লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা - লিচুর পুষ্টিগুণ

আজ আমরা জানবো লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা ও লিচুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। লিচু একটি মৌসুমী পুষ্টি গুণসম্পন্ন এক ধরনের ফল এই ফল যেমন সুস্বাদু তেমন আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে আসি লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা শরীরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার জন্য এই লিচু খাওয়ার পরামর্শ দেন।
লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা - লিচুর পুষ্টিগুণ
লিচুর উপকারী দিকগুলো অনেক ভিটামিন এবং নানা খনিজ উপাদান রয়েছে নিশিতে যেগুলো রক্তের উপাদান তৈরি করতে সহযোগিতা করে থাকে। এছাড়া ত্বকের বলি রেখা দূর করে এবং দাগ কমিয়ে দেয় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না এবং ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে। এতে ভিটামিন ও নানা খনিজ উপাদান থাকায় এ ফল রক্তের উপাদান তৈরি করতে বিশেষভাবে সহযোগিতা করে থাকে।  

লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা - লিচু খাওয়ার নিয়ম

আজ আমরা আলোচনা করব লিচুর উপকারী বিষয় সম্পর্কে কারণ লিচু একটি খুবই প্রয়োজনীয় মৌসুমী ফল যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন উপকারী পুষ্টি যোগান দিয়ে থাকে। শরীরে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করে। লিচু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুণে বাড়িয়ে তোলে এই লিচু। লিচুতে ভিটামিন নানা খনিজ উপাদান রয়েছে যেগুলো রক্তের উপাদান তৈরি করে এছাড়া এন্টি বডি বৃদ্ধি করে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখে।
 
এছাড়া ব্রণের দাগ বলিরেখা সহ মেয়েদের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে এই পুষ্টিকর ফল লিচু। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় লিচুর উৎপন্ন হয় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। যদি লিচু মৌসুমে লিচু খাওয়া যায় তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। লিচুতে ভিটামিন ও নানা খনিজ উপাদান থাকে এর ফলে রক্তের উপাদান তৈরি করে রক্ত পরিষ্কার করে এবং বিভিন্ন ধরনের জীবাণু নাশ করে থাকে রক্তের।

প্রতিটি জিনিসেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তেমনি এ ফল যেমন আমাদের শরীরের জন্য ভালো তেমনি এটি অতিরিক্ত খেলে এর কিছু সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তা নিচে আলোচনা করা হলোঃ অতিরিক্ত মাত্রায় লিচু খেলে রক্তচাপ অস্বাভাবিক ভাবে কমে যেতে পারে। লিচু ওজন বৃদ্ধি করতে প্রচুর পরিমাণে সহায়তা করে থাকে। প্রোটিন ক্যালসিয়াম জরুরি ফ্যাটি অ্যাসিড নেই ফলে বেশি পরিমাণে লিচু খেলে শরীরের স্বাভাবিক ব্যালেন্স নষ্ট করে ফেলে।
লিচু বেশ পুষ্টিকর ও মজাদার ফল কিন্তু খালি পেটে অনেক লিচু খাওয়ার সঠিক নয় বিশেষ করে শিশুদের। কারণ তাদের দেহের বিপাক প্রক্রিয়া পরিপক্ক নয় কাঁচা বা পাকা লিচু গাছ থেকে পেড়ে খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত লিচু খেলে শরীরে একটি এনজাইম নির্গত হয় যা বিষক্রিয়ার মত কাজ করে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন এ বিষয়ে ভরা পেটে বা খাবার গ্রহণের পর সঙ্গে পাঁচ থেকে সাতটি লিচু খাওয়া নিরাপদ।

লিচুর খোসা শিশুরা যেন মুখে পড়ে না চষে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে কেননা এতে অনেক সময় কীটনাশক বা বাদুরের লালা লেগে থাকতে পারে শিশুদের খোসা ছাড়িয়ে বাটিতে পরিমিত লিচু পরিবেশন করুন এতে অনেকটাই সুস্থ থাকতে পারবে আপনার শিশু বা আপনি।

লিচুর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা - লিচু পাতার উপকারিতা

পুষ্টিগুণের দিক থেকে এ লিচু অতুলনীয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি বিদ্যমান থাকে। হাড় দাঁত চুল ত্বক ভালো রাখতে লিচু খাওয়া যেতে পারে। হিসাব করে দেখা গেছে 100 গ্রাম লিচুতে রয়েছে শর্করা ফাইবার 13.6 এক গ্রাম ক্যালোরি ৬১ ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম লৌহ ০.৭ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি ৩১ মিলিগ্রাম যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।
যেমন লিচুর উপকারিতা রয়েছে তেমনি লিচুর পাতার উপকারিতা অনেক লিচুর পাতা নির্যাস প্রদাহ জনক কোষ গুলির অনুপ্রবেশ এবং অত্যাধিক জমা এবং এ ফাইভ গ্রোসিস হাস করে টিস্যুর প্রদাহ এবং আঘাত কমাতে সাহায্য করে।

লিচু পাতার অপকারিতা - লিচুর বিচি খেলে কি হয়

বীজের মধ্যে মিথি নীল এর সাইক্লোপ্রোফাইল গ্লাইসিস থাকে যা হাইপোগ্লাইসেমিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য খেয়াল রাখতে হবে শিশুরা যেন কখনোই বিজ খেয়ে না ফেলে। এছাড়া লিচুর বীজ খেলে মানসিক সক্ষমতা অনেকটা লোপ পায় এটি ভিয়েতনাম এবং ভারতে বেশি দেখা যায়। তবে এটা মনে রাখতে হবে লিচুর বীজ গিলে ফেললে কোনরকম সমস্যা হবে না শুধু লিচু নয় অন্য যে কোন ফলের বীজ গেলে ফেললে কোন সমস্যা হয় না হয় হজম হয়ে যাবে এর বোমের সাথে বাহির হয়ে যাবে তবে ফলের বীজ গিলা থেকে বিরত থাকুন কেননা কিছু ফলের বিজ আকারে বড় হয় এবং তা গলায় আটকে যেতে পারে।

খালি পেটে লিচু খেলে কি হয় - লিচুর অপকারিতা

আমরা যখন খালি পেটে থাকি তখন স্বাভাবিকভাবে আমাদের শরীরে শর্করা পরিমাণ কমে যায় এ সময় লিচু খাওয়া হলে সিন নামক উপাদানটি শরীরের শর্করার পরিমাণ একেবারে শুন্য পর্যায়ে নিয়ে চলে যায়। যে কারণে দেখা দেয় বিষক্রিয়া তাই এই বিষক্রিয়া থেকে বাঁচতে খালি পেটে লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

পরিমাণে বেশি লিচু খেলে তাই যে পরিমাণে ক্যালরি জমা হয় তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে তাতে আমাদের ওজন বেশ ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়। মাত্রা অতিরিক্ত লিচু খেলে রক্ত অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে। লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট হয় বুক ধরফর করা সমস্যা সৃষ্টি হয় মাথা ঘোরানো বমি ভাব ইত্যাদি হতে পারে।

লিচু পাতার বৈশিষ্ট্য - লিচু কোন মাটিতে ভালো হয়

অভিসারী বিবর্তনের কারণে লিচু গাছের পাতা লাউ রেশিয়া পরিবারের গাছগুলোর পাতার মতো এইরকম দেখতে হয় এবং এগুলি পাতার আর বিকাশের মাধ্যমে পানিকে দূরে রাখার মত উপযোগী হয়ে ওঠে এগুলিকে লাওরাফিল পাতা বলা হয়।
সব মাটিতে লিচু ভালো হয় তবে প্রচুর জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ নিষ্কাশিত ও গভীর দোআঁশ মাটি লিচু চাষের জন্য সর্বোত্তম। জলবদ্ধ জায়গায় লিচু চাষ করা ঠিক নয় এতে সঠিক ফলন নাও আসতে পারে। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশ ভারত সবচেয়ে বেশি লিচু উৎপাদন করে থাকে। বর্তমান সময়ে লিচু লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় অধিক চাষীরা লিচুর বাগান গড়ে তুলছেন।

শেষ কথাঃলিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা - লিচুর পুষ্টিগুণ

আপনারা যারা লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা - লিচুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা - লিচুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url