সমবয়সী বিয়ে নিয়ে হাদিস - সমবয়সী বিয়ে করার উপকারিতা
ইসলামী বিভিন্ন গ্রন্থে কিছু সমবয়সী বিয়ে নিয়ে হাদিস রয়েছে। ইসলামী শরীয়ত
অনুযায়ী বিয়ে হচ্ছে একটি পবিত্র বন্ধন যার মাধ্যমে নতুন একটি সম্পর্ক সৃষ্টি
হয় একজন ছেলে ও মেয়ের মধ্যে, যা সারা জীবন অটুট রাখার প্রয়াস করে সবাই। আমাদের
পাঠকের মধ্য থেকে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন সমবয়সী বিয়ে নিয়ে হাদিস সম্পর্কে।
তাহলে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসি সমবয়সী বিয়ে নিয়ে হাদিস সম্পর্কে কিছু
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
আপনারা যদি সমবয়সী বিয়ে নিয়ে হাদিস জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত
পড়তে থাকুন। সমবয়সী বিয়ে নিয়ে হাদিস এ কি বলা হয়েছে এ সম্পর্কে বিস্তারিত
এবং সঠিক তথ্য প্রদান করা হবে আজকের এই আর্টিকেলে।
পেজ সূচিপত্রঃ সমবয়সী বিয়ে নিয়ে হাদিস - সমবয়সী বিয়ে করার উপকারিতা
- ভূমিকা
- সমবয়সী বিয়ে করলে কি হয় - কেমন বয়সের মেয়ে বিয়ে করা উচিত
- ছোট মেয়ে বিয়ে করার উপকারিতা - শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চেনার উপায়
- ভার্জিন মেয়ে চেনার উপায় - ভালো মেয়ে চেনার উপায়
- সমবয়সী বিয়ে নিয়ে হাদিস - সমবয়সী বিয়ে করার উপকারিতা
- কেমন বয়সের মেয়ে বিয়ে করা উচিত - মেয়েদের বিয়ের সঠিক বয়স
- শেষ কথা
ভূমিকা
একটি কথা প্রচলিত রয়েছে জন্ম মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। সব সময় জন্ম
মৃত্যু দিয়ে এটি আমাদের ভাগ্যের উপনির্ভর করে। বর্তমান সময়ে পুরুষরা একই সঙ্গে
পড়াশোনা বা চাকরি করে এমন সঙ্গীকে বিয়ে করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। বিয়ে একটি
পবিত্র বন্ধনের নাম। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সমবয়সী বিয়ে নিয়ে হাদিস
সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছে।
এছাড়া এই আর্টিকেল আলোচনা করা হবে প্রবাসী করার অনুমতি প্রদান করে কিনা ইসলাম।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত সাথে থাকেন তাহলে সমবয়সী বিয়ে করলে কি হয়
, কেমন বয়সের মেয়ে বিয়ে করা উচিত , শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চেনার
উপায় , ভার্জিন মেয়ে চেনার উপায় এবং সমবয়সী বিয়ে নিয়ে
হাদিস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
সমবয়সী বিয়ে করলে কি হয় - কেমন বয়সের মেয়ে বিয়ে করা উচিত
বিয়ে হল একটি পবিত্র বন্ধন যার মাধ্যমে একটি ছেলে মেয়ের মধ্যে শরীয়ত অনুযায়ী
সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয় বিয়ের মাধ্যমে দুইটি পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক
স্থাপন হয়। প্রতিটি দম্পতি চায় তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক মৃত্যু পর্যন্ত অটুট
থাকুক। এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য সবচেয়ে জরুরী হলো একজন আরেকজনের
প্রতি দায়িত্ববোধ সম্মান এবং একজন আরেকজনের সম্পর্কে সকল কিছু জানা।
ভালোবেসে বিয়ে হোক বা পারিবারিকভাবে বিয়ে হোক দুই ধরনের বিয়েতেই ছেলে ও মেয়ের
মধ্যে বোঝাপড়া তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে।
বোঝাপড়াটা যদি সঠিক থাকে সেক্ষেত্রে দাম্পত্য জীবনের যে কোন সমস্যা খুব সহজেই
দূর করা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সমবয়সী বিয়েতে অন্যদের থেকে একটু
বেশি পারিবারিক সমস্যা সৃষ্টি হয়।
সমবয়সী বিয়েতে পারিবারিক সমস্যার মূল কারণ হলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বামী
স্ত্রীর মধ্যে যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে দুইজনে নিজ নিজ চিন্তাভাবনাকে
বেশি প্রাধান্য দেয় এবং নিজের কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করে। অপরদিকে এই
সমস্যাগুলো ছেলেদের চেয়ে বয়সে ছোট মেয়ে বিয়ে করলে হয় না।
কারণ যে কোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে স্বামীর চেয়ে বয়সের ছোট মেয়েরা তাদের মনের
ভাব প্রকাশ করতে পারে কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্ত পরিবারের প্রধান ব্যক্তি বা স্বামী
গ্রহণ করে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে একজন পাত্রের চেয়ে পাত্রীর বয়সের তফাৎ
সর্বনিম্ন পাঁচ থেকে দশ বছরের হওয়া উচিত। তবে কিছু কিছু সমবয়সী বিয়েতে সমস্যা
হয় না তাদের মধ্যেকার মধুর সম্পর্ক এর কারণে কিন্তু মনে রাখতে হবে এটি তুলনামূলক
অনেক কম।
সাধারণত জীবনের সুখ দুঃখ হাসি আনন্দ সফলতা বিফলতা সবকিছুই ভাগাভাগি করার
জন্য একজন মানুষের প্রয়োজন। একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে বয়সে ছোট মেয়েদের
থেকে সমবয়সী মেয়ে বা ছেলেরা খুব সহজে তাদের পার্টনারকে বা পার্টনারের মন বুঝতে
পারে। এই জন্য বর্তমান সময়ে সমবয়সী বিয়ের প্রচলনটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে মেয়েরা বৈবাহিক বহির্ভূত বিভিন্ন সম্পর্কে
লিপ্ত হচ্ছে যার ফলে বর্তমান সময় পুরুষরা সমবয়সী মেয়েদের বিয়ে করার ক্ষেত্রে
বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। সমবয়সী বেশিরভাগ ছেলে মেয়েরাই একই জায়গা থেকে পড়াশোনা
করে একই জায়গায় চাকরি করে। ছাড়া সমবয়সী দম্পতিরা বেশি আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়ে
থাকে।
যেকোনো কিছু খুব বাধাহীনভাবে তবে একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করা যায়। বিয়ের কোন
সঠিক বয়স নেই বিয়ের পরে একজন পুরুষের ভেতরে দায়িত্ববোধের সৃষ্টি হয়। তবে একটি
সুখী পরিবার তড়িৎ ক্ষেত্রে অবশ্যই আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার পরে বিয়ে করা উচিত।
বাংলাদেশ সরকারি আইন অনুযায়ী ছেলেরা 22 বছর বয়সে এবং মেয়েরা ১৮ বছর বয়সে
পদার্পণ করলে বিয়ে করতে পারবে।
এছাড়া বিশেষজ্ঞদের মতে শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে বৈবাহিক জীবনের সম্পূর্ণ আনন্দ
পেতে হলে মেয়েদের 30 বছরের আগে বিয়ে করা উচিত।
ছোট মেয়ে বিয়ে করার উপকারিতা - শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চেনার উপায়
শরীয়ত অনুযায়ী বিবাহের বিভিন্ন আইন মানলে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে 15 থেকে ২০
টি ও নেওয়া যেতে পারে। এইজন্য পূর্ণাঙ্গ যৌবন কালে মেয়েরা পদার্পণ করলে অর্থাৎ
১৮ থেকে ২০ বছর বয়সে পদার্পণ করলে বিয়ে করা উচিত। বর্তমান সময় দেখা যায়
প্রতিষ্ঠিত যে কোন পুরুষই অল্প বয়সী মেয়ে বিয়ে করার জন্য খুঁজে থাকে।
অবশ্যই এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে বয়সের সমন্বয়ে তৈরি করতে হবে ছেলে ও মেয়ের
মধ্যে। খুব বেশি বয়সের পার্থক্য থাকলে খুবই অল্প বয়সে মেয়েদের স্বামী হারানোর
আশঙ্কা থেকে যায়। তবে অবশ্য একজন পুরুষের চেয়ে একজন মেয়ের বয়সের পার্থক্য
পাঁচ থেকে দশ বছর হওয়া উচিত কারণ মেয়েদের শরীরে সেক্সুয়াল হরমোন এর
কার্যক্ষমতা ছেলেদের চেয়ে দ্রুত কমে যায়।
আরো পড়ুনঃ ১৪ ই ফেব্রুয়ারি কি দিবস এ সম্পর্কে জেনে নিন
সমবয়সী বিয়ে করলে ছেলেদের সেক্সুয়াল ক্ষমতা অক্ষুন্ন থাকা অবস্থায় মেয়েদের
চোয়াল কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় যার ফলে ছেলেরা তখন অন্য মেয়েদের দিকে
আকর্ষিত হতে শুরু করে। মেয়েদের ক্ষেত্রে একটি বিষয় জেনে রাখা উচিত শক্ত
সামর্থ্য এবং কম উচ্চতার মেয়েরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনেক রাগী হয়।
যদিও এই কথার কোন ভিত্তি নেই তবুও কিছু গ্রন্থে লেখা রয়েছে গোলাকার মুখের
অধিকারী মেয়েরা রাগারাগি করার পরিবর্তে বন্ধুত্ব করতে বেশি পছন্দ করে এবং এদের
বোকা বানিয়ে যেকোনো কাজ খুব সহজে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। সামাজিক বিজ্ঞানীদের মতে
পুরুষেরা জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে যা
তারা বংশ পরম্পরা থেকে পেয়ে থাকে।
পুরুষ শাসিত সমাজে স্ত্রীদের ওপর স্বামীদের আধিপত্য বিস্তার একটি খুবই স্বাভাবিক
ঘটনা। এই জন্য বেশিরভাগ পুরুষেরা তার বয়সের চেয়ে অল্প বয়সে মেয়েকে বিয়ে করতে
বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এছাড়া বেশিরভাগ পুরুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় সমবয়সী
নারীর সঙ্গে মিলন করার সময় পুরুষ অস্বস্তি বোধ করে এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও
নারীকে সন্তুষ্ট করতে পারে না।
কারণ একজন পুরুষের বয়সে ছোট নারীর চাহিদা কম থাকে সমবয়সী নারীর চেয়ে। এই জন্য
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় দীর্ঘদিন রিলেশনের পরে বিয়ে হলেও খুব দ্রুত সে
বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কোন নারীর শরীরের পায়ের বুড়ো আঙ্গুল যদি ছোট হয় সে
ক্ষেত্রে সেই নারীর আইয়ুব তুলনামূলক কম।
অপরদিকে নারীর পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের থেকে পাশে আঙ্গুলটি যদি আকারে বড় হয়
সেক্ষেত্রে সাংসারিক জীবনে সেই নারী অনেক সুখী বলে বিবেচনা করা হয়। কোন নারীর
হাঁটার সময় যদি তার পা থেকে ধুলো ছিটকে পড়ে সেক্ষেত্রে সেই নারী তার পরিবারের
লজ্জার কারণ হতে পারে।
ভার্জিন মেয়ে চেনার উপায় - ভালো মেয়ে চেনার উপায়
একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ভার্জিন মেয়েরা তার হাজবেন্ডের সঙ্গে লাইভ চালিয়ে
মিলন করতে কোন আপত্তি করে না এর কারণ তাদের পূর্ব কোন অভিজ্ঞতা থাকে না। সেই
সকল মেয়েরাই বিয়ের প্রথম রাতে বা বিয়ের পরে প্রথমবারের মতো শারীরিক মিলনের
সময় লাইট অফ করতে বলে যাদের ভার্জিনিটি সঠিক নেই বা প্রশ্নবিদ্ধ।
এখন আলোচনা করব ভার্জিন মেয়ে চেনার জন্য ব্রেস্ট এর কিছু বৈশিষ্ট্য। এই
বৈশিষ্ট্য গুলো জানতে পারলে আপনি খুব সহজেই চিনতে পারবেন যে মেয়েটি
ভার্জিন আছে কি না।
- নিজেকে আড়ালে রেখে দেখবেন যখন মেয়েটির শোয়া অবস্থায় আছে তখন ভার্জিন মেয়ের ব্রেস্ট এর আকৃতি কিছুটা ডিম্বাকৃতির মত হবে। তবে মাথায় রাখতে হবে মেদ যুক্ত মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না । শুধুমাত্র স্বাভাবিক ফিগারের মেয়েদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি এপ্লাই করা যেতে পারে।
- ভার্জিন মেয়েদের ব্রেস্টের বোটা টুটা ছোট হবে।
- ভার্জিন মেয়েদের ব্রেস্ট এর দুই পাশে দুই হাত রাখুন চাপ দিন আবার ছেড়ে দিন এভাবে কয়েকবার চাপ দেওয়া এবং ছেড়ে দিলে যদি খুব দ্রুত ব্রেস্ট আগের অবস্থায় চলে আসে তাহলে সেই মেয়ে ভার্জিন। কারণ ভার্জিন মেয়েদের ব্রেস্টের ইলাস্টিসিটি বেশি।
- ভদ্র মেয়েরা তাদের পোশাক নিয়ে খুবই সচেতন থাকে যেন কেউ তার দেখে খারাপ নজরে তাকাতে না পারে বা প্রশ্নবিদ্ধ না করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে মেয়েরা বোরখা পড়তে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।
- ভদ্র মেয়েদের ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে তারা সহজে প্রেমের বিষয়ে জড়াতে চায় না কিন্তু প্রেমের বিষয়ে কোনোভাবে জড়িয়ে গেলে সেই সম্পর্কটাকে বিয়ে পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
- ভদ্র মেয়েরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খুব বেশি রাগী হয়। কারো ওপর রেগে গেলে মুখের উপরে জবাব দিয়ে দেয় যার ফলে অনেক ক্ষেত্রে নামের পাশে ঝগড়াটে ও বসে তাদের।
- বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের দুনিয়ায় প্রায় সবাই ফেসবুক ব্যবহার করে তবে ভদ্র মেয়েরা কখনো ফেসবুকে ছবি ছাড়ে না যদিও ছবি ছাড়ে তবে প্রাইভেসি করে রাখে যেন অপরিচিত ব্যক্তিদের নজরে না যায়।
সমবয়সী বিয়ে নিয়ে হাদিস - সমবয়সী বিয়ে করার উপকারিতা
সমবয়সী বিয়ে নিয়ে হাদিস হলঃ হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা এর পিতা আবু
বক্কর রাঃ আনহু এর অতি ইচ্ছা ছিল তিনি যেভাবে ঘরের বাইরের রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাই সাল্লাম এর খেদমত করেন তেমনিভাবে ঘরের ভেতরে যেন তার পরিবারের কেউ মহানবী
হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর খেদমত করেন। তাই আবু বক্কর তার কন্যার সঙ্গে মহানবীর
বিবাহ দেন।
ইতিহাস বিশারদদের মতে আয়েশা রাঃ তায়ালা আনহা ছিলেন তৎকালীন আরবের অন্যতম একজন
মেধাবী নারী। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আয়েশা
রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহাকে বিবাহ করার মাধ্যমে ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নারীদের
একান্তে শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন।
মহান আল্লাহতালা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহাকে বিবাহ করেছেন আল্লাহর
নির্দেশে, বুখারী মুসলিম হাদিস নং ৩৮৯৫। সমবয়সী বিয়ের ক্ষেত্রে কিছু উপকারিতা
রয়েছে তার নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- মানসিক দূরত্ব কম তৈরি হয় দম্পতিদের মধ্যে।
- সমবয়সী হওয়ার ফলে একে অপরের মন খুব সহজে বোঝা যায়।
- একে অপরের বিভিন্ন ধরনের কাজে সহযোগিতা করার সুযোগ থাকে সমবয়সী দম্পতিদের ক্ষেত্রে।
- সমবয়সী দম্পতিদের মধ্যে বোঝাপড়াটা যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে বৈবাহিক জীবন মধুর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- একে অপরকে কৃতিত্ব দেওয়া ও সুনাম করার মানসিকতা সৃষ্টি হবে।
- আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে একই স্থানে কর্ম করতে পারবে দুইজনে।
কেমন বয়সের মেয়ে বিয়ে করা উচিত - মেয়েদের বিয়ের সঠিক বয়স
মানসিকভাবে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হওয়া না পর্যন্ত বিবাহ করা উচিত নয়।
বিবাহের কোন নির্দিষ্ট সময় নেই তবে বিবাহের মাধ্যমে দায়িত্ববোধ সৃষ্টি হয়।
আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার পরে বিয়ে করা সর্বোত্তম। মেয়েদের বয়স ১৮ হলে বিয়ে
করে নেওয়া উচিত। ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী যৌবনে পদার্পণের পর নারী পুরুষ উভয়
বিয়ে করতে পার।।
বিয়ের মাধ্যমে মহান আল্লাহতালা রিজিকের দরজা খুলে দেন। বিশেষজ্ঞদের মতে ত্রিশ
বছরের আগেই মেয়েদের বিয়ে করে নেওয়া উচত। সম্প্রদায়ের নিয়ম ভিন্ন যেমন
বাংলাদেশী রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নিয়ম অনুযায়ী
মেয়ের ১৮ বছর এবং ছেলের একুশ বছর হলে বিয়ে দেয়া উচিত।
মুসলিমদের মহাগ্রন্থ আল কুরআন এর মতে যৌবনকালে পদার্পণ করার পর থেকে শুরু করে
অর্থাৎ বয়ঃসন্ধি এ পৌঁছানোর পর থেকে শুরু করে যেকোনো সময় বিয়ে করা যেতে
পারে। ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী সমবয়সী বিয়েতে কোন বাধা নেই। তবে সমবয়সী
বিয়ের যেমন কিছু অসুবিধা রয়েছে তেমনি সুবিধা রয়েছে।
শেষ কথাঃ সমবয়সী বিয়ে নিয়ে হাদিস - সমবয়সী বিয়ে করার উপকারিতা
আশা করি আপনাকে সমবয়সী বিয়ে নিয়ে হাদিস সম্পর্কে ধারণা দিতে পেরেছি।
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ করলে সমবয়সী বিয়ে নিয়ে হাদিস এবং সমবয়সী বিয়ে
করার উপকারিতা সম্পর্কে। তাই আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হন তাহলে
আমাদের এই আর্টিকেল আপনার পরিচিত বন্ধু- বান্ধবী আত্নীয়দের সাথে শেয়ার করুন। এমন
নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url