শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম - নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার

আজ আমরা আলোচনা করব শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। শিশুর ওজন এবং বয়সের উপর নির্ভর করে চার থেকে ছয় ঘন্টা পর পর সাপোজিটার ব্যবহার করা যেতে পারে। আমাদের পাঠকদের মধ্য থেকে অনেকেই প্রশ্ন করেন শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিত জেনে আসি শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম
আপনি কি জানেন শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য? প্রতিটি পিতা মাতার কাছেই তার সন্তান খুবই গুরুত্বপূর্ণ সন্তানের সুরক্ষায় তাদের কাছে সর্বপ্রথম। শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকবে আজকের আর্টিকেলে।

পেজ সূচিপত্রঃ শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম - নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানবেন শিশুদের সাপোজিটারি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। কোন সময় শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহার করতে হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হয়েছে। ক্লাইমেট চেঞ্জ এর কারণে বিভিন্ন সময় শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে আজ আমরা শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম , নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার , শিশুদের কত ঘন্টা পর পর সাপোজিটরি দেয়া যায় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করব আমাদের সঙ্গেই থাকুন বিস্তারিত ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জানতে।

কত ঘন্টা পর পর সাপোজি টরি দেয়া যায় - শিশুদের জ্বরের সাপোজিটরি

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে Suppol 250 MG Suppository জ্বর ও ব্যথা কমানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন প্রতি চার থেকে ছয় ঘন্টা পর পর সাপোজিটার ব্যবহার করতে পারবেন। সাপোজিটরি ব্যবহার করা সাধারণত কিছু নিয়ম রয়েছে। যদি জ্বর ১০২° সেলসিয়াসের ওপরে না যায় সে ক্ষেত্রে সাপোজিটার দেওয়া উচিত নয় এই সময় প্যারাসিটামল ওষুধ মুখে খাওয়ানো উচিত।

এক ঘণ্টা পর যদি জ্বর না কমে বরংচ 102 ডিগ্রী বা তার বেশি হয় সেক্ষেত্রে সাপোজিটার ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে একদিনের তিনটি সাপোজিটরের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। সাপোজিটর এমন একটি ঔষধ যা পায়ুপথে প্রবেশ করানো হয়ে থাকে। সাপোজিটর পায়ুপথে প্রবেশ করানোর পরে শরীরের তাপমাত্রায় তা গলে গিয়ে ওষুধের গুনাগুন শরীরে ছড়িয়ে দেয়।
কিছুদিন আগে একটি গবেষণা দেখা গিয়েছে জ্বরে আক্রান্ত হলে শরীর মুছে দেওয়া বা ঠান্ডা জায়গাতে থাকলে তেমন কোনো সুফল পাওয়া যায় না। তবে গবেষকরা বলেন প্যারাসিটামল খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে শরীর কুসুম গরম পানি দিয়ে যদি ভালোভাবে পরিষ্কার করে দেওয়া যায় সে ক্ষেত্রে খুব ভালো সুফল পাওয়া যায়।

শিশুদের গ্লিসারিন সাপোজিটরি - জ্বর কত হলে সাপোজিটরি দিতে হবে

সাধারণত শুষ্ক ত্বক ঠান্ডা প্রদাহ সোরিয়াসিসের মত ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা গুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য গ্লিসারিন সাপোজিটারি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শরীরকে তৈলাক্ত বা আদ্র করার জন্য এই সাপোজিটারি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার জন্য সাপোজিটারি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সাপোজিটরি ব্যবহার করার চেয়ে নিজের জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে এ সমস্যা একেবারে দূর করা সম্ভব।

সঠিক খাদ্য অভ্যাস শরীরচর্চা জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন এর মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা শরীর থেকে দূর করা যায়। খুব অল্প কিছু ক্ষেত্রেই সাপোজিটরি ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে। কোষ্ঠকাঠিন্যর জন্য যদি নিয়মিত সাপোজিটার ব্যবহার করা যায় তাহলে এটি শরীরের ক্ষতি সাধন করতে পারে। ইসব গুলের ভুসি খেতে পারেন কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে তবে মনে রাখতে হবে পানির মধ্যে ভুসি মিক্স করে সাথে সাথে সে পানি খেতে হবে।
ভুসি পানিতে ভিজিয়ে রেখে দেওয়া যাবে না। বিভিন্ন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে আমাদের শরীরে জ্বর সৃষ্টি হয়। সঠিক কারণ জানতে পারলে জ্বর ভালো করা খুব সহজে সম্ভব। তবে মাথায় রাখতে হবে কিছু ক্ষেত্রে জ্বর মারাত্মক আকার ধারণ করে সেই সময় খুব দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার মাধ্যমে জ্বরকে স্বাভাবিক করতে হবে না হলে রোগীর ক্ষতি হতে পারে। জ্বরের মাত্রা অতিরিক্ত হলে মাথায় জলপট্টি দিতে হবে এছাড়া ১০২ ডিগ্রীর উপরে জ্বর হলে সাপোজ এটা ব্যবহার করা যেতে পারে।

শিশুর জ্বর ১০৩ হলে করণীয় - সাপোজিটরি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সাধারণত শিশুদের ওজন শিশুদের শারীরিক গঠন ও বয়সের উপর নির্ভর করে জ্বরের বিভিন্ন ঔষধ শিশুকে দেওয়া হয়ে থাকে। শিশুদের জ্বর যদি ১০০ থেকে ১০২ ডিগ্রির মধ্যে হয় যাকে শিশুদের হালকা জ্বর বলা হয়ে থাকে তাহলে ভেজা গামছা দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে মুখে খাওয়ানো জ্বরের ঔষধ খাওয়াতে হবে। জ্বর প্রবেশ করলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে পানির ঘাটতি দেখা দেয় এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাদ্য খাওয়াতে হবে শিশুকে।

এছাড়া জ্বর হলে সাধারণত মুখে অরুচি ভাব চলে আসে পারা তো পক্ষে চেষ্টা করতে হবে গরম খাদ্য খাওয়ানোর এ সময়। শরীরে জ্বর প্রবেশ করলে সাধারনের চেয়ে একটু বেশি শরীরকে বিশ্রাম দিতে হবে যেন শরীর এ রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পায়। Suppol 250 MG Suppository শিশুকে না দেওয়াই ভালো। এই সাপোজিটারি এর কারণে বমি বমি ভাব পেট ব্যথা হ্রাস পায় ত্বক ও চোখের রং পরিবর্তন হয় তীব্র পেটে ব্যথা কারো রঙের প্রস্রাব হতে পারে।

এই সাপোজিটারে শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই উপযুক্ত। যদি স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে সেক্ষেত্রে কখনোই সাপোজিটার ব্যবহার করা উচিত নয়। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের জ্বরের ঔষধ পাওয়া যায় যা জ্বর কমাতে সাহায্য করে। শিশুর জ্বর যদি অতিরিক্ত হয় সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সাপোজিটার ব্যবহার করতে পারেন তবে মুখে খাওয়া জ্বরের ঔষধের মাধ্যমে যদি জ্বর নিরাময় হয় সেক্ষেত্রে সাপোজিটারি ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

শিশুদের কত ঘন্টা পর পর সাপোজিটরি দেয়া যায় - শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম

প্যারাসিটামল এমন একটি সাপোজিটর যা শিশুদের পায়ুপথে শরীরের প্রবেশ করালে খুব অল্প সময়ের মধ্যে জ্বর নিরাময় বা স্বাভাবিক হয়ে যায়। যে সকল শিশু ট্যাবলেট বা সিরাপ খেতে পারে না তাদের জন্য প্যারাসিটামল সাপোজিটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে তবে শিশুর শরীরের ব্যথা ও জ্বর কমাতে সবচেয়ে বেশি এটি ব্যবহৃত হয়।

শিশুর শরীরের ব্যথা বা জ্বর যদি না কমে সেক্ষেত্রে প্রতি চার থেকে ছয় ঘন্টা পর পর সাপোজিটারি এর ডোজ দেওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যদি শিশুর জ্বর ১০২° ফারেনহাইটের বেশি হয় সে ক্ষেত্রে শিশুদের এ পি এ সাপোজিটারি ১২৫ অথবা ২৫০ বয়স ও ওজন অনুযায়ী দিতে হবে পায়ুপথের মাধ্যমে। সর্দি বা কাশি থাকলে শিশুকে প্রতিদিন তিন বেলা এন্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট অথবা সিরাপ খাওয়ানো যেতে পারে।
তবে শিশুদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী ঔষধ হলো সিরাপ। এটি যেকোনো রোগের ক্ষেত্রে দ্রুত কাজ করে বলে প্রমাণিত শিশুদের ক্ষেত্রে। শিশুরা যদি জ্বরে ভোগে সে ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে অবশ্যই তার শরীরে কোন না কোন ভিটামিনের অভাব হয়েছে। জ্বর এ আক্রান্ত শিশুকে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ বিভিন্ন ফলমূল খাওয়াতে হবে যেমনঃ কমলালেবু, বাতাবি লেবু , আঙ্গুর , পেয়ারা , আনারস , আমড়া ইত্যাদি। দিনে অন্ততপক্ষে দুই থেকে তিনবার লেবুর রস খাওয়াতে হবে এটি জ্বর নিরাময় বিশেষ ভূমিকা রাখে।

নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার - নাপা সাপোজিটরি ১২৫ ব্যবহার - এইচ সাপোজিটরি ১২৫

নাপা সাপোজিটরি ২৫০ শরীর ব্যথা , মাথা ব্যথা , আর্থথ্রিটিস , দাঁতে ব্যথা উপশমের বিশেষ ভূমিকা রাখে। জ্বরের কারণে শরীরে সৃষ্ট ব্যথা উপশমনে বিশেষ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। এই সাপোজিটরিটি যারা ক্যান্সারে ভোগেন বা অপারেশনের রোগী তাদের দেওয়া হয়ে থাকে ব্যথা নাশ করার জন্য শরীরের। সাধারণত বাচ্চাদের জ্বর হলে আমরা নাপা , প্যারাসিটামল , পাইরি নল সহ বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খাইয়ে থাকে।

তবে দিন দিন বাচ্চার জ্বর যদি বাড়তে থাকে বা ১০২° এর বেশি হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সাপোজিটার ব্যবহার করতে হবে। এক কথায় বলা যেতে পারে যখন বাচ্চার জ্বরের মাত্রা এমন পর্যায়ে চলে যাবে যে বাচ্চা কিছু খেতে পারছে না বা কোন কিছু খেলে বমি হয়ে বের হয়ে আসছে এ সময় সাপোজিটরি ব্যবহার করতে হবে। শিশুদের ওজন শিশুদের বয়সের উপর নির্ভর করে জ্বরের বিভিন্ন ঔষধ খাওয়াতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে শিশুদের জ্বরের ঔষধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই ওষুধের নির্দেশিকা করতে হবে এবং তারপরে জ্বরের মাত্রা অনুযায়ী প্যারাসিটামল ঔষধের ডোজ দিতে হবে। অনেকেই প্রশ্ন করেন সাপোজিটার ভালো না ঔষধ ভালো এখানে মনে রাখতে হবে সিরাপ বা ঔষধ শিশুকে খাওয়ানোর ৩০ মিনিটের মধ্যেই শিশু স্বাভাবিক হতে শুরু করে। কিন্তু সাপোজিটারির কার্য শুরু হতে এক ঘন্টা সময় লাগে।
শিশুদের জ্বর সর্দি কাশি হলে প্যারাসিটামল খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে সর্দি কাশির ঔষধে ও কিছু প্যারাসিটামল বিদ্যমান থাকে। এইজন্য ওষুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই ঔষধ বিষয়ে সম্পূর্ণ জেনে নিতে হবে। ৫ থেকে ১২ বছরের বাচ্চাদের যদি জ্বরের কারণে সাপোটারি ব্যবহার করতে হয় সে ক্ষেত্রে ডাক্তাররা নাপা সাপোজিটরি 500 এমজি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নাপা সাপোজিটারি ৫০০ এমজি বাচ্চাদের বমি শরীর ব্যথা জ্বর কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

শেষ কথাঃ শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম - নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার

প্রিয় পাঠক আশা করি শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম  এবং  নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার সম্পর্কে যথাযথ ধারণা প্রদর্শন করতে পেরেছি। আপনারা যারা শিশুদের দ্রুত জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। প্রতিটি পিতা-মাতার শিশুদের দ্রুত জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। 

শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url