জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের উপায় - জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে বিবেচ্য বিষয়

প্রিয় পাঠক আপনি কি আপনার জীবনের লক্ষ্য কি নিয়ে হবে সেই বিষয় নিয়ে খুবই চিন্তিত? আপনার জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের উপায় গুলো কি কি সেসব বিষয় সম্পর্কে আপনি জানতে চান? লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হলে সে ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় গুলি কি কি হতে পারে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত আপনার জানার ইচ্ছা থাকতে পারে।
জীবনের_লক্ষ্য_নির্ধারণের_উপায়__জীবনের_লক্ষ্য_নির্ধারণে_বিবেচ্য_বিষয়
তাহলে বলবো অবশ্যই আমার এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। কারণ আজকে আমি আমার এই আর্টিকেলটিতে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের উপায় সমূহ এবং জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের বিবেচ্য বিষয় গুলি কি কি হতে পারে এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হলে আমাদের কি কি করতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সঙ্গে থাকলে আপনার উপকার হবে। 

মানুষ জীবনে উচ্চতায় তখনই পৌঁছাতে পারে যখন তার লক্ষ্য ঠিক থাকে। জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে ঠিক রাখতে হবে আপনার মানসিক একাগ্রতা। আগে জানতে হবে কিভাবে আপনি আপনার  লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন তার উপায় গুলো সম্পর্কে এবং কিভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন, কোন কোন বিষয় নির্ধারণ করবেন সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত। 

ভূমিকা

জীবনে বড় হওয়ার জন্য আমরা অনেকেই অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখে থাকি। স্বপ্ন দেখলাম জীবনে বড় হওয়ার কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারলাম না তাহলে কি হলো? স্বপ্ন দেখতে হবে এবং সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। আর জীবনে বড় হওয়ার জন্য, স্বপ্নগুলো পূরণ করার জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট লক্ষ্য যা আপনি এই আর্টিকেল থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
জীবনের লক্ষ্য পূরণ করার জন্য জানতে হবে লক্ষ্য পূরণের উপায় সমূহ এবং কিভাবে বিষয় নির্বাচনের মাধ্যমে আপনারা লক্ষ্য গুলো পূরণ করতে পারবেন সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত। প্রত্যেকটা মানুষেরই ক্যারিয়ার এবং স্বপ্ন নিয়ে আলাদা আলাদা চিন্তাভাবনা থাকে। নিজস্ব ক্যারিয়ারে সফলতা পেতে হলে প্রয়োজন ক্যারিয়ারের প্রতি মনোযোগ দেয়া এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করা।

তাই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাদের পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। তাই জীবনের লক্ষ্যগুলো সম্পর্কে জানতে এবং লক্ষ্য নির্ধারণের বিবেচ্য বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আশা করি প্রিয় পাঠক উপকৃত হবেন। 

জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের উপায় সমূহ - জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের যোগ্যতার ভূমিকা 

জীবনে বড় হতে গেলে স্বপ্ন দেখতে হবে  আর স্বপ্ন পূরণ করতে হলে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। লক্ষ্য যদি স্থির না হয় তাহলে কখনো জীবনে বড় হওয়া যাবে না। এইজন্য জানতে হবে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের উপায় সমূহ। যদি আপনার জীবনের লক্ষ্য স্থির না থাকে তাহলে আপনার কোন কিছুর পিছনে ছোটা মানে সেটা মরীচিকার পিছনে ছোটার সমান। এতে আপনার অর্থ, আপনার সময়,  আপনার শক্তি সব কিছুরই অপব্যয় হবে।

যদি আপনার জীবনের লক্ষ্য স্থির থাকে তাহলে আপনি জীবনে কি করতে চান, কতটুকু করতে চান, কিভাবে করতে চান সবকিছুই আপনি সুন্দরভাবে করতে পারবেন। আমরা উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি, সামনে এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষায় আমাকে A+ পেতে হবে। লেখাপড়া সেভাবে ঠিক করে করা হয়নি। আর হাতে সময় নেই। কিন্তু আমার লক্ষ্য ভালো ফলাফল করতেই হবে। যদি লক্ষ্য স্থির থাকে এবং ভালো ফলাফল করার প্রতি আমার মন থাকে তাহলে বর্তমান থেকে পরীক্ষা পর্যন্ত সময়টাকে আমাকে সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে।

ধরি হাতে এক মাস সময় আছে। এই এক মাসের ভিতরে আমাকে বিষয় নির্বাচন করতে হবে এবং আমি কোন কোন বিষয়ে দুর্বল সেটা নির্বাচন করতে হবে। তারপর সময় ভাগ করে প্রতিটি বিষয়ের  জন্য আলাদা আলাদা সময় ঠিক করে লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে হবে। বাংলার জন্য সকালে দুই ঘন্টা, অংকের জন্য দুপুরে তিন ঘন্ট,  ইংরেজির জন্য রাতে দুই ঘন্টা স্থির করে লেখাপড়া করতে হবে। কারণ আমি জানি এই সময়টুকুতে ভালোভাবে লেখাপড়া করলে আমি আমার বিষয় গুলোতে পারদর্শী হয়ে উঠবো।
বাদবাকি যে সময় থাকবে সেই সময় গুলোকে নির্বাচন করে সেখান থেকে আমাকে অনুশীলন করার জন্য সময় ভাগ করতে হবে। যদি এভাবে সময়টাকে লক্ষ্য হিসেবে ধরে নির্ধারণ করে পড়াশোনা করতে পারি তাহলে অবশ্যই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব এই এক মাসের ভিতরে। জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের উপায় সমূহের মধ্যে ইচ্ছা এবং আকাঙ্ক্ষা দুটোই পড়ে। জীবনে বড় হতে গেলে লক্ষ্য স্থির রেখে ইচ্ছা এবং আকাঙ্ক্ষাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

তাহলেই জীবনে বড় হওয়ার জন্য দেখা স্বপ্নগুলো পূরণ করা সহজ হবে। স্বপ্ন এবং লক্ষ্যগুলোকে পূরণ করতে হলে ইচ্ছাকে করতে হবে দৃঢ়। নিজেদের ইচ্ছা শক্তিকে প্রবল করার জন্য কতগুলো পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করতে পারি। উক্ত পদক্ষেপ গুলো নিচে দেওয়া হলঃ

  • নির্দিষ্ট পথ বিবেচ্য করে ইচ্ছাকে অগ্রসর করতে হবে এবং নির্দিষ্ট পথকে লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ  করতে হবে। নির্দিষ্ট পথ বলতে কোন পথে আমরা ভবিষ্যৎটাকে তৈরি করব সেই লক্ষ্য স্থির করাকে বোঝায়। তাই নিজের ইচ্ছা শক্তিকে প্রবল করতে হলে আগে আপনাকে বেছে নিতে হবে একটি নির্দিষ্ট পথ যে পথে আপনি আপনার ভবিষ্যৎ টাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। 
  • আত্মআকাঙ্ক্ষা  দৃঢ় করতে হবে এবং আত্মনিয়োগ সম্পর্কে জানতে হবে। আমি নিজেকে কোন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই কোন ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাব নিজের ভবিষ্যৎ সেই সম্পর্কে আমাকে জানতে হবে। আত্মনিয়োগ সঠিকভাবে নির্বাচন করতে পারলে আমাদের ইচ্ছা শক্তি প্রবল ভাবে দৃঢ় হবে। 
  • ভবিষ্যতে লক্ষ্য স্থির করতে আপনাকে দৃঢ় সংকল্পিত হতে হবে। "আমাকে আমার ভবিষ্যৎ অবশ্যই তৈরি করতে হবে" এই দৃঢ় সংকল্পটি মনের মধ্যে পোষণ করতে হবে। তাহলেই আমাদের ইচ্ছা শক্তি প্রবলভাবে দৃঢ়  হবে এবং আমাদের লক্ষ্য স্থির করা সহজ হবে। 
  • নিজের অন্তরে সঠিক শৃঙ্খলা বোধ দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অনিয়মের বেড়াজালে  আটকে থাকলে নিজেকে কখনোই ভবিষ্যতের জন্য প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। তাই নিজের ইচ্ছা শক্তিকে শৃঙ্খল ভাবে সাজাতে হবে এবং ইচ্ছা শক্তিকে প্রবলভাবে নিজের ভেতরে প্রতিষ্ঠা করতে হবে তাহলেই এগিয়ে যাওয়া যাবে।
  • মরনপন করতে হবে। মরে গেলেও যেন নিজের ভবিষ্যতের ইচ্ছা পূরণ হয় এই লক্ষ্য থাকতে হবে। মারা যাওয়ার আগে অবশ্যই আমি আমার ভবিষ্যতে লক্ষ্যে পৌঁছাব এই ইচ্ছা শক্তিটাকে প্রবলভাবে নিজের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে তবে জীবনে বড় হওয়া যাবে।

জীবনে বড় হতে হলে লক্ষ্য নিরধারণ করতে হবে। লক্ষ্য নির্ধারণ করার কিছু পদক্ষেপ বা উপায় রয়েছে।এই উপায়গুলোর মাধ্যমে জীবনে লক্ষ্য নির্ধারণ করা সহজ হয়। নিচে উপায়গুলো দেয়া হলোঃ

  • প্রথমেই আপনি কি চান তা নির্ধারণ করবেন
  • কখনো যদি প্রথম পর্যায়ে সফল হতে না পারেন তাহলে ধৈর্য হারাবেন না ধৈর্য বজায় রাখুন
  • আপনার জীবনের লক্ষ্যগুলো লিখে ফেলুন
  • লক্ষ্য অর্জনের জন্য মূল্য দিতে হবে
  • আপনি যেটা অর্জন করতে চান তা বিস্তারিতভাবে পরিকল্পনা করে নিন
  • পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়মিত কাজ করতে থাকুন
  • অবশ্যই নিজের পরিকল্পনার অনুযায়ী কাজ থামিয়ে না রেখে প্রতিদিন কিছু কিছু কাজ করুন

অবশ্যই আপনি উপরে নিয়মগুলো অনুসরণ করলে অবশ্যই আপনর জীবনের লক্ষ্য অর্জনের সফল হবেন এবং আপনি এই আর্টিকেলটি পড়বেন এবং আপনার নিজের না জানা প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিবেন। 

জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের বিবেচ্চ বিষয় - জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের যোগ্যতা নিয়ে উক্তি 

লক্ষ্য যদি ঠিক থাকে জীবনে উন্নতি কেউ ঠেকাতে পারবেনা। তাই জীবনে বড় হতে হলে আগে নিজের জীবনের লক্ষ্য স্থির করতে হব।লক্ষ্য পূরণ করার জন্য কোন কোন বিষয় নির্বাচন করতে হবে এদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

নির্দিষ্ট, স্বনির্ভরযোগ্য, মর্যাদাপূর্ণ, প্রাসঙ্গিক, লক্ষ্য নির্বাচন করতে হবে। এই দিকগুলো অবশ্যই আপনার লক্ষ্য নির্বাচনে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নিচে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের বিষয়গুলি সম্পর্কে ছোট্ট একটু আলোকপাত করা হলোঃ

  • যোগ্যতাঃ লক্ষ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে যোগ্যতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যোগ্যতা বলতে সাধারণত শিক্ষাগত যোগ্যতাকে বোঝায় যা আপনি আপনার শিক্ষা জীবনের অর্জন করেছেন। সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা ধারী অবশ্যই তার জীবনের লক্ষ্য স্থির করতে সক্ষম হবে। একজন নিম্ন শ্রেণীর যোগ্যতাধারী এবং একজন উচ্চ শ্রেণীর যোগ্যতাধারীর মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য রয়েছে। যিনি কম যোগ্যতা সম্পন্ন তিনি ভাববেন আমি ছোট কিছু হই, যে উচ্চশিক্ষিত বা উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন যোগ্যতাধারী তিনি ভাববেন উঁচু , তার লক্ষ্যও থাকবে অনেক উঁচু। বড় হতে গেলে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। বড় হওয়ার জন্য লক্ষ্য যদি বড় না হয় তাহলে জীবনে উন্নতি করা যাবে না। যখন স্বপ্ন বড় দেখব তখনই তো লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাব বেশি বেশি। তাই লক্ষ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো যোগ্যতা। 
 
  • প্রাসঙ্গিকতাঃ জীবনে বড় হতে গেলে অবশ্যই নিজের লক্ষ্যের মধ্যে প্রাসঙ্গিকতা থাকতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক কোনো লক্ষ্য নির্বাচন করে সামনে এগিয়ে যাওয়া কখনোই সম্ভব নয়। আমি এসএসসি পাস করে স্বপ্ন দেখলাম আমি জীবনে বড় উকিল হব। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে আমি জীবনে লেখাপড়া করতে পারবো না। এক্ষেত্রে কি আমার স্বপ্নটি প্রাসঙ্গিক হলো কখনোই নাই। যদি এসএসসির পর লেখাপড়া করে আমি উকিল হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম তাহলে সেটি প্রাসঙ্গিক হত কিন্তু যখন আমি লেখাপড়াই করতে পারব না তাহলে আমি কিভাবে উকিল হব এটাতো প্রাসঙ্গিকতা নয়। তাই যোগ্যতার পাশাপাশি প্রাসঙ্গিকতাও লক্ষ্য নির্বাচনের একটি বিবেচ্য বিষয়। 

  • সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বিষয়ঃ জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে বা সফলতা পেতে হলে যোগ্যতা বা প্রাসঙ্গিকতা একমাত্র মাপকাঠি হতে পারে না । বিভিন্ন সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বিষয়ের উপরেও জীবনের লক্ষ্য নির্বাচনের সফলতা নির্ভর করে। সমাজে মানুষের ভিতরে যদি সামাজিক ও অর্থনৈতিক সচ্ছলতা না থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় জীবনে সফলতা অর্জন হয় না। তাই এই সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান ও মানুষের জীবনের লক্ষ্য নির্বাচনে ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় হিসেবে ও বৈশিষ্ট্য হিসেবে কাজ করে। 

  • স্বনির্ভর ও স্বাবলম্বীঃ অনেক সময় যোগ্যতা প্রাসঙ্গিকতা অর্থনৈতিক সচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও স্বনির্ভরতা ও স্বাবলম্বীতে থাকার ইচ্ছা না থাকায় কেউ সফল হতে পারেনা। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে আগে নিজেকে স্বনির্ভর স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে হবে। অন্যের উপর নির্ভর করে বা অন্যের উপর ভর করে বেঁচে থাকা যায় না। তাই আগে নিজেকে স্বনির্ভর স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে হবে। একজন উচ্চ শিক্ষা সম্পূর্ণ ব্যক্তি ও অনেক সময় স্বনির্ভরতা ও আত্মনির্ভরশীলতায় পিছিয়ে থাকে। কারিগরি শিক্ষা ধারী বা তার চেয়ে কম মানে শিক্ষাধারীর ব্যক্তি তার থেকে স্বনির্ভরতায় অনেক এগিয়ে থাকে। তাই সবসময় যোগ্যতা কাজ করে না। জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে জীবনে বড় হতে হলে, স্বপ্ন দেখে সফলতার শীরষে, অবস্থান করতে হলে অবশ্যই নিজেকে স্বনির্ভর ও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে হবে।
জীবনে বড় হতে গেলে লক্ষ্য যেমন স্থির করতে হবে তেমনি স্বপ্ন বড় দেখতে হবে। এক্ষেত্রে যোগ্যতা একটি বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। যোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ বিভিন্নভাবে উক্তি  করে গেছেন। জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে যোগ্যতা নিয়ে নিচে কিছু উক্তি দেওয়া হলঃ 

  • উক্তিঃ "যারা অলৌকিক কাজের জন্য যোগ্য তারা নিজেদের সেরাটা নিয়ে নিজেকে যোগ্য করেছে। যখন আমরা অলৌকিকতার উপর বেশি জোর দেই তখন আমরা বলি যে মানুষ যোগ্যতা ছাড়া কিছু পেতে পারে "- সোনডে এডেলাজা
  • উক্তিঃ "আপনার আবেগ আপনার যোগ্যতা, এটি আপনার নেতৃত্ব স্থানীয় যোগ্যতা "- ড্যানিয়েল লাপোর্উট
  • উক্তিঃ "যোগ্যতা গোনা যায় না  "-  জেমস এলরয়
  • উক্তিঃ "সত্যিকারের যোগ্যতা নদীর মতো, এটি যত গভীর হয় তত কম শব্দ করে "।- জরজ সাবিল
  • উক্তিঃ "কখনো কাউকে অযোগ্য বলে অবহেলা করো না। ভেবে দেখো তুমিও কারো না কারো কাছে অযোগ্য।  কেউ কারো যোগ্য নয়, যোগ্য বিবেচনা করে নিতে হয়। "হুমায়ুন আহমেদ
  • উক্তিঃ - "যেখানে আমরা যোগ্যতার প্রতিযোগিতা করতে পারি, সেখানে আমরা খুব ভালো কিছু আশা করতে পারি।"জেমস এল বারকডেল
আরো বিভিন্ন মনীষীগণ বিভিন্ন উক্তি দিয়ে গেছেন যোগ্যতা নিয়ে। যেগুলো মানুষের ভিতরে ভাল মোটিভেশন তৈরি করে। জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে উক্তিগুলো খুব বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। 

জীবনের লক্ষ্য কি হওয়া উচিত - জীবনের লক্ষ্য নিয়ে গল্প 

মানুষের লক্ষ্য কি হওয়া উচিত সেটা আগে মানুষকে নির্ধারণ করতে হবে খুব ভেবে চিন্তে। তবে আমার মনে হয় জীবনের মানুষের মূল লক্ষ্যই হলো বেঁচে থাকা,  ভালোভাবে বেঁচে থাকা। বেঁচে থাকলেই আমাদের জীবনের সব লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য আমরা পূরণ করতে পারব। তাই জীবনের মূল লক্ষ্য হলো বেঁচে থাকা। আর ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য পৃথিবীতে পাঁচটি মৌলিক জিনিসের খুবই প্রয়োজন। অন্ন, বস্ত্র,  বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। আর এগুলো পেতে হলে জীবনে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
বড় বড় স্বপ্ন দেখতে হবে এবং লক্ষ্য স্থির করে এগিয়ে যেতে হবে। এই কারণেই মানুষের জীবনের মূল লক্ষ্যই হলো বেঁচে থাকা।  একেবারে এলোমেলো বা বিচ্ছিন্ন হয়ে ছিল আমার জীবনের লক্ষ্যগুলো। কোন কিছুই সাজানো  ছিল না। মানুষের জীবনে বড় হতে গেলে যে একটি লক্ষ্য থাকা উচিত সেটা আমার ভিতরে ছিল না। তাই আমি কোন দিকে এগোতে পারছিলাম না।

চলুন আজকে আমি আমার জীবনের লক্ষ্য নিয়ে কিভাবে এগোবো সেই গল্পটাই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। আমি একটু এলোমেলো ও অগোছালো প্রকৃতির মানুষ। নিজের জীবনের লক্ষ্য পেয়ে গুছিয়ে স্থির করে সামনে চলার কোন দৃঢ়তা আমার মধ্যে ছিল না। বলা যায় এক কথায় হতাশ একজন মানুষ। খুব সহজে কিভাবে ইনকাম করা যায় জীবনে সে তাই নিয়ে সারাদিন ভাবতাম। একদিন ভাবতে ভাবতে স্থির করলাম ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখব। 

যেই ভাবা সেই কাজ। ভর্তি হলাম একটি চেনা জানা ভালো প্রতিষ্ঠানে এবং শিখলাম ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ। সেখানে  নিষ্ঠার সঙ্গে  কাজ করে,  ক্লাস করে একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করলাম। আর্টিকেল রাইটার হিসেবে শুরু করলাম নিজের পথ যাত্রা। মূলত উদ্দেশ্য ছিল আমি এমন একটি ইনকাম করব ঘরে বসেই যা আমার জীবনকে সহজ করে তুলবে ও আমার একটি মোটামুটি ভালো পরিমাণে অর্থ ঘরে এনে দিবে।

শুরু হল আমার কথা যাত্রা। বর্তমানে মোটামুটি আমি বেশ ভালই ইনকাম করি। যদিও বলতে পারি আমি এখনো সাফল্য নই, সফল হতে আমার অনেক আরো চলতে হবে। লক্ষ্য স্থির করেছি, সামনে যখন এগিয়ে গিয়েছি ইনশাল্লাহ আশা করি আরো সামনে এগিয়ে যেতে পারবো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। এটাই ছিল আমার জীবনের লক্ষ্য নিয়ে ছোট্ট সামান্য একটু গল্প। 

সুন্দর জীবনের লক্ষ্য -জীবনের লক্ষ্য নিয়ে বক্তব্য 

সুন্দর জীবন বলতে যে জীবনের সমস্যা নাই, যে জীবন সুন্দর,মসৃণ পথে চলে তাকে বোঝায়। আর সুন্দর জীবনের অবশ্যই কিছু লক্ষ্য  থাকা উচিত। সুন্দর জীবনের লক্ষ্য হলো সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা। সুন্দর জীবনের প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠা করা। জীবনটা বর্ণহীন সাদা রঙের মতো নয়।

আমাদের জীবনে রয়েছে  আনন্দ, হাসি -  খুশি, কান্না প্রভৃতি। এই বর্ণ গুলোই জীবনকে করে সুন্দর। আজকাল অনেক মানুষই মনে করে থাকেন জীবনের প্রধান লক্ষ্য হলো টাকা ইনকাম করা,প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায়, স্কুলের বোর্ড পরীক্ষায় সবচেয়ে ভালো নাম্বার তোলা, ফার্স্ট হওয়া। কিন্তু শুধু জীবনের প্রথম হলেই বা অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করলেই যে আপনার জীবনের সংকল্প পূরণ হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়। 

আপনি যদি মৌলিক পাঁচটি চাহিদা কে জীবনের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ধরে ভালো থাকার জন্য সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে থাকেন এবং খুব সাধারণভাবে বেঁচে থাকার জন্য এই লক্ষ্য গুলোকেই সামনেই হাতিয়ার করে এগিয়ে নিয়ে যান তাহলে আপনি একটি সুন্দর জীবন উপহার পাবেন।
তাই মানুষের জীবনের সুন্দর লক্ষ্য হওয়া উচিত নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, একজন ভালো মানুষ হিসেবে সমাজের বুকে প্রতিষ্ঠিত করা। জীবনের লক্ষ্য নিয়ে বক্তব্য রয়েছে অনেক। বক্তব্যগুলো পড়লে জীবন সম্পর্কে আপনার ভিতরে পজিটিভ মোটিভেশন তৈরি হবে। নিচে বক্তব্যগুলো আপনাদের জন্য একাংশ কিছু দেওয়া হলোঃ

  • সৃষ্টির লক্ষ্য: বক্তৃতায় মূলত ইসলামিক চিন্তা চেতনা ও ধ্যান ধারণা প্রকাশ পেয়েছে । নবী রাসূলগণ তাদের যুগ থেকে কিভাবে তাদের জীবনের লক্ষ্য নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে এবং মানুষের জন্য কিভাবে তারা কাজ করে গিয়েছেন, তাদের সুন্দর জীবনের গল্প গুলো আমরা পড়তে পারি। স্রষ্টা মূলত সৃষ্টির জন্য ব্যবস্থা করেছেন।মূলত সৃষ্টির লক্ষ্য হচ্ছে স্রষ্টা প্রদত্ত জীবের পূর্ণতা অর্জন করা। স্রষ্টা পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন,  জীব তৈরি করেছেন, মানুষ তৈরি করেছেন,এবং তাদেরকে দিয়েছেন জীবনের উদ্দেশ্যে পূরণ করার জন্য, পথ চলার জন্য এই পৃথিবী। সৃষ্টির সেরা জীব হলো মানুষ। মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তিনিই পৃথিবীতে বসবাস করার জন্য মানুষ বসবাস করবে তার ইবাদত করবে এবং একসময় পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে এটাই হচ্ছে সৃষ্টির প্রধান লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য। 

  • ব্যক্তি ও সামাজিক পর্যায়ে নীতিকতার ভিত্তি :ব্যক্তি ও সামাজিক পর্যায়ে নৈতিকতার ভিত্তিতে ও বক্তব্য তৈরি করা হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে ও সামাজিকভাবে জীবনের কিছু উদ্দেশ্য মানুষ প্রণয়ন করে থাকে। এগুলো জীবনের লক্ষ্যর জন্য সহায়তা করে থাকে। সামাজিকভাবে মানুষ বিভিন্ন বাণিজ্য শিল্প সংগঠন গড়ে তোলে এবং মানুষ বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত হয়।বলতে গেলে এটি সামাজিক উদ্দেশ্য বা সামাজিক লক্ষ্য পূরণের জন্য করা হয়ে থাকে। ব্যক্তিগতভাবে নিজের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য পূরণের জন্য নিজেই তৈরি উদ্যোক্তা বা উদ্যোগকেই বোঝানো হয়।নিজেকে উন্নত করার জন্য নিজের প্রতিষ্ঠান তৈরি করা কে ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগ বোঝানো হয় । এভাবে সামাজিকভাবে ও ব্যক্তিগতভাবে নিজের নৈতিকতা ঠিক রেখে জীবনের লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব। 

  • এছাড়াও বিশ্বাস বিভিন্ন মতবাদ এবং বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতেও সামাজিক মতবাদ: জীবনের লক্ষ্য স্থির করে সেখানে নিজে নিজের বিশ্বাস অর্জন করা এবং সেখানে সেই ভাবে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে প্রস্তুত করা ভবিষ্যতের জন্য। বিভিন্ন মনীষীগণ বিভিন্ন উক্তি দিয়ে গেছেন সেগুলো পড়তে হবে,  বিভিন্ন বড় বড় বক্তাগণ বক্তৃতা দিয়েছেন সেগুলো জানতে হবে,  এবং বুঝতে হবে এবং সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এরপর এদের উক্তি বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে নিজের লক্ষ্যের প্রতি একটি বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে নিজের মধ্যে এবং তাহলেই জীবনে এগিয়ে যাওয়া যাবে । 

  • ইসলামী বিশ্বাস এবং মানবিক পূর্ণতা: ইসলামের উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হবে এবং মানব সভ্যতার নিয়ম কানুন গুলো সেগুলো আমাদেরকে লক্ষ্য করতে হবে। মহান সৃষ্টিকর্তা পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন আমাদেরকে বেঁচে থাকার জন্য আমাদেরকে একটি সুন্দর জীবন যাপন করার জন্য। এই পৃথিবীতে তিনি অসংখ্য তার নিয়ামত দান করেছেন এবং আমাদেরকে সঠিক পথে চালানোর জন্য প্রেরণ করেছিলেন বহু নবী ও রাসুলগণ। আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ আমাদের সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত। তার দেখানো পথে চললে অবশ্যই জীবনের লক্ষ্য আমাদের অর্জিত হবে। আল্লাহর রাসূলগণের উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে এবং ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমাদের জীবনের লক্ষ্য নির্বাচন করতে হবে। আল্লাহ যে জীবনটা দিয়েছেন আমাদের সেটিকে মানব সভ্যতা অনুযায়ী সাজাতে হবে। বর্তমান সময়ের প্রতিযোগিতার যুগে প্রতিযোগিতার যুগে টিকে থাকতে হলে নিজেদেরকে ঈমান ও সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে এবং ইসলামের উপর পূর্ণতা বিশ্বাস দেখে মানবিকভাবে কাজ করে যেতে হবে। তাহলেই আমরা জীবনে সফলতা পেতে পারি।
 

জীবনের লক্ষ্য কিভাবে ঠিক করব - কিভাবে জীবনের লক্ষ্য খুঁজতে হয়

জীবনের লক্ষ্য ঠিক না করলে জীবনে বড় হওয়া যাবে না। মনে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে এবং সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য লক্ষ্য স্থির করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। জীবনের লক্ষ্য ঠিক করার জন্য কতগুলো ধাপ রয়েছে  সে ধাপগুলো পূরণ করতে হবে। 

  • আপনার জীবনের লক্ষ্য কি সেগুলো নির্বাচন করতে হবে
  • যে লক্ষ্যগুলো স্থির করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান সেগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে  
  • বড় বড় লক্ষ্যগুলোকে সামনে রাখুন এবং ছোট ছোট লক্ষ্য গুলোকে পিছনে রাখুন এভাবে ধাপে ধাপে সাজিয়ে নিয়ে এগিয়ে যান। 
  • সময় সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে
  • যে কাজগুলো করতে চান একাগ্র চিত্তে সেগুলো নিয়ে ভাবুন  
  • সৎ ওনিষ্ঠাবান থাকুন কাজের প্রতি
  • লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিজের যোগ্যতা অর্জন করুন আগে 
  • লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করুন এবং সঠিক যোগ্যতা যাচাই করুন 
  • পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করুন 
  • কোন কাজটি করলে এগিয়ে যেতে পারবেন সামনে জীবনে সফল হতে পারবেন সেই কাজটি সঠিকভাবে নির্বাচন করুন। 

অনেক ধাপ রয়েছে যেগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে তাহলে আপনি জীবনের লক্ষ্যগুলো সঠিকভাবে স্থির করতে পারবেন এবং সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন।জীবনের লক্ষ্যগুলোকে খুঁজে বের করুন এবং সেভাবে এগিয়ে চলুন। চলুন জেনে নিই কিভাবে খুজবেন আপনার লক্ষ্যগুলোঃ

  • জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে আপনার দরকার পড়বে একটি পারিপার্শনিক সুন্দর এবং ব্যবহারযোগ্য উপযোগী পরিবেশ। প্রথমে এমন একটি পরিবেশ খুজে নিন যে পরিবেশে আপনি আপনার কাজ করতে পারবেন এবং লক্ষ্য নিয়ে  এগিয়ে যেতে পারবেন। 
  • নিজের কাজের প্রতি নিজেই উৎসাহিত করুন। নিজেকে কাজের  প্রতি এগিয়ে যান। নিজেকে বোঝান যে কোন প্রতিবন্ধকতায় আপনি আপনার কাজ সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন । 
  • নিজের লক্ষ্য স্থির করুন এবং বলুন আপনি পারবেন অবশ্যই পারবেন কাজ করতে। 
  • মনকে সবসময় প্রফুল্ল রাখুন,  আনন্দিত রাখুন তাহলে দেখবেন কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ বাড়বে। 
  • নিজের কাজের পরিধি গুলোকে বাস্তবতায় রূপ দিন। স্বল্পমেয়াদি, মাঝারী এবং দীর্ঘমেয়াদী এই তিনটি ভাগে ভাগ করে নিন। 
  • পরিকল্পনা অনুযায়ী সব কাজ করুন 
  • আপনি যে লক্ষ্যটি স্থির করছেন সেটি আপনার আয়ত্তে আছে কিনা আপনি পারবেন কিনা সেটি খেয়াল রাখু কোন কোন লক্ষ্য নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবেন সেগুলোকে ক্রমিক সংখ্যা আকারে নিজের ডাইরিতে সাজিয়ে নিন
  • নিজের মনকে শান্ত রাখুন আপনার মনোবল শক্ত করুন এবং আপনার কাজে মননিবেশ করুন তাহলে দেখবেন অবশ্যই আপনি আপনার লক্ষ্য খুজে পাবেন এবং জীবনে এগিয়ে যাবেন। 
  • একটি কাজে হেরে যাওয়ার পরে অবশ্যই ভেঙে পড়বেন না আরেকটি কাজে জেতার জন্য এগিয়ে যান। 
  • জীবনে পথ চলতে গেলে অবশ্যই সময়কে মূল্যবান গুরুত্ব দিন কারণ জীবনের সময় নষ্ট করলে সে সময় আর ফিরে আসবে না তাই সময়কে গুরুত্ব মনে করে কাজ করুন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে  কাজ শেষ করার সংকল্প নিন
  • নিজের জীবনের সফলতার গল্প নির্ধারণ করুন এবং সেগুলো বারবার যাচাই করুন অন্যের জীবনের সফলতার গল্প গুলো বারবার পড়ুন এবং জানুন এবং নিজেকে সেভাবে তৈরি করুন। 

আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে নিজের জীবনের লক্ষ্য গুলো খুজবেন এবং ঠিক করবেন এবং সেভাবে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবেন। 

শেষ কথা

জীবনটা ছোট নয়,  জীবনটা ক্ষুদ্র নয়, জীবনটা অনেক বড়। এই বড় জীবনটাকে চালাতে হলে প্রয়োজন সফলতা। সফলভাবে এগিয়ে যেতে হলে প্রয়োজন লক্ষ্য নির্ধারণ করা। লক্ষ  না থাকলে যে জীবনে এগিয়ে যাওয়া  যাবে না। তাই জীবনে এগিয়ে যেতে হলে নিজের জীবনের লক্ষ্য গুলো নির্ধারণ করুন এবং কিভাবে বিবেচ্য বিষয় নির্বাচন করবেন সেগুলো জানুন,  জীবনের লক্ষ্য খুঁজুন, তারপরে সেভাবে এগিয়ে যান।

আমার আজকের আর্টিকেলে আমি এই বিষয়গুলো সম্পর্কেই আলোচনা করেছি। আপনাদের অনেকেরই প্রশ্ন থাকতে পারে জীবনে কিভাবে এগিয়ে যাবেন জীবনে কিভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন? আশাকরি উপরের আর্টিকেলটি পড়লে উপকৃত হবেন এবং আপনাদের প্রশ্নের উত্তরগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

তাই জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো সেগুলো সম্পর্কে জানতে আমার আর্টিকেলটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকুন।আর্টিকেল  সম্পর্কিত কোন কিছু জানতে বা কোন প্রশ্ন থাকলে আমার সঙ্গে আমার ওয়েবসাইটের মতামতে কমেন্ট বক্সে যোগাযোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url