যক্ষা রোগের টিকা কে আবিস্কার করেন - যক্ষা রোগের লক্ষণ
আপনি কি যক্ষা রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানেন? একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসাবে
যক্ষা রোগের লক্ষণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। যক্ষা একটি সংক্রামক
রোগ এই রোগ ফুসফুসের হয়ে থাকে। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসি যক্ষা রোগের লক্ষণ
এবং যক্ষা রোগের টিকা সম্পর্কে।
বিভিন্ন কারণে যক্ষা হতে পারে। আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হলো যক্ষা রোগের
লক্ষণ এবং যক্ষা রোগের প্রতিকার। আপনি যদি শরীর সম্পর্কে সচেতন হন এবং যক্ষা
রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
পেজ সূচিপত্রঃ যক্ষা রোগের টিকা কে আবিস্কার করেন - যক্ষা রোগের লক্ষণ
ভূমিকা
প্রতিটি স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের জন্য যক্ষা রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে
অবগত থাকা উচিত । সঠিক খাদ্য অভ্যাসের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে শরীরকে দূরে রাখা
সম্ভব। শরীরকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখতে নিয়মিত পুষ্টিকর ও ফাইবারযুক্ত খাদ্য
খেতে হবে। যারা শরীরকে সুস্থ রাখতে চান এবং কিভাবে বুঝবেন আপনি যক্ষা রোগ
আক্রান্ত তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হলো। শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই
থাকুন ধন্যবাদ।
যক্ষা রোগের পরীক্ষা - যক্ষা কত প্রকার
যক্ষা রোগ সনাক্ত করার জন্য যে সকল পরীক্ষা করা হয় সেই পরীক্ষাগুলোর নাম
হলঃ এমটি টেস্ট, স্পুটাম টেস্ট, এক্স-রে, এফএনএসি, সিটি
স্ক্যান, স্মিয়ার টেস্ট, কালচার টেস্ট ইত্যাদি। যক্ষা রোগের
পরীক্ষার জন্য রোগের ধরন অনুযায়ী রোগীর লালা কফ হাড় সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।
যক্ষা প্রধানত দুই প্রকার জথাঃ সক্রিয় এবং সুপ্ত যক্ষা।
সক্রিয় যক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু লক্ষণ দেখা দেয় শরীরে তার মধ্যে
উল্লেখযোগ্য লক্ষণগুলির মধ্যে যক্ষা কোথায় সংক্রমণ করেছে এবং শরীরের কোন অংশে
প্রভাব ফেলছে তার ওপর নির্ভর করে। সাধারণত যক্ষ্মা হল ব্যাকটেরিয়া দ্বারা
সৃষ্টি হওয়া সংক্রামক রোগ। যক্ষা হলে ফুসফুসের উপর প্রচন্ড প্রভাব পড়ে।
যক্ষা রোগে সংক্রমিত ব্যক্তি যখন হাঁচি কাশি দেয় তখন এ রোগের জীবাণু পরিবেশে
বায়ুমন্ডলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলেন একজন যক্ষা রোগী প্রতিবছর
প্রায় আরো ১০ জন সুস্থ মানুষকে সংক্রমিত করে।
যক্ষা রোগের টিকা কে আবিস্কার করেন - যক্ষা রোগের লক্ষণ
Detailed Solution কোম্পানি ব্যাসিলাস ক্যালমেট-গুয়েরিন ভ্যাকসিন অর্থাৎ
যক্ষা রোগের ভ্যাকসিন ১৯২১ সালে আবিষ্কার করেন। এই ভ্যাকসিন আবিষ্কারকের নাম
হলঃ আলবার্ট ক্যালমেট ও ক্যামিল গুয়েরিন। এই ভ্যাকসিন যক্ষা প্রতিরোধের
জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। যক্ষা রোগের ব্যাকটেরিয়াকে সনাক্ত করার
জন্য প্রায় সময় লাগে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ।
বাংলাদেশে বাংলাদেশের কোলোসিসের জীবাণু খুব ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশসহ
বিশ্বের প্রায় ২২ টি দেশে কোলোসিসের জীবাণু মারাত্মক পরিমাণে রয়েছে। তবে
ভয় পাওয়ার কিছু নেই বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির ফলে বাংলাদেশের খুব
সহজেই এই রোগ চিকিৎসা করে ভালো করা সম্ভব। যক্ষা রোগের লক্ষণ গুলোর মধ্যে
উল্লেখযোগ্য হলঃ
- আক্রান্ত রোগীর ওজন কমতে থাকে।
- ধীরে ধীরে শরীর দুর্বল হতে থাকে।
- 21 দিনের বেশি কাশি থাকে
- খুশখুসে কাশি হয়, অনেক সময় কাশির সঙ্গে রক্ত বের হয়।
- বিকেলের দিকে জ্বর আসে।
- শরীরে জ্বর আসলও তাপমাত্রা খুব একটা বেশি বাড়ে না।
- রোগীর বুকে এবং পিঠে ব্যথা হয়।
যক্ষা রোগ কেন হয় - যক্ষা কি ছোঁয়াচে রোগ
এক কথায় বলা যায় যক্ষা একটি সংক্রমক রোগ অর্থাৎ যক্ষা রোগে আক্রান্ত রোগীর
সংস্পর্শে আসলে সুস্থ মানুষেরা যক্ষা হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি কাশি
থেকে নির্গত জীবাণু বাতাসের সঙ্গে মিশে অন্যান্য ব্যক্তিকে সংক্রমিত করে। একজন
যক্ষা রোগী প্রতিবছর প্রায় ১০ জন সুস্থ মানুষকে যক্ষা রোগের সংক্রমিত করতে
পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে যক্ষা রোগ হল বায়ুবাহিত এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ। এই রোগে
আক্রান্ত রোগীর স্পর্শ ছাড়াই সুস্থ ব্যক্তির শরীরে বায়ুর মাধ্যমে জীবাণু
প্রবেশ করতে পারে। এই যক্ষা রোগের জীবাণু একজন সুস্থ ব্যক্তির শরীরে সর্বপ্রথম
ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। যক্ষা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হাসি কাশি কথা বলার
মাধ্যমে ও এ রোগ ছড়াতে পারে।
যক্ষা রোগীর খাবার তালিকার - যক্ষা রোগের ভ্যাকসিনের নাম কি
সাধারণত ভিটামিন এ সি এবং ই এর অভাবে যক্ষা রোগের সৃষ্টি হয়। যক্ষা রোগে
আক্রান্ত রোগীদের এই ভিটামিনযুক্ত খাদ্যগুলো গ্রহণ করা খুবই জরুরী। এই সকল
ভিটামিন রয়েছে টমেটো বাদাম আমলকি ইত্যাদিতে। মাছ ও মুরগির মাংস প্রচুর
পরিমাণে পাওয়া যায় ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যা একাধিক ভিটামিনের মিশ্রণ এটি
আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপযোগী হিসেবে বিবেচিত।
ব্যাসিলাস ক্যালমেট-গুয়েরিন শরীরে দেওয়া থাকলে যক্ষা রোগ থেকে শরীরকে বাঁচানো
সম্ভব। আর যেহেতু যক্ষা বায়ুবাহিত রোগ এইজন্য সংক্রমিত ব্যক্তির কথা হাঁচি
কাশি ইত্যাদির মাধ্যমে বায়ুতে এ রোগ ছড়াতে পারে যা পরবর্তীতে সুস্থ মানুষের
ফুসফুসে জমা হয়। মনে রাখতে হবে যক্ষা রোগে আক্রান্ত রোগীর কাছে থেকে কিন্তু
যক্ষা রোগের জীবাণু ছড়ায় না। যক্ষা রোগের জীবাণু বেশ কয়েক ঘন্টা বাতাসে
থাকতে পারে। পরবর্তীতে এই জীবাণু সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করে।
যক্ষা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা - যক্ষা রোগের কারণ
সাধারণত যক্ষা রোগ হয় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে। এই রোগ সৃষ্টি হলে
সবচেয়ে বেশি ফুসফুস সংক্রমিত হয় বা ফুসফুসের ক্ষতি হয়। এই রোগের
ব্যাকটেরিয়া রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কের কিছু অংশ গর্ভাশয় এবং শরীরের বিভিন্ন
অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগ দীর্ঘদিন শরীরে থাকলে প্রজননতন্ত্র , হাড়ের ক্ষয়
অন্ত , সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
যক্ষার শুরুর দিক থেকে চিকিৎসা যদি সঠিক না দেওয়া হয় রোগীকে সে ক্ষেত্রে এটি
মৃত্যুর কারণ হতে পারে। কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করলে যক্ষা থেকে শরীরকে
মুক্ত রাখা সম্ভব তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
যক্ষা নিরাময়ের ঘরোয়া কিছু উপায় হলঃ
- তিন বেলা এক কোয়া রসুন খেতে হবে।
- পরিমিতভাবে মধু ও মাখন খেতে হবে।
- খাওয়ার পরে লবঙ্গ গুলোর সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
- প্রতিদিন নিয়মিত আঙ্গুর খেতে পারেন।
- নিয়মিত ভাবে কলা খেতে হবে।
শেষ কথা
আশা করি যক্ষা রোগের লক্ষণ এবং যক্ষা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে যথাযথ
ধারণা প্রদর্শন করতে পেরেছি। আপনারা যারা যক্ষা রোগের লক্ষণ এবং যক্ষা রোগের
ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা
হয়েছে। এছাড়া যক্ষা রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি
আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যক্ষা রোগের লক্ষণ সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে সেই
প্রশ্ন করতে পারেন।আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই
থাকুন ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url