হস্ত মৈথুন থেকে বাচার উপায় - হস্ত মৈথুনের ক্ষতি কি
আপনি কি হস্ত মৈথুন থেকে বাঁচার উপায় এবং এর ক্ষতিকর দিক কি এ সম্পর্কে
জানতে চান? বিশেষজ্ঞদের মতে হস্তমৈথুন শারীরিক সক্ষমতা ধীরে ধীরে নিকৃষ্ট করে।
আমাদের কাছে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে হস্ত মৈথুন থেকে বাঁচার উপায়
সম্পর্কে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব হস্ত
মৈথুন থেকে বাঁচার উপায় এবং হস্তমৈথুনের কুফল সম্পর্কে।
ইসলামী শরীয়তে হস্ত মৈথুন থেকে বাচার উপায় রয়েছে। ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী
হস্তমৈথুনকে হারাম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। হস্তমৈথুনের অভ্যাস একটি মারাত্মক
অভ্যাস যার কারণে ধীরে ধীরে শরীর অক্ষম হয়ে পড়ে।
এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় এর পাশাপাশি
হস্তমৈথুনের ফলে শারীরিক কি কি সমস্যা হতে পারে এর সম্পর্কে আলোচনা করব।
বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।
ভূমিকা
আপনি কি স্বাস্থ্য নিয়ে খুব চিন্তিত? হস্ত মৈথুন থেকে বাচার উপায় সম্পর্কে সঠিক
তথ্য জানতে চান? আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা হস্ত মৈথুন থেকে বাচার উপায়
এবং হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর দিক কি এ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাবো। এই
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে আপনি হস্ত মৈথুন থেকে বাচার উপায় , হস্ত
মৈথুনের ক্ষতি কি , হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত , হস্ত মৈথুনের ফলে কি কি
ক্ষতি হয় এ সকল বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত
হবেন।
হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত - হস্ত মৈথুন থেকে বাচার উপায়
এখন আলোচনা করা হবে হস্ত মৈথুন থেকে বাঁচার উপায় এবং হস্তমৈথুনের কতদিন পর করা
উচিত এ বিষয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে সপ্তাহে সর্বোচ্চ পাঁচবার হস্তমৈথুন করা যেতে
পারে। যদি হস্তমৈথুন করার ইচ্ছা জাগে বা উত্তেজনা শারীরিক সৃষ্টি হয় সেক্ষেত্রে
শারীরিক পরিশ্রমের কাজ বা ব্যায়াম করা উচিত। হস্তমৈথুনের মাধ্যমে শারীরিক যে
ক্লান্তি আসে সেই ক্লান্তি যতক্ষণ পর্যন্ত কাজের মাধ্যমে না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত
কাজ বা ব্যায়াম চালিয়ে যেতে হবে। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে হস্তমৈথুনকে হারাম করা
হয়েছে।
বিজ্ঞানের ভাষা হস্তমৈথুন হল একটি শারীরিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে শারীরিক
উত্তেজনাকে স্বাভাবিক করা হয়। তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হস্তমৈথুনের ফলে শারীরিক
বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। শারীরিক ক্ষতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলোঃ
শারীরিক সক্ষমতা হ্রাস পাওয়া , স্ত্রীর সঙ্গে বিশেষ মুহূর্তে অক্ষম হয়ে পড়া ,
শারীরিকভাবে দুর্বল অনুভব করা ইত্যাদি।
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কারণে যুবকরা হস্তমৈথুনের শিকার হয়ে পড়ে। এ থেকে বাঁচার
বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো ব্যায়াম , দ্বিতীয় টি হল যখনই
শারীরিক অনুভূতি সৃষ্টি হবে শীতল পানি দিয়ে গোসল করা , তৃতীয় নাম্বারে রয়েছে
প্রতিদিন নিয়ম করে নির্ধারিত সময় মেডিটেশন করা ইত্যাদি।
হস্ত মৈথুনের ক্ষতি কি - হস্ত মৈথুনের ফলে কি কি ক্ষতি হয়
নিয়মিত হস্তমৈথুন করলে এটি নেশার পর্যায়ে চলে যেতে পারে। হস্তমৈথুনের অভ্যাস
স্বাভাবিক জীবন যাপনে প্রভাব ফেলতে পারে। ছেলে ও মেয়ে উভয়েই উত্তেজনা মুহূর্তে
বেশিরভাগ সময় হস্তমৈথুন করে থাকে। হস্তমৈথুনের মাধ্যমে মেয়েদের ক্ষেত্রে যোনির
ভিতরের অংশে জ্বালা সৃষ্টি হতে পারে এছাড়া এটি পরবর্তীতে ইনফেকশনের সৃষ্টি করতে
পারে।
সাধারণত ক্ষত সৃষ্টি হলে বা ত্বক ছুরে গেলে জ্বালার সৃষ্টি হয়।
নিচে হস্তমৈথুনের ফলে শারীরিক যে সমস্যা সৃষ্টি হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করা
হলোঃ
- বীর্য ধারণ ক্ষমতা কমে যায়।
- দ্রুত বীর্যপাত হয়
- বৈবাহিক জীবনে অক্ষমতা সৃষ্টি হয়
- বীর্যে শুক্রানুর মাত্রা কমে যায়
- শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে
- নার্ভ হার্ট ইমিউনিটি সিস্টেম অক্ষম হয়ে পড়ে
- যৌনাঙ্গ একেবারে দুর্বল হয়ে পড়ে
মেয়েরা হস্তমৈথুন করলে কি সমস্যা হতে পারে - মাস্টারবেশন করলে কি ক্ষতি হয়
ইসলামিক শরীয়ত মতে যে সকল কাজ করলে শরীরের ক্ষতি হয় সেগুলোকে হারাম করা
হয়েছে। এর মধ্যে একটি হল হস্তমৈথুন করা। বিশেষজ্ঞদের মতে কোন কিছুই অতিরিক্ত
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। অনেক সময় হস্তমৈথন নেশার রূপ নিতে পারে।
মেয়েরা হস্তমৈথুন করলে যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে সে সকল সমস্যাগুলোর
নিচে আলোচনা করা হলোঃ
আরো পড়ুনঃ স্বপ্নদোষ কেন হয় এ সম্পর্কে জেনে নিন
- সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে খামখেয়ালী সৃষ্টি করতে পারে
- প্রজননেন্দ্রিয় এ আঘাত লাগার ফলে ইনফেকশন হতে পারে
- পুরুষের ক্ষেত্রে এটি বিশেষ সময় দুর্বলতা সৃষ্টি করে
- এটি শরীরের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে
বর্তমান সময়ে যৌন খেলনা বের হয়েছে যা মহিলাদের ভেতরে বেশি জনপ্রিয় হয়ে
উঠেছে। যা ছেলেদের উপর নির্ভরশীলতা কমাচ্ছে পাশাপাশি যৌন সম্পর্কিত মারাত্মক
রোগের সৃষ্টি করছে। মাস্টারবেশন করলে যে সকল ক্ষতি হয় শরীরের সেগুলো হলোঃ
- শারীরিকভাবে বন্ধ্যাত্বের সৃষ্টি হয়
- শারীরিক ইমিউনিটি পাওয়ার কমে যায়
- বিশেষ মুহূর্তে দুর্বলতা সৃষ্টি হয়
- খুব অল্প সময়ে বীর্যপাত হয়
- হজম ক্ষমতা অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে
- মানসিক বিভিন্ন সমস্যা জন্ম নেয়
- দৃষ্টিশক্তি কমে যায়
অতিরিক্ত হস্তমৈথূন্য জনিত সমস্যা সমাধান - কত দিন পর পর বীর্য ফেলা উচিত
হস্তমৈথুন হলো শারীরিক যৌন একটি প্রক্রিয়া মাত্রার মধ্যে রেখে হস্তমৈথুন
শরীরের জন্য ভালো হলেও অতিরিক্ত বা আসক্তিরূপে হস্তমৈথুন করলে এটি স্বাস্থ্যের
বিরাট বড় ক্ষতি করতে পারে। হস্তমৈথুনের অভ্যাসের কারণে অনেক যৌন জীবন ধ্বংস
হয়ে গেছে। অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে মানুষ দুই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয় একটি
হল শারীরিক সমস্যা অপরটি হল মানসিক সমস্যা।
শারীরিক সমস্যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মাথা ব্যথা করা এছাড়া মাথা ঘোরা যা
গলানো ইত্যাদি। যৌন প্রক্রিয়ার সাথে নিবিড় ভাবে জড়িত স্নায়ুতন্ত্র।
নিয়মিত হস্তমৈথুনের ফলে স্নায়ু দুর্বল হয়ে পড়ে এছাড়া স্নায়ু এমন
পরিস্থিতিতে চলে যায় যে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এছাড়া দৃষ্টিশক্তি অনেকটা
কমে যায় যার ফলে মাথা ঘোরা সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
হস্তমৈথুনের ফলে হার্টবিট প্রচন্ড পরিমাণে বেড়ে যায় এছাড়া নার্ভ ফেল করতে
পারে এ সময়।
বিশেষজ্ঞদের মতে সপ্তাহের সর্বোচ্চ পাঁচবার হস্তমৈথুন স্বাস্থ্যের জন্য জরুরী
বলে একটি গবেষণা দেখা গেছে। তবে মানুষের শরীরের উপর ভিত্তি করে এটি ভিন্ন হতে
পারে। অপরদিকে বিশেষজ্ঞরা বলেন হস্তমৈথুন এড়িয়ে চলা গেলে এর সঙ্গে যুক্ত
হওয়া ঠিক নয়।
হস্ত মৈথুন সম্পর্কে ইসলাম কি বলে - ছেলেদের হস্তমৈথুনের ঘরোয়া চিকিৎসা
হস্ত মৈথুন থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ইসলাম দিয়ে থাকে। ইসলামী
শরীয়তে হস্তমৈথুন সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে হাদিসে এসেছে
হস্তমৈথুন হারাম। ইসলামী বিশারদ ও ইসলামী আইন বিদ দের মতে হস্তমৈথুন হারাম বা
নাজায়েজ। ইসলাম বলে যদি কোন সময় হস্তমৈথুন এর প্রয়োজন পড়ে তখন গোসল করতে হবে
অথবা ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যায়াম করতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না শরীরে হস্তমৈথুনের
শক্তি শেষ না হয়।
আরো পড়ুনঃ যিনা থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
হস্তমৈথুন থেকে নিজেকে দূরে রাখার মাধ্যমে ইসলামী শরীয়ত মান্য করা হয় বলে মনে
করেন বিশেষজ্ঞরা। নিয়মিত পরিশ্রম মেডিটেশন ও নামাজ পড়লে হস্তমৈথুন থেকে নিজেকে
দূরে রাখা যাবে ইনশাআল্লাহ। মহিলাদের ক্ষেত্রে হস্তমৈথুনকে হারাম হিসেবে
গণ্য করা হয়েছে যেমনি করা হয়েছে পুরুষদের ক্ষেত্রে। এটি শারীরিক নেশার মতো হয়ে
উঠতে পারে যা স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করে। এটি যোনিতে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে যার
ফলে ইনফেকশন এর সৃষ্টি হয়।
শেষ কথাঃ হস্ত মৈথুন থেকে বাচার উপায় - হস্ত মৈথুনের ক্ষতি কি
প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি পুরো আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়েছেন এবং হস্ত মৈথুন
থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে যথাযথ ধারণা পেয়েছেন। হস্ত মৈথুন থেকে বাঁচার
উপায় এবং হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আপনার কি কোন প্রশ্ন রয়েছে?
যদি কোন প্রকার প্রশ্ন থাকে হস্ত মৈথুন থেকে বাঁচার উপায় এবং হস্ত মৈথুনের
ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে তাহলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে সে প্রশ্ন করতে পারেন।
আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে হস্ত মৈথুন থেকে
বাঁচার উপায় সম্পর্কে অবগত হওয়া আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্য। এমন আরো আর্টিকেল
পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url