2 বছরের শিশুর খাবার তালিকা - শিশুর পুষ্টিকর খাবার রেসিপি

প্রিয় পাঠক আপনি কি 2 বছরের শিশুর খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে চান? আপনার জন্য আজ আমরা নিয়ে এসেছি 2 বছরের শিশুর খাবার তালিকা এবং বয়স অনুযায়ী শিশুর উচ্চতা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকেন তাহলে 2 বছরের শিশুর খাবার তালিকা  সম্পর্কে যথাযথ ধারণা পাবেন আশা করি। মূলত শিশুদের এমন খাবার দিতে হবে যেগুলো হজমে সুবিধা হয় এবং খুবই পুষ্টিকর।
বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা - বয়স অনুযায়ী শিশুর উচ্চতা
একমাত্র পিতা মাতারাই জানে ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানো কতটা সময় সাপেক্ষ বিষয়। অপরদিকে যদি খাবার সুস্বাদু না হয় সেক্ষেত্রে বাচ্চারা খেতেও চায় না। এজন্য আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে 2 বছরের শিশুর খাবার তালিকা সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা দিব যেগুলো খুব সহজে বাচ্চারা খাবে এবং যা বাচ্চাদের জন্য খুবই পুষ্টিকর।

ভূমিকা

শিশুদের খাবার নিয়ে বাবা-মা সবসময় একটু চিন্তিত থাকে। কোন খাবার খাওয়ালে শিশুর স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটবে এ সম্পর্কে তারা কোন না কোন ভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে চান। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানানো হবে 2 বছরের শিশুর খাবার তালিকা বিষয়ে। এ ছাড়া এই আর্টিকেলে আরো জানতে পারবেন বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন তথ্য বাচ্চাদের খাবার সম্পর্কে। এছাড়া এই আর্টিকেলে থাকছে 2 বছরের শিশুর খাবার তালিকা , বয়স অনুযায়ী শিশুর উচ্চতা , ২-৩ বছরের বাচ্চার খাবার তালিকা , ৪ বছরের শিশুর খাবার তালিকা ইত্যাদি সকল বিষয়এ।

বয়স অনুযায়ী শিশুর উচ্চতা - বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা

বাবা মা সব সময় শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত থাকে। এমন কোন খাবার খাওয়ালে বয়স অনুযায়ী শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে এ সকল বিষয়ে তারা সব সময় খোঁজাখুঁজি করে থাকে। বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু খাবার রাখা প্রয়োজন যেগুলো শিশুর দেহ বৃদ্ধি মাংসপেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
জন্মের পর থেকে শিশুরা ৫ সেন্টিমিটার করে বৃদ্ধি পেতে থাকে প্রতি বছর। এই কার্য শিশুর বয়সন্ধিক কাল পর্যন্ত চলতে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে বাচ্চাদের ছয় মাস থেকে এক বছর হওয়া পর্যন্ত প্রধান খাদ্য হলো মায়ের দুগ্ধ এবং পাশাপাশি তিন বেলা খুব সামান্য পরিমাণ অন্যান্য খাবার খাওয়াতে হবে। এই সকল খাবার গুলো নরম হতে হবে কারণ এই সময়ে বাচ্চাদের হজম শক্তি প্রখর হয় না যার ফলে শক্ত কোন খাদ্য তারা সহজে পরিপাক করতে পারে না।

নরম খাদ্য গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চাল ডাল মিশ্রিত নরম খিচুড়ি। এই খাবারে যেমন ডালের পুষ্টি রয়েছে তেমনি সবজির প্রোটিন বিদ্যমান রয়েছে পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। খুব অল্প পরিমাণে খেলেও এই খাদ্য থেকে বাচ্চাদের শরীরে প্রচুর প্রোটিন প্রবেশ করে। ছয় মাস বা এক বছরের বাচ্চাদের খুবই অল্প পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়ানো যেতে পারে।

যদি বাচ্চারা ফল খেতে না চায় সে ক্ষেত্রে ফলের রস খাওয়ানো যেতে পারে এ সময়। সাধারণত যে কোন ফলে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। বাচ্চাদেকে অন্যান্য খাদ্যের পাশাপাশি খুবই অল্প পরিমাণে ডিম, মাছ খাওয়াতে হবে। অতিরিক্ত ডিম মাছ খাওয়ালে এসিডিটির মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো ডিম সিদ্ধ করে খাওয়ানো এতে ডিমের প্রোটিন অক্ষুণ্য অবস্থায় থাকে।

চর্বিযুক্ত যে কোন মাছ বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া বাচ্চাদের খাবারের মধ্যে রাখতে পারেন সুজি , সাবু , ঘরে তৈরি বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর তরকারি ইত্যাদি। যা বাচ্চার দৈহিক গঠনের পাশাপাশি মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে। একটি বিষয়ের অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে জন্মের পর এক ঘন্টার মধ্যে শিশুকে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে মায়ের প্রথম দুধকে অনেকে শাল দুধ ও বলে থাকে যা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
জন্মের পরে বাচ্চার মুখে বাইরের কোন কিছু দেওয়া যাবে না। জন্মের পরে বাচ্চার প্রথম টিকা এবং প্রথম শক্তির উৎস হল মায়ের প্রথম সাল দুধ। উপরে উল্লেখিত নিয়ম গুলো মেনে যদি বাচ্চাকে খাদ্য দেওয়া যায় তাহলে বাচ্চার বয়স অনুযায়ী উচ্চতা সঠিক থাকবে। বাচ্চাদের উচ্চতা তখনই বয়স অনুযায়ী কম হয় যখন তারা পর্যাপ্ত পরিমাণে নিয়মমাফিক এই সকল খাদ্য পায় না।

পুষ্টিকর খাবারের উপকারিতা - বাচ্চাদের কি খাবার খাওয়ালে ব্রেন ভালো হয়

শিশুর পুষ্টিকর খাবারের উপকারিতা হলো শিশুর শারীরিক বিকাশ এবং মানসিক বিকাশে এটি বিরাট ভূমিকা রাখে। যে কোন পুষ্টিকর খাদ্য বাচ্চার ব্রেন এর বিকাশে ভূমিকা রাখে। এখন আমরা আলোচনা করতে চলেছি বাচ্চাদের কি খাবার খাওয়ালে ব্রেন ভালো হয় এ বিষয়ে। বলে রাখা ভালো শরীরের শক্তি বৃদ্ধি , ত্বক ভালো রাখা , কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে , প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে , স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে , মাথা ঠান্ডা রাখে , হৃদরোগের সমস্যা দূরে রাখে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর শাকসবজি।

শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে কলিজা , বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি , ফলমূল ইত্যাদি পরিমিতভাবে শিশুকে খাওয়ালে শিশুর মস্তিষ্ক ভালো হয় পাশাপাশি শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দিলে বিভিন্ন ধরনের রোগ এ আক্রান্ত হয়ে পড়ে শিশুরা। এইজন্য সকল ধরনের পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাদ্য পরিমিতভাবে শিশুকে খাওয়াতে হবে।

অনেক মা প্রশ্ন করেন শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য কি খাওয়ানো সর্বোত্তম? এখানে বিশেষজ্ঞরা বলেন প্রোটিন জাতীয় যেকোন খাদ্য শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের ভূমিকা রাখে। প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ

  • ছোলা
  • ডিম
  • দুধ
  • চিকেন
  • মসুর ডাল
  • বিভিন্ন প্রকার বাদাম
  • সয়াবিন
  • পনির
  • মিষ্টি
  • দই
  • পিনাট বাটার ইত্যাদি

একটি গবেষণায় দেখা গেছে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে, মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সবচেয়ে উপকারী হল বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন যেমনঃ ভিটামিন কে, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ,  ভিটামিন এ , ভিটামিন সি ইত্যাদি। মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখতে জিংক যুক্ত যে কোন খাদ্য খুবই উত্তমঃ জিংক যুক্ত যে কোন খাদ্য হলো মাংস , মাছের তেল বা মাছ , পালং শাক , কাতিকালাই এর ডাল , দুগ্ধ জাত বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য ইত্যাদি।
এছাড়া প্রতিদিনের খাবারে দেশি ঘি খাওয়াতে পারেন শিশুকে।

৪ বছরের শিশুর খাবার তালিকা - শিশুর পুষ্টিকর খাবার রেসিপি

শিশু বড় হওয়ার পাশাপাশি শিশুর শারীরিক পুষ্টি চাহিদা ও বৃদ্ধি পায়। অনেক মা আছেন যারা শিশুর পুষ্টিকর খাবার রেসিপি সম্পর্কে খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু ভালো ফল পাচ্ছেন না। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা শিশুর পুষ্টিকর খাবার রেসিপি এবং ৪ বছরের শিশুর খাবার তালিকা সম্পর্কে জানাবো। নিচে উল্লেখিত খাবারগুলো দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী যে কোন শিশুকে খাওয়ানো যেতে পারে। এগুলো খুব পুষ্টিকর হয়ে থাকে যা শিশুর জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। তাহলে চলুন জেনে আসি শিশুর ডায়েট চার্ট সম্পর্কেঃ

  • শিশুর পুরো দিনের খাবারের মধ্যে মধু ও ড্রাইফোর্ট এর সঙ্গে দুধ রাখতে হবে।
  • সকালের খাবার সাধারণত হালকা করানো উত্তম শিশুদের এক্ষেত্রে ফলের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার সুপ খাওয়াতে পারেন।
  • দুপুরের খাবারে শিশুকে ভাত ডাল যেকোনো সবজি মুরগির মাংস খাওয়ানোর সবচেয়ে উত্তম।
  • সন্ধ্যাবেলায় শিশুদের হালকা কিছু নাস্তা করাতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত।
  • রাতের খাবারে যে কোন সবজির পাশাপাশি ডাল মুরগির মাংস অথবা গরুর কলিজা হলে সবচেয়ে ভালো হয়।

শিশুদের ড্রাই ফ্রুট মধু দুধ খাওয়ালে শিশুর ব্রেনের বিকাশে এই খাদ্যগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখে। সাধারণত তিন থেকে চার বছরের শিশুকে স্বাস্থ্যকর স্নাক্স এবং কেমিক্যাল বিহীন ফল খাওয়ানো যেতে পারে। অবশ্যই মনে রাখতে হবে বাইরের ভাজাপোড়া বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাদ্য শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
এছাড়া গ্রাম্য অঞ্চলের একটি প্রচলিত খাবার দুধ কলা এবং ভাত শিশুকে খাওয়াতে পারেন যা শিশুর স্বাস্থ্যের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি দুই ধরনের সবজি প্রয়োজনীয় তার মধ্যে একটি হল সবুজ সবজি অপরটি হলুদ সবজি। সবজি গুলো হলঃ

  • ব্রকলি
  • বিভিন্ন ধরনের শাক
  • মিষ্টি কুমড়া
  • কুমড়া
  • মটরশুঁটি
  • মসুর ডাল
  • সাদা আলু ইত্যাদি

এই সকল সবজি শরীরের পাশাপাশি চোখ ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে। শিশুর শরীরের ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করার জন্য কমলালেবু বা ভাতের সঙ্গে লেবু খাওয়ানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণত যেকোনো টক জাতীয় ফলে ভিটামিন সি বিদ্যমান থাকে।

কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয় - পাঁচ মাসের বাচ্চার খাবার তালিকা

প্রতিটি গর্ভবতী মায়ের জেনে রাখা উচিত কোন ভিটামিনের অভাবে ব্রণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয় এ বিষয়ে। অপরদিকে মাহ হিসাবে জেনে রাখা উচিত পাঁচ মাসের বাচ্চার খাবার তালিকা সম্পর্কে এ সকল বিষয়ে আর্টিকেলের এই অংশে আলোচনা করা হবে। গর্ভবতী মায়ের শরীরে যদি গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা যায় সেক্ষেত্রে শিশুর মস্তিষ্কের বা ব্রণের মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিকভাবে হতে পারে না।

এইজন্য বিশেষজ্ঞরা বলেন গর্ভবতীর মায়ের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি যুক্ত খাদ্য পর্যাপ্তল পরিমাণে খেতে হবে। এছাড়া নিয়মিত কিছুক্ষণ সকালের মিষ্টি রোদে বসতে হবে। এছাড়া গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকাতে দুধ এবং দই রাখতে হবে পাশাপাশি পনির, কলিজা , ঘি ইত্যাদি খাওয়াতে হতে হবে। শিশুর পাঁচ মাস বয়স হলে আস্তে আস্তে অল্প অল্প ভাবে খাদ্য খাওয়ানো শুরু করতে হবে।
যতদিন যাবে তত ও খাবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে শিশুর। বিশেষজ্ঞরা বলেন শিশুর চাহিদা অনুযায়ী খাওয়াতে হবে অতিরিক্ত খাদ্য জোর করে খাওয়ানো উচিত নয় শিশুকে। এতে শিশুর ক্ষতি হতে পারে। শিশুর প্রথম অবস্থার খাবারের মধ্যে রাখতে হবেঃ

  • খিচুড়ি
  • ডিম
  • আপেল
  • ব্রকলি মিষ্টি কুমড়া
  • দই
  • অ্যাাকাডো
  • সবুজ মটরসুঁটি ইত্যাদি

2 বছরের শিশুর খাবার তালিকা - ২-৩ বছরের বাচ্চার খাবার তালিকা

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যারা এক থেকে দুই বছরের মধ্যে থাকে তাদের শারীরিক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ করা সবচেয়ে কঠিন। কারণ অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো বাচ্চারা খেতে চায় না কিন্তু সেই খাবার গুলো প্রচুর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। তাই আমরা আর্টিকেলের এই অংশে আলোচনা করব 2 বছরের শিশুর খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।

অপরদিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় বাচ্চার স্বাস্থ্যের কথা খেয়াল রেখে বাচ্চার বাবা মা সব সময় ২-৩ বছরের বাচ্চার খাবার তালিকা সম্পর্কে বিভিন্নভাবে জানার চেষ্টা করে থাকে। বাচ্চাদের প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস হলো মৌসুমী বিভিন্ন প্রকার ফল। এ ফল গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ

  • বেদানা
  • আম
  • আমড়া
  • জলপাই
  • খেজুর
  • আপেল
  • আঙ্গুর
  • কমলা
  • কলা
  • স্ট্রবেরি
  • অ্যাভাকার্ডো ইত্যাদি

এই ফলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে যা বাচ্চার শারীরিক চাহিদা পূরণ করে থাকে। শরীরের মাংসপেশী দৃঢ় করতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে বাচ্চাদের এই সকল ফল খাওয়ানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বাচ্চাদের আমিশের চাহিদা পূরণ করতে মাছ মাংসের পাশাপাশি সবচেয়ে ভালো হলো ডাল খাওয়ানো। ডালের মধ্যে মুগ ডাল, মসুর ডাল , কাতি কালাই সবচেয়ে উত্তম। 

অপরদিকে শরীরের ইউনিয়ন সিস্টেম ইম্প্রুভ করার জন্য , হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার জন্য সবচেয়ে ভালো হলো বিভিন্ন প্রকার সবজি। সবজিতে বিদ্যমান ফাইবার শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যে সকল সবজি খাওয়ালে শারীরিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভব সেগুলো হলোঃ

  • মিষ্টি আলু
  • মিষ্টি কুমড়া
  • আলু
  • গাজর
  • মটরশুঁটি
  • ফুলকপি
  • ব্রকলি বাঁধাকপি
  • কুমড়া
  • পালং শাক
  • পুঁইশাক
  • টমেটো ইত্যাদি।

পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে 2 বছরের শিশুর খাবার তালিকা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডায়েট হলঃ

  • সকল প্রকার শাক সবজি খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
  • মুরগির মাংস বা গরুর কলিজা সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন দিতে হবে।
  • বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য খাবারের সঙ্গে ঘি বা মাখন খাওয়াতে পারেন।
  • প্রতিদিন বিকেলে কুসুম গরম দুধের সঙ্গে মধু বা বাদাম খাওয়াতে পারেন (বর্তমান সময়ে বহুল প্রচলিত হরলিক্স দুধের সঙ্গে দেওয়া যেতে পারে)।
  • যতটা সম্ভব বাচ্চার খাবারে বা রান্নায় তেল ব্যবহার কম করতে হবে।
  • প্রতিদিন একটি বড় আপেলের সমপরিমাণ যে কোন ফল খাওয়াতে পারেন।
  • বাচ্চাকে খেলাধুলা করাতে হবে পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাতে হবে।
  • বাইরের খাবার এভয়েড করা ভালো বাচ্চার ক্ষেত্রে।
  • শিশুর স্বাস্থ্যর কথা বিবেচনা করে খাবারে এমন কিছু রাখার চেষ্টা করবেন যেগুলো শিশু পছন্দ করে এবং পুষ্টিকরও।

প্রিয় পাঠক আপনার জন্য শিশু পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে উপরের ডায়েট চারটি তৈরি করা হয়েছে। উপরে ডায়েট চারটি অনুসরণ করে শিশুকে খাদ্য খাওয়ালে শিশুর শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান প্রবেশ করানো খুব সহজ হবে। শিশুর বয়স ৬ মাস হলে বুকের দুধের পাশাপাশি থাকে খাদ্য খাওয়াতে হয় কিন্তু অনেক পিতামাতারাই জানে না কোন বয়সে শিশুকে কতটুকু খাদ্য দিতে হয়। 

অনেক মা মনে করে থাকেন শিশুকে বেশি খাওয়ালেই হয়তো শিশুর শরীর ভালো হবে। কিন্তু পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে শিশুদের অল্প পরিমাণে পুষ্টিকর খাদ্য শিশুকে বারবার খাওয়ানো উত্তম।

শেষ কথাঃ বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা - বয়স অনুযায়ী শিশুর উচ্চতা

প্রিয় পাঠক 2 বছরের শিশুর খাবার তালিকা এবং বয়স অনুযায়ী শিশুর উচ্চতা সম্পর্কে যথাযথ তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি আজকের আর্টিকেলে। 2 বছরের শিশুর খাবার তালিকা  এবং বয়স অনুযায়ী শিশুর উচ্চতা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন।

 আপনি যদি বাচ্চাদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে 2 বছরের শিশুর খাবার তালিকা সম্পর্কে অবগত হওয়া আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্য। এমন আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url