কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি - বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে

প্রিয় পাঠক আ আপনি কি কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে এ সকল বিষয় জানতে চান ? আজকের আর্টিকেলটি তাহলে আপনার জন্য। অনলাইন কুয়েত ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন হয়ে থাকে এছাড়া যদি কোন টুরিস্ট এ সময়ের অধিক সে দেশে অবস্থান করে সেক্ষেত্র তাকে জরিমানার আওতায় নিয়ে আসা হয়।
কুয়েত_কোন_কাজের_চাহিদা_বেশি__বাংলাদেশ_থেকে_কুয়েত_যেতে_কত_টাকা_লাগে
আমাদের পাঠকদের মধ্য থেকে কুয়েতের কোন কাজে চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে এবং কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি সম্পর্কে আলোচনা করব। 

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কুয়েতে যাওয়ার নিয়ম সহ কত টাকা প্রয়োজন কুয়েতে যেতে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। এছাড়া আপনি যদি কুয়েতে যেতে ইচ্ছুক হন তাহলে আপনার জন্য এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এর মূল কারণ হলো কিছু বিষয় আছে অবশ্যই কুয়েতে  প্রবাসে যাওয়ার পূর্বে জেনে নেওয়া উচিত। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের আর্টিকেল।

কুয়েত যাওয়ার নিয়ম - কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি

সর্বপ্রথম আমরা জানবো কুয়েত যাওয়ার নিয়ম গুলো কি কি। কুয়েত যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হলঃ
  • একটি পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে যা অবশ্যই বৈধ হতে হবে
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন হবে
  • পুলিশ ক্লিয়ার বা ভেরিফাই সার্টিফিকেট
  • জন্ম নিবন্ধন কার্ড অবশ্যই ডিজিটাল হতে হবে
  • বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার লিগেল স ডকুমেন্ট
  • ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
  • করোনা ভাইরাস এর সনদ
 কুয়েত স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি অনুমোদিত পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে পাসপোর্ট বইয়ের শেষে অন্তত দুইটি পৃষ্ঠা ফাঁকা থাকতে হবে। স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে সঠিক সময় এবং স্বাক্ষর দিয়ে স্টুডেন্ট ভিসাই প্রয়োজনের তথ্য পূরণ করে আবেদন ফরম জমা দিতে হবে। ভিসার জন্য এপ্লাই কিন্তু ফর্মে সংযুক্ত ছবি পাসপোর্ট সাইজের হতে হবে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হতে হবে।
একটি কাভার লেটার তৈরি করতে হবে যেখানে স্টুডেন্ট এর সকল বিবরণ পাসপোর্ট এর সকল বিবরণ থাকবে। বর্তমান সময়ে কুয়েতে ড্রাইভার রেস্টুরেন্ট ওয়েটার বা সেফ দের চাহিদা প্রচুর এছাড়া ইলেকট্রিশিয়ান সহ বিভিন্ন ধরনের পেশায় প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করতে পারে একজন প্রবাসী।

কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি - বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে

বিশ্বের মধ্যে কুয়েত এমন এক ধরনের দেশ যেখানে সবচেয়ে বেশি দক্ষ জনশক্তি রয়েছে যে কোন কাজের ক্ষেত্রে। বর্তমান সময় কুয়েতে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন কাজ গুলো হলঃ
  • ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি
  • রেস্টুরেন্ট
  • কনস্ট্রাকশন
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • ড্রাইভিং
  • হোটেল ইত্যাদি
ভালো কাজ পেতে হলে কোম্পানি ভিসা নিয়ে যেতে হবে, কোম্পানিতে থাকা অবস্থায় যেকোনো ধরনের কাজেই খুব ভালো সেলারি পাওয়া যায়। সঠিক উপায়ে আপনি যদি ভিসা প্রসেসিং এর মাধ্যমে কুয়েতে যেতে চান সেক্ষেত্রে 40 থেকে 50 হাজার টাকা খরচ হবে। বর্তমান সময়ে আপনি চাইলে সরকারিভাবে কুয়েতে ওয়ার্ক পারমিটে যেতে পারেন।

তবে এই জন্য আপনাকে অবশ্যই কুয়েত এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে অবশ্যই এই পদ্ধতিতে আপনার খরচটা অনেকটা কমে আসবে। কুয়েত এম্বাসিতে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার মাধ্যমে আপনি কখন শ্রমিক নিবে কি কাজ দিবে এই সকল বিষয়ে তথ্য জানতে পারবেন।

কুয়েত ভিসার দাম কত

আপনি যদি কুয়েতে যেতে চান তাহলে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনি ওয়ার্ক পারমিট এর বইতে যাবে কি স্টুডেন্ট ভিসায় কুয়েতে যাবেন। বর্তমান সময় যদি আপনি ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কুয়েতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার বর্তমান সময়ের মোট খরচ আসবে 4 থেকে ৮ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। যেহুতু আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে চাচ্ছেন।
সেহুতু এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে, আপনি ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে চান। তো বর্তমান সময়ের পরিস্থিতি অনুযায়ী, আপনি যদি এখন বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কুয়েত যেতে চান। তাহলে আপনার মোট খরচ এর পরিমান দাড়াবে প্রায় ০৪ লাখ থেকে ০৮ লাখ টাকা। সকল কাজ সম্পূর্ণ করার পরে আপনার ভিসার জন্য আবেদন বিমান ভাড়া ইত্যাদিতে এ সকল টাকা পরিশোধ করতে হবে।

তবে বলে রাখা ভালো কুয়েত ভিসার দাম বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। বর্তমান সময়ের অন্যতম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটি হলো কুয়েত। কুয়েতের কর্মীদের ৭০% বিভিন্ন দেশ থেকে আসে বা প্রবাসী। দেশটির জনসংখ্যার বেকারদের ৩০ শতাংশ নির্দেশে কাজ করে। ধনী হওয়ার উদ্দেশ্যে বা ভালো জীবন যাপন করার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে এ দেশে কর্মী হয়ে আসে মানুষ।

বর্তমান সময়ে ড্রাইভিং শিখে এদেশে আসছে কর্মীরা এদেশে ড্রাইভিং করতে হলে পারমিটের প্রয়োজন পড়ে প্রতিটি কুয়েতের ড্রাইভারের মাসিক বেতন বাংলাদেশি টাকায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা হয়ে থাকে।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষই প্রবাস জীবন হিসেবে বেছে নেন কুয়েত। কেননা কুয়েত বর্তমানে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই কুয়েত কোম্পানি ভিসা কোন কাজের চাহিদা বেশি। আপনারা যদি বাংলাদেশ থেকে এটা জেনে নিতে পারেন তাহলে কুয়েত গিয়ে আপনি ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন। চলুন জেনে আসি কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ বিষয়েঃ
  • ড্রাইভিং ভিসা
  • মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ভিসা
  • রেস্টুরেন্ট ভিসা
  • টেকনিশিয়ান ভিসা
  • ক্লিনার ভিসা
  • কন্সট্রাকশন ভিসা
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ কুয়েতে কোম্পানির ভিসাতে যেতে চাই বা গিয়ে থাকে। কোম্পানির ভিসাতে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকার কারণে প্রবাসীদের পছন্দের শীর্ষে থাকে এই কোম্পানির ভিসা গুলো। এখন জানাবো কুয়েতে কোম্পানির ভিসা তে গেলে বেতন কত হতে পারে এ সকল বিষয়ে।
  • কনস্ট্রাকশন শ্রমিক হেল্পার ভিসাতে একজন কর্মীর বেতন কুয়েতি টাকার ১০০ দিনার
  • হোম ডেলিভারি বয় ভিসাতে একজন কর্মীর বেতন কুয়েতি টাকার ১২৫ দিনার
  • হোম এসি মেকানিক ভিসাতে একজন কর্মীর বেতন কুয়েতি টাকার ১৩৫ দিনার
  • হোম ইলেকট্রিশিয়ান ভিসাতে একজন কর্মীর বেতন কুয়েতি টাকার ১২৫ দিনার
  • কার ড্রাইভিং ভিসাতে একজন কর্মীর বেতন কুয়েতি টাকার ১৩৫ দিনার
  • হোম এবং অফিস প্লাম্বার ভিসাতে একজন কর্মীর বেতন কুয়েতি টাকার ১১০ দিনার
  • কন্সট্রাকশন ওয়েল্ডার ভিসাতে একজন কর্মীর বেতন প্রতিটি টাকার ১১৫ দিনার

কুয়েত যাওয়ার সহজ উপায়

কুয়েত সাধারণত পর্যটন খাতের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত একটি ছোট্ট দেশ। এটি ইরাক এবং সৌদি আরব এর মধ্যবর্তী একটি দেশ। কুয়েতের জনসংখ্যা বর্তমান সময়ে প্রায় ৪২০০০০০ মিলিয়ন। সমৃদ্ধশালী দেশ হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের উঁচু ভবন সোনালী সৈকত বিলাসবহুল রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ রয়েছে এই দৃষ্টিতে।

কুয়েতি মুদ্রা কে দিনার বলা হয়ে থাকে এছাড়া কুয়েতের সকল শ্রমিকদের মধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশী প্রবাসী রয়েছে 12% অপরদিকে এদেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা হল আরবি এবং ইংলিশ। সাধারণত এদেশের জিডিপি নির্ভর করে প্রবাসীদের দক্ষতামূলক কাজের কারণে।
উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় কুয়েতের নাম সবচেয়ে প্রথমে আসে কারণ জীবিকার তাড়নায় প্রতিবছর বাংলাদেশ ও বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার প্রবাসী কুয়েতে যায়। কুয়েতের ১ দিনার সমান বাংলাদেশি  ৩৫৬.৯৭ টাকা। কুয়েতে যাওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় হলোঃ
  • একটি বৈধ পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে
  • ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে
  • ভিসা তৈরি করতে হবে
  • প্লেনের টিকিট
  • আপনি ওই দেশে গিয়ে যে পরিমাণ অর্থ খরচ করবেন তার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আপনার কাছে থাকতে হবে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আশা করি উপরে লেখা আর্টিকেলটি আপনার পছন্দ হয়েছে। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে কুয়েতে কোন কাজে চাহিদা বেশি এবং পেতে যাওয়ার প্রসেস সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। উপরোক্ত আর্টিকেল সম্পর্কে কোন মতামত বা প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং এমন আর নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url