনিয়মের কারণে রেক্টাল ক্যান্সারের সৃষ্টি হতে পারে। ওজন বৃদ্ধি পাইলস এর লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম।

বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় পাইলস হলে তবে দীর্ঘদিন ধরে হাঁচি-কাশি বা বমি বমি ভাবে ভুগলে এ সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। খাদ্যে ফাইবার না থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা সৃষ্টি হয় যার কারণে মলত্যাগের সময় অনেক চাপ সৃষ্টি হয়। পায়ুপথের অংশে যদি যৌন সঙ্গমের অভ্যাস থেকে থাকে সেক্ষেত্রে এটি পাইলসের সৃষ্টি করতে পারে।

মলদ্বারের বিভিন্ন রোগ ও বা অন্ত্রের রোগের কারণেও পাইলস সৃষ্টি হয়। কোন ব্যক্তি পাইলসে আক্রান্ত হলে সাধারণত ইনফেক্টেড স্থানে চুলকানি এবং রক্তক্ষরণের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া মলদ্বারের নিচের অংশ গোল আকারে ফুলে ওঠার মত সমস্যা রয়েছে। তবে যেকোনো সময় যেকোনো ভাবে রক্তপাত হতে পারে ইনফেক্টেড স্থান থেকে এবং এটি খুবই অস্বস্তিকর এবং প্রচন্ড যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে।
যেসব ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছে তাদের পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় এছাড়া যাদের মলত্যাগের সময় বেগআটকে রাখার অভ্যাস রয়েছে তারা এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন সবচেয়ে বেশি।

পাইলস এর চিকিৎসা

পাইলস সংক্রান্ত কোনো রোগে আক্রান্ত হলে অনেকে আছেন যারা পারিপার্শ্বিক কথা চিন্তা করে এ রোগকে চেপে রাখেন যার ফলে এ রোগ আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে। তবে এ রোগে আক্রান্ত হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী। বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে এ রোগের ট্রিটমেন্ট শুরু করে থাকেন।

এ রোগের পরীক্ষার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এন্ডোস্কপি পরীক্ষা। পাইলস এ আক্রান্ত হলে প্রথম পর্যায়ে কিছু মলম ইনজেকশন ও রাবার ব্যান্ড লাগানোর সাহায্যে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এ রোগের মাত্রা পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকে এজন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে এবং একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে অনেক ক্ষেত্রে এরও পুনরায় ফিরে আসে যদি নিয়ম তান্ত্রিকভাবে জীবনযাপন না করা হয়।

লেজার সার্জারির মাধ্যমে পায়ের চিকিৎসা হচ্ছে এই কথাটি মোটেও সঠিক নয় তবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত লিডার্স সার্জারির মাধ্যমে পায়ের চিকিৎসায় তেমন কোন বেনিফিট পাওয়া যায় না। তবে কয়েক ধরনের অপারেশন রয়েছে রিং লাইগেশন এবং রং লংগ অপারেশনের মাধ্যমে ১০০% রোগীর মলদ্বারের কোন কাটা ছেঁড়া ছাড়াই চিকিৎসা করা সম্ভব।

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

অনেকেই আছেন যারা মাংস খেতে খুব ভালোবাসেন এতে কোন সমস্যা নেই তবে পাইলস এ আক্রান্ত রোগীর বেশি মাংস খেলে হবে না কারণ এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। এবং এই সমস্যা থেকে বাড়তে পারে পাইলসের সমস্যা যার কারণে ফাইলসে আক্রান্ত হলে মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে একেবারে বাদ দেওয়ার পরিবর্তে খুবই সামান্য পরিমাণে খেতে পারেন।

তবে প্রোটিনের ভালো উৎস হলো ডিম শরীরে প্রোটিনযুক্ত খাদ্য প্রবেশ করানোর জন্য নিয়মিত ডিম খেতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই। পায়েসে আক্রান্ত অবস্থায় মাছ ডিম খাওয়া যাবে তবে চিকেন মাটন থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে তাহলেই এই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে সক্ষম হবে না হলে পাইলসের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকে সেক্ষেত্রে মল নরম হয় এবং অনায়াসে বের হয়ে যায় শরীর থেকে। এই জন্য শরীরের উপকারের পাশাপাশি পাইলসের সমস্যা খুব দ্রুত সারাতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে প্রতিদিন। অনেকেই আছে শীতকালে খুবই সীমিত পরিমাণ জল পান করে।

শীতকালে পাইলসে আক্রান্ত রোগীর সর্বনিম্ন তিন থেকে চার লিটার পানি পুরো দিনে পান করতে হবে তাহলেই শরীর ভালো থাকবে এবং আস্তে আস্তে রোগ সেরে যাবে।

পাইলস হলে কি কি খাওয়া যাবে না

পাইলস হলে সাধারণত ঢেঁকি ছাটা চাল লাল আটা শস্যজাতীয় খাদ্য এবং বিভিন্ন ধরনের ডাল কখনোই খাওয়া যাবে। শরীরে তরল পানি ওর পরিমাণ বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এছাড়া ভাজাপোড়া জাতীয় খাদ্য থেকে নিজেকে সবসময় ধরে রাখতে হবে। পাইলসে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে ভাজাপোড়া দ্রব্য পয়জন সমতুল্য।

তবে ভাজাপোড়া খাদ্যের পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের ফলের রস জুস ও টক দই খেতে পারেন। পাইলসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে রাতে লাল আটার রুটি খেতে পারেন এছাড়া কলা খেজুর কিসমিস আলুবোখারা আপেল বার্লি মিষ্টি আলু খেতে পারেন এটি পাইলস ও অর্শের বিরুদ্ধে কাজ করে। চেষ্টা করতে হবে ফাইবার সমৃদ্ধ বিভিন্ন শাকসবজি এবং ফল খাওয়ার এতে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা হবে এবং অন্তরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ হোমিওপ্যাথি

পাইলস এর চিকিৎসার ঔষধ হোমিওপ্যাথিতে বিভিন্ন ধরনের রয়েছে। এছাড়া প্রথম ধাপে এ রোগের উপসর্গ এবং বিভিন্ন ধাপ অনুসারে চিকিৎসকেরা এ রোগের ঔষধ দিয়ে থাকেন। তৃতীয় ধাপে কিছু রেপার্টরি থেকে রুবিক নিয়ে রোগীর সর্বদ্রিক অবস্থার বিশ্লেষণ করে এ রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।
তৃতীয় ধাপে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গের উপর ভিত্তি করে রোগকে আস্তে আস্তে নিস্তেজ করার জন্য ধাপে ধাপে ঔষধ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে রোগীর শরীরে। বিশেষজ্ঞদের মতে পাইলস একটি মারাত্মক রোগ এটি সারানোর জন্য নিজে নিজে ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ সারিয়ে তুলতে হবে।

পাইলস এর আয়ুর্বেদিক ওষুধ

বিজ্ঞানীদের মতে সঠিক নিয়ম মেনে জীবন যাপন করলে এ রোগ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব এবং প্রতিদিনের নিয়মে অবশ্যই পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে রোজকার খাবারের ফাইবারযুক্ত সবজি ফলমূল রাখতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের মতে এর পাইলসে আক্রান্ত রোগীর কখনোই রেডমি বা বেশি ফ্যাট যুক্ত খাদ্য ও কড়া মসলা ফাস্টফুড এবং ভাজাপোড়া খাদ্য খাওয়া যাবে না।

পাঁচ আয়ুর্বেদিক পদ্ধতির মাধ্যমে পাইলসের গুরুতর উপসর্গ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চিকিৎসকের মতে যদি এর থেকে দ্রুত রেহাই পেতে হয় সেক্ষেত্রে এক কাপ কুসুম গরম দুধের সঙ্গে এক চা চামচ দেশী গরুর ঘি মিশিয়ে প্রতি দিন রাতে সেবন করতে হবে। নিয়মিত এটির মাধ্যমে অন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং হেমারয়েড পায়েলস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

পাইলস হলে কি গরুর মাংস খাওয়া যাবে 

ময়দা দিয়ে বানানো যে কোনো খাবারে একদম সীমিত পরিমাণে ফাইবার বিদ্যমান থাকে যা পরবর্তীতে পাইলসে আক্রান্ত রোগীর সমস্যা সৃষ্টি করে। তবে এক্ষেত্রে আটা দিয়ে তৈরিকৃত খাদ্য খেতে পারেন এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বিদ্যমান থাকে এবং পাইলস এ আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে এটি নিরাপদ।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাছ ও ডিম খাওয়ার ফলে পাইলসের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মাছ ও ডিম খাওয়া যেতে পারে তবে অতিরিক্ত সমস্যা সৃষ্টি হলে এটা থেকে বিরত থাকা উত্তম। অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড ও ভাজাপোড়া খাবার এবং তেল যুক্ত খাবারের ফলে শরীরে বিরাট বড় পানির ঘাটতি দেখা দেয় যার ফলে আমাদের মল শক্ত হয়ে যায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা সৃষ্টি হয়।
এর কারণে পাইলস মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এজন্য অবশ্যই এ ধরনের খাদ্য থেকে বিরত থাকতে হবে। পাইলসে আক্রান্ত হলে রেডমিট জাতীয় মাংস খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচিত বিশেষ করে গরুর মাংস খেলে এটি মারাত্মক ও আকার ধারণ করে কারণ এটি শরীরের পাচন ক্রিয়া এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যায় যার ফলে মল শক্ত হয়ে যায় এবং পাইলসের সমস্যা বেড়ে যায় এক্ষেত্রে হোয়াইটমেট ও মুরগির মাংস খাওয়া যেতে পারে তবে খুবই সীমিত পরিমানে।

পাইলস হলে কি মানুষ মারা যায়

গরম গরম ভাজা যে কোন খাদ্য অনেকেরই মুখরোচক এবং আনন্দের কারণ হয়ে ওঠে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে অতিরিক্ত ভাজা খাদ্য গ্রহণের ফলে পাইলসের মতো সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং এ ধরনের ভাজা তৈরিতে দূষিত তেল এবং অনেক মসলা ব্যবহার করা হয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য প্রচন্ড পরিমাণে ক্ষতিকর। এইজন্য পাইলসে আক্রান্ত রোগীর সম্পূর্ণ ভাজা খাদ্য খাওয়া নিষেধ। অপরদিকে মদ শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

গবেষকরা বলেন এই মদ সেবনের ফলে অন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তার মধ্যে একটি হল সঠিকভাবে হজম না হওয়া। এক্ষেত্রে নিয়মিত পান করলে পাইলস এর মত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে আর যাদের পাইলস রয়েছে এবং তারপরে মদ্যপান করেন তাদের পাইলসের সমস্যার জটিল আকার ধারণ করতে পারে এই মদপানের কারণে।

শেষ কথাঃ পাইলস এর লক্ষণ - পাইলস এর চিকিৎসা

প্রিয় পাঠক আজ আমরা পাইলস এর লক্ষণ নিয়ে একটি আর্টিকেল তৈরি করেছি। আমাদের এই আর্টিকেলটিতে পাইলস এর লক্ষণ এবং পাইলস এর চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বিস্তারিতভাবে। আশাকরি, আমাদের এই পাইলস এর লক্ষণ এর আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগবে এবং এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনি উপকৃত হবেন। পাইলস এর লক্ষণ সম্পর্কে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন। এই ধরনের আরও নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url