শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম - জ্বর কত হলে সাপোজিটরি দিতে হবে
আপনি কি জানেন শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে? আজ আমরা এই
আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করতে চলেছি শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম
সম্পর্কে। সাধারণত শিশুর শারীরিক গঠন বয়স ওজন এর ওপর ভিত্তি করে সাপোজিটরি
দেওয়া হয়ে থাকে। তাহলে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসি শিশুদের সাপোজিটরি
ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
শিশুদের স্বাস্থ্যের প্রতি সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন এই জন্য কখন কোন রোগে ভুগছে
শিশু সেই সম্পর্কে জানা উচিত শিশুর আচরণ দেখে। শিশুরা জ্বর এ আক্রান্ত হলে
শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম কখন এ সম্পর্কে আপনার জেনে রাখা উচিত। নাপা
সাপোজিটারি ২৫০ ব্যবহার এবং শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে
সঠিক কিছু তথ্য এই আর্টিকেলে উপস্থাপন করা হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম - নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার
- ভূমিকা
- কত ঘন্টা পর পর সাপোজিটরি দেয়া যায় - শিশুদের জ্বরের সাপোজিটরি
- শিশুদের গ্লিসারিন সাপোজিটরি - জ্বর কত হলে সাপোজিটরি দিতে হবে
- শিশুর জ্বর ১০৩ হলে করণীয় - সাপোজিটরি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- শিশুদের কত ঘন্টা পর পর সাপোজিটরি দেয়া যায় - শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম
- নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার - নাপা সাপোজিটরি ১২৫ ব্যবহার - এইচ সাপোজিটরি ১২৫
- শেষ কথা
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আপনি আজকে এই আর্টিকেল মাধ্যমে জানতে পারবেন শিশুদের সাপোজিটরি
ব্যবহারের নিয়ম এবং নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার সঠিক একটি পরার্মশ পাবেন। আপনি
এই আর্টিকেল পড়ে অতিরিক্ত জ্বর হলে এবং শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম এছাড়া
শিশুদের গ্লিসারিন সাপোজিটরি , শিশুদের কত ঘন্টা পর পর সাপোজিটরি দেয়া
যায় এবং শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি এই সমস্ত বিষয়ে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
কত ঘন্টা পর পর সাপোজিটরি দেয়া যায় - শিশুদের জ্বরের সাপোজিটরি
প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা ও পুরুষদের ক্ষেত্রে জ্বর শরীর ব্যথা কমানোর
জন্য Suppol 250 MG Suppository ব্যবহার করা যেতে পারে। অবশ্যই মনে রাখতে
হবে সাপোজিটারি এর সাধারণ ডোজ ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর পর দেওয়া হয়ে থাকে। তবে মাথায়
রাখতে হবে 24 ঘন্টায় বা একদিনে তিনবারের ওপর সাপোজিটরি ব্যবহার করা যাবে না।
শিশুর জ্বর হলে যদি শিশু ওষুধ খেতে না পারে বা ওষুধ খেলে বমি হয়ে বের হয়ে যায়
সে ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল সাপোজিটারি পায়ুপথের মাধ্যমে দেওয়া যেতে পারে।
প্যারাসিটামল সাপোজিটারি শিশুর শরীরে সৃষ্টি হওয়া ব্যথা এবং জ্বর কমাতে বিশেষ
ভূমিকা রাখে। সাধারণত চিকিৎসকরা বাচ্চার বয়স ওজন এবং শারীরিক গঠনের উপর ভিত্তি
করে সাপোজিটরি ব্যবহার করে থাকে।
কোন বাচ্চার বয়স যদি 5 থেকে 12 বছরের মধ্যে হয় এবং সেই বাচ্চাকে যদি সাপোজিটারি
দেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে চিকিৎসকরা নাপা সাপোজিটার ৫০০ এমজি দিয়ে থাকেন। নাপা
সাপোজিটারি ব্যবহার করা হয় মূলত শিশুর শরীরের জ্বর বমি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য।
শিশুদের গ্লিসারিন সাপোজিটরি - জ্বর কত হলে সাপোজিটরি দিতে হবে
সাধারণত শুষ্ক ত্বক ঠান্ডা প্রদাহ সোরিয়াসিসের এর মত বিভিন্ন ধরনের ত্বকের
সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য গ্লিসারিন সাপোটারি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
গ্লিসারিন সাপোজিটর সাধারণ সেই সকল জায়গাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে শরীরের যে সকল
জায়গায় তৈলাক্ততা প্রয়োজন। দুই থেকে তিন মাস বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়ার পরে
অনেক সময় দেখা যায় তারা জ্বর এ আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।
এ সময় জ্বর কমানোর জন্য ৬০ মিলিগ্রাম ডোজের সাপোজিটারি ব্যবহার করা যেতে পারে
শিশুর জন্য। যদি শিশুর জ্বর ১০২° ফারেনহাইটের কম হয় সেক্ষেত্রে মুখে ঔষধ
খাওয়ানো উচিত। অপরদিকে যদি ১০২° ফারেনহাইট এর বেশি জ্বর হয় সে ক্ষেত্রে শিশুকে
এ পি এ সাপোজিটারি ১২৫ বা ২৫০ মিলিগ্রাম বয়স অনুযায়ী পায়ুপথে দেওয়া যেতে
পারে।
শিশুরা যদি সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয় সে ক্ষেত্রে এন্টিহিস্টামিন জাতীয়
ট্যাবলেট দিনে তিনবার খাওয়ানো যেতে পারে। এই অ্যান্টিহিস্টামিন এর সিরাপও পাওয়া
যায় যা প্রতি সন্ধ্যায় এক চামচ করে খাওয়ানো যেতে পারে শিশুদের।
শিশুর জ্বর ১০৩ হলে করণীয় - সাপোজিটরি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
পারোতো পক্ষে চেষ্টা করতে হবে যেন সাপোজিটারি ব্যবহারের প্রয়োজন না পড়ে।
সাপোজিটারই শরীরে কার্যকর হতে সময় নেই প্রায় এক ঘন্টা। শিশুর জ্বর যদি
১০০ থেকে ১০২° হয় সেক্ষেত্রে পানিতে স্যাভলন বা অ্যান্টিসেপটিক মিশিয়ে গামছা বা
সুতি কাপড় পানিতে ভিজিয়ে শরীর মুছে দিতে পারেন। এছাড়া এমন অবস্থায় মুখে ঔষধ
খাওয়ানো যথেষ্ট। শিশুদের জ্বর ১০৩ ডিগ্রি হলে সাপোজিটার ব্যবহার করা যেতে পারে।
শিশু জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে বিশ্রাম দিতে হবে।
মনে রাখতে হবে শরীরের জ্বর বাসা বাঁধলে শরীরে তরল পদার্থের ঘাটতি দেখা দেয় এজন্য
তরল জাতীয় বিভিন্ন খাদ্য খাওয়াতে হবে। যেমনঃ ফলের রস , লেবুর জল , ভাতের মাড়
,সুপ ইত্যাদি। এছাড়া টক জাতীয় বিভিন্ন ধরনের খাদ্য খাওয়ানো যেতে পারে। শরীর
দুর্বল হলে শরীরে রোগ ব্যাধি বেশি আক্রান্ত হয় এই জন্য পরিমাণে অল্প হলে
পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে সুপ্পল ২৫০ এম
জি সাপোজিটার শরীরের জন্য ক্ষতিকর ।
এটি ব্যবহারে ক্ষুধা লাগে বমি বমি ভাব হয় পেটে ব্যথা ত্বক ও চোখের রং পরিবর্তন
এবং গাড় রঙের প্রস্রাব হয়ে থাকে। ডাক্তাররা বলে জ্বরের প্রথম অবস্থাতে
প্যারাসিটামল ওষুধ খাওয়ানো উচিত খাওয়ানোর এক ঘন্টা পরেও যদি জ্বর না কমে
সেক্ষেত্রে সাপোজিটার ব্যবহার করা যেতে পারে। দিনে তিনবার সাপোজিটার ব্যবহার করা
যেতে পারে। জ্বর এক সপ্তাহের বেশি শরীরে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী
এন্টিবায়োটিক ঔষধ খেতে হবে।
শিশুদের কত ঘন্টা পর পর সাপোজিটরি দেয়া যায় - শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম
দুই থেকে তিন মাস বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়ার পরে যদি প্রচন্ড জ্বর আসে
সেক্ষেত্রে ৬০ মিলিগ্রাম does এর একটি সাপোজিটর ব্যবহার করা যেতে পারে। শিশুদের
ক্ষেত্রে চার থেকে ছয় ঘন্টা পর পর সাপোজিটারি এর ডোজ দেওয়া যায়। ট্যাবলেট বা
সিরাপ খাওয়ানোর প্রায় আধা ঘন্টার মধ্যে জ্বর কমতে থাকে কিন্তু সাপোজিটারের
কার্যক্ষমতা শুরু হতে প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগে।
একটি বিষয় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে জ্বর এর জন্য শিশুকে প্যারাসিটামল খাওয়ানোর
পরে সর্দি কাশির জন্য প্যারাসিটামল মেশানো অন্য কোন ঔষধ খাওয়ানো যাবে না। অবশ্যই
মাথায় রাখতে হবে সর্দি কাশির কিছু ঔষধে প্যারাসিটামল মেশানো থাকে। শিশুকে কোন
ওষুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই প্যাকেটের গায়ে লিখা নির্দেশিকা পড়ে নিতে হবে।
বহুকাল আগে থেকেই প্যারাসিটামল বড় বা ছোট সকলের জন্যই শরীরের ব্যথা নাশক এবং
জ্বরের চিকিৎসায় কাজ করে আসছে। মাত্রা অতিরিক্ত কোন ঔষধি শরীরের জন্য ভালো
নয়। শিশুরা ভুলক্রমে যদি কোন ঔষধ খেয়ে ফেলে তাহলে এটি তার জন্য ক্ষতিকর হিসাবে
বিবেচিত হতে পারে তাই সকল ঔষধ শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন।
নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার - নাপা সাপোজিটরি ১২৫ ব্যবহার - এইচ সাপোজিটরি ১২৫
অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চাদের ঘুমের মধ্যে যার বৃদ্ধি পেয়ে যায় এজন্য বাবা
আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। জ্বর যদি ১০০ ডিগ্রি থেকে ১০২° পর্যন্ত উঠে যায়
সেক্ষেত্রে প্যারাসিটামল বা প্যারাসিটামল জাতীয় সিরাপ খাইয়ে দিতে হবে
পাশাপাশি পানি দিয়ে শরীর মোছায় দিতে হবে। জ্বর যদি ১০২ ডিগ্রীর বেশি হয়
সেক্ষেত্রে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসাবে মাথায় পানি ঢালতে হবে এতে খুব দ্রুত জ্বর
কমে যায়।
শরীরের তাপমাত্রা যদি ১০৪ বা ৩ হয়ে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত পানির ঢালতে হবে
যতক্ষণ পর্যন্ত তাপমাত্রা ১০০ বা ১০০ এর নিচে না নামে। ৫ থেকে ১২ বছরের যে কোন
বাচ্চার অতিরিক্ত জ্বর হলে নাপা সাপোজিটারি ৫০০ ব্যবহার করা পরামর্শ দিয়ে
থাকেন ডাক্তাররা। অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে শিশুদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ
ছাড়া কখনো ওষুধ খাওয়ানো উচিত নয়।
শিশু যদি বাঁশের তুলনায় আকারে ছোট বা ওজন কম হয় লিভার অথবা কিডনিতে সমস্যা
থাকলে খিচুনি রোগের ঔষধ সেবন করলে যক্ষা বা টিভি রোগের জন্য ওষুধ সেবন করলে
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়াতে হবে।
শেষ কথাঃ শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম - নাপা সাপোজিটরি ২৫০ ব্যবহার
প্রিয় পাঠক আজ আমরা শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম নিয়ে একটি আর্টিকেল
তৈরি করেছি। আমাদের এই আর্টিকেলটিতে শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম নিয়ে
আলোচনা করা হয়েছে বিস্তারিতভাবে। আশাকরি, আমাদের এই শিশুদের সাপোজিটরি
ব্যবহারের নিয়ম এর আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগবে এবং এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে
আপনি উপকৃত হবেন।
শিশুদের সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকলে আমাদের
কমেন্টের মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন। এই ধরনের আরও নতুন নতুন পোস্ট পেতে
আমাদের সঙ্গেই থাকুন, ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url