টিউমার থেকে বাঁচার উপায় - ব্রেইন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ
প্রিয় পাঠক আপনি কি টিউমার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব টিউমার থেকে বাঁচার উপায় এবং ব্রেন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে। টিউমারের লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম কিছু লক্ষণ হলো রোগীর বমি বমি ভাব হওয়া এবং দৃষ্টিশক্তি কিছুটা কমে যাওয়া। আমাদের পাঠকদের মধ্য থেকে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন টিউমার থেকে বাঁচার উপায় এবং ব্রেন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে।
টিউমার একটি শরীরের বৃত্তীয় বিষয় সাধারণত বিভিন্ন অনিয়মের কারণে শরীরে টিউমার দেখা দিতে পারে। আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হলো টিউমার থেকে বাঁচার উপায়। আপনি যদি বিস্তারিতভাবে টিউমার থেকে বাঁচার উপায় এবং ব্রেন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আজকে আলোচনা করা হবে টিউমার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসাবে টিউমার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে যথাযথ ধারণা রাখা উচিত। বর্তমান সময়ে জীবন যাপনের মধ্যে যদি একটু পরিবর্তন আনা যায় ও সতর্ক থাকা যায় সেক্ষেত্রে ব্রেন টিউমার রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আমাদের প্রতিদিনের ডায়েটে সঠিক খাদ্য রাখলে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে টিউমারের সমস্যা ভালো করা সম্ভব। ব্রেইন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে অবগত হতে চাইলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন। আজকে এই পুরো আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করা হবে টিউমারের লক্ষণ , ব্রেইন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ, মস্তিষ্কের টিউমার লক্ষণ , টিউমার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ ইত্যাদি সকল বিষয় এ।
টিউমারের লক্ষণ - ব্রেইন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ
আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করব টিউমারের লক্ষণ এবং ব্রেন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে। টিউমারের লক্ষণগুলো বিভিন্ন ধরনের হতে পারে তবে কিছু কার্যকরী লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলোঃ
- বমি বমি ভাব হবে
- দৃষ্টিশক্তি কিছুটা কমে যাবে
- শরীরে খিচুনি সৃষ্টি হতে পারে
- শরীরের যে কোন অঙ্গ দুর্বল বা আবেশ হয়ে যাওয়া শুরু হতে পারে
- অভ্যাসের পরিবর্তন হতে পারে
- স্মৃতিশক্তি অনেকটা কমে যায়
- কথা ব্রেনে ধরে না
- শ্রবণ ক্ষমতা এবং শ্বাদ ও গন্ধ ক্ষমতা কমে যায়
- মুখ এবং হাত পায়ের পরিবর্তন ইত্যাদি।
কোনো মানুষের শরীরে এই সকল পরিবর্তন দেখা দিলে বুঝতে হবে সে ব্রেন টিউমারে ভুগছে। অনেকে মনে করেন মাথা ব্যথা হলেই হয়তো ব্রেন টিউমার হয় কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে মাথাব্যথার এক শতাংশের ও অনেক কম কারণ হয় ব্রেন টিউমার। ব্রেন টিউমার হলে খুব ভোরের দিকে মাথা ব্যথা শুরু হয় যা পরবর্তীতে খিচুনি সৃষ্টি করে পুরো শরীরে এছাড়া এই মাথাব্যথা একবার শুরু হলে আর যেতে চায় না।
ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে রোগী দুই পাশে দেখতে পায় না সামনে যতটুকু দেখতে পায় তাও আস্তে আস্তে ঝাপসা হতে থাকে।
মস্তিষ্কের টিউমার লক্ষণ - টিউমার থেকে বাঁচার উপায়
মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের টিউমার হতে পারে। এখন আলোচনা করা হবে মস্তিষ্কের টিউমার লক্ষণ এবং টিউমার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে। মস্তিষ্কে টিউমার লক্ষণগুলো হলঃ
- মাথা ব্যথা করা
- খিচুনি সৃষ্টি হওয়া
- দৃষ্টি শক্তির সমস্যা
- দৃষ্টিভ্রম সৃষ্টি হওয়া
- বমি হওয়া
- বিভিন্ন প্রকারের মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তন হওয়া ইত্যাদি
বিশেষজ্ঞদের মতে ব্রেন টিউমার হলে সাধারণ লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মাথাব্যথা যা সময়ের সাথে সাথে বাড়তে শুরু করে। মাথাতে চাপ অনুভব করা সকালের দিকে মাথাতে প্রচণ্ড খিচুনির সৃষ্টি হওয়া এবং মাথাতে ব্যথা হওয়া পাশাপাশি মাথা ঘোরানো বমি বমি ভাব এ সকল সমস্যা ব্রেন টিউমারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে এ সকল সিমটম শরীরে দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলেন টিউমারের বিভিন্ন আকৃতি ও অবস্থানের উপর নির্ভর করে শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন ও বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন যদি টিউমারের আকার তুলনামূলকভাবে অনেক বড় হয়ে যায় তাহলে এটি মস্তিষ্কের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যায়।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে ৩০ বছরের ঊর্ধের নারীদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ নারী ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়। টিউমার থেকে বাঁচার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম কিছু উপায় হলঃ
- স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে নিয়মিত
- তামাক বা নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিহার করতে হবে
- শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
- সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে শরীরকে আড়াল রাখতে হবে
- যৌন সম্পর্ক বৈধ ও নিরাপদ নিশ্চিত করতে হবে
টিউমার হলে কি খাওয়া নিষেধ - টিউমার হলে কি খাওয়া উচিত
এখন আলোচনা করা হবে টিউমার হলে কি খাওয়া নিষেধ এবং টিউমার হলে কি খাওয়া উচিত এ বিষয়ে।বিশেষজ্ঞরা বলেন ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য রোগীকে যদি বাড়তি কোন থেরাপি নিতে হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসা দানকারী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই থেরাপি নিতে হবে। বর্তমান সময়ে এমন কিছু পণ্য পাওয়া যায় যেগুলো ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হরমোন থেরাপি এবং কেমোথেরাপি আপনি ব্যাহত করে পাশাপাশি রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না।
যার ফলে রোগীর আরো খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মতে এমন কিছু ভেষজ রয়েছে যেগুলো রক্ত জমাট হতে বাধা দেয় সেগুলো হলঃ রসুন, জিনসেং এবং হলুদ। টিউমার এ আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে অবশ্যই খাওয়া-দাওয়া সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে হবে এ সময়।
এমন কোন খাদ্য গ্রহণ করা যাবে না যাতে শরীরের সুষ্ঠুভাবে কার্য সম্পাদন করতে পারে না। বর্তমান সময়ে ফলমূল শাকসবজিদের রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে যার ফলে এই সকল খাদ্য ও আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠছে। এই সকল কীটনাশক এর ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায় পাশাপাশি এগুলো টিউমার সৃষ্টি করতে পারে শরীরের বিভিন্ন অংশে।
সুষ্ঠুভাবে বলতে গেলে বিশেষজ্ঞরা বলেন প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি কেমিক্যাল মুক্ত ফল এবং শাকসবজি খাওয়া যাবে টিউমারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে তবে বাইরের খাবার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
টিউমার হলে আমাদের করণীয় - টিউমার ফেটে গেলে কি হয়
এখন আমরা জানার চেষ্টা করব টিউমার হলে আমাদের করণীয় কি এবং টিউমার ফেটে গেলে কি হয় এ বিষয়ে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বংশগত ভাবে টিউমার শরীরে দেখা দিতে পারে এছাড়া অস্বাভাবিক জীবন যাপন টিউমারের অন্যতম কারণ। হোমিওপ্যাথিতে টিউমারের বিশেষ কিছু চিকিৎসা রয়েছে এবং এই চিকিৎসা করে আরোগ্য পাওয়া সম্ভ।।
বিশেষজ্ঞরা বলেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ১০০ জন টিউমারে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিলে প্রায় ৭৫ জন রোগী বিনা অপারেশনে এ রোগ থেকে মুক্তি পায়। হোমিওপ্যাথির হিসেবে টিউমারের চিকিৎসায় প্রায় ২৮০টির বেশি টিউমারের লক্ষণ রয়েছে বলে জানা যায়। নিচে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিউমারের লক্ষণ দেওয়া হলোঃ
যদি পেটে টিউমার হয় সেক্ষেত্রে পেট ফুলে যায় পেটে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। ব্রেন টিউমার হলে সেক্ষেত্রে মাথায় প্রচন্ড ব্যথা সৃষ্টি হয় বমি বমি ভাব হয়। স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। টিউমার হলে সর্বপ্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে সেই অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। টিউমার যদি বেশি বড় হয় সে ক্ষেত্রে এলাপতি চিকিৎসা সবচেয়ে ভালো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অপারেশন করে নেয়া উত্তম।
তবে টিউমার যদি ছোট থাকে সে ক্ষেত্রে হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে এটি সেরে নেওয়া ভালো। বিশেষজ্ঞরা বলেন টিউমার যদি ফেটে যায় টিউমারের মধ্যে থাকা জীবাণুর কারণে শরীরের সেই স্থানে ক্যান্সারে সৃষ্টি হতে পারে।
টিউমার ক্যান্সারের লক্ষণ - টিউমার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ
আর্টিকেলের এই অংশে আমরা জানবো টিউমার ক্যান্সারের লক্ষণ এবং টিউমার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ গুলো কি কি এ বিষয়ে। টিউমার ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো হলঃ
- শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হীন টিউমার
- মুখের যে কোন অংশের ঘা বিভিন্ন ভালো ভালো চিকিৎসাতেও না কমা
- মলত্যাগের অভ্যাস হঠাৎ বদলে গেলে
- কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
- খাবারে অসুস্থ সৃষ্টি হওয়া
- খিদে কমে যাওয়া
- বমি বমি ভাব হওয়া
- শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালশিরে দাগ সৃষ্টি হওয়া
রোগীর শরীরে টিউমারের যে সকল লক্ষণ দেখা দিলে মৃত্যু হতে পারে সেই লক্ষণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করা
- ওজন হাঁস পাওয়া
- অস্বাভাবিক মাংসপেশি
- অতিরিক্ত জ্বর আসে
- দীর্ঘদিন ধরে কাশি হওয়া
- মলমূত্রত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন হওয়া
- অকারণে শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া
- খাবার গ্রহণের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি
শেষ কথাঃ টিউমারের লক্ষণ - ব্রেইন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ
আশা করি টিউমার থেকে বাঁচার উপায় এবং ব্রেইন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে যথাযথ ধারণা প্রদর্শন করতে পেরেছি। আপনারা যারা টিউমার থেকে বাঁচার উপায় এবং ব্রেইন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া টিউমার থেকে বাঁচার উপায় এবং ব্রেইন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
টিউমার থেকে বাঁচার উপায় এবং ব্রেইন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন।আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url