দোয়া কবুল হওয়ার সূরা - দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল

প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন দোয়া কবুল হওয়ার সূরা সম্পর্কে। মুসলিম হিসাবে দোয়া কবুল হওয়ার সূরা সম্পর্কে অবগত থাকা উচিত। আবু দাউদ থেকে এসেছে সিজদারত অবস্থায় বান্দা আল্লাহর চরণে সেজদা করে এবং আল্লাহর খুবই নিকটে চলে যায় এ জন্য এ সময় দোয়া অধিক কবুল হয়। আমাদের পাঠকদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা দোয়া কবুল হওয়ার সূরা এবং দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল সম্পর্কে জানতে চান।
দোয়া_কবুল_হওয়ার_সূরা_দ্রুত_দোয়া_কবুল_হওয়ার_আমল
আজ আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে চলেছি দোয়া কবুল হওয়ার সূরা এবং দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল সম্পর্কে। পরকালে সুখময় জান্নাত পেতে হলে দোয়া কবুল হওয়ার সূরা এবং দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল জানতে হবে আপনাকে।

দোয়া কবুল হওয়ার সূরা নিয়মিত পাঠ করলে এবং দোয়া কবুল হওয়ার আমল নিয়মিত করলে মহান আল্লাহতালা আপনাকে এবং আপনার দোয়াকে কবুল করে নিতে পারেন।

ভূমিকা

প্রতিটি মুসলিমের দোয়া কবুল হওয়ার সূরা সম্পর্কে অবগত থাকা উচিত। মহান আল্লাহতালাকে রাজি খুশি করার জন্য বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল শিখিয়ে গেছেন। একজন সত্যিকারের মমিন ও ঈমানদার ব্যক্তির জন্য এ সকল দোয়া সম্পর্কে জানা অত্যাবশ্যকীয়।

প্রতিদিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে অল্প কিছু সময় যদি সুনির্দিষ্ট কিছু দোয়া পড়া যায় সে ক্ষেত্রে মহান আল্লাহতালাকে রাজি খুশি করা খুব সহজ হয়ে ওঠে। মহান আল্লাহ তাআলা সেই সকল বান্দাকে বেশি পছন্দ করেন যারা রাত্রিতে গোপনে মহান আল্লাহতালার ইবাদত করেন এবং আল্লাহতালার কাছ থেকে তার গুনাহর জন্য ক্ষমা চান।

দোয়া কবুল হওয়ার সূরা - দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল

দোয়া কবুল হওয়ার সূরা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনুল কারীমের মহান আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন হে নবী আপনি বলে দিন আমার বান্দাগণ যখন আপনার কাছে জিজ্ঞাসা করবে আমার ব্যাপারে তখন তাদের বলবেন আমি তাদের কাছেই আছি। তারা যদি অনুতপ্ত হয় বা মন থেকে আমার কাছে দোয়া করে তাহলে আমি নিশ্চয়ই দোয়া কবুল করবো।
সুরা বাকারার ৮৬ নং আয়াতে এ কথা মহান আল্লাহতালা নিজে বলেছেন। মহান আল্লাহতালা দোয়া কবুল করতে এবং ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। ক্ষমাশীল ব্যক্তিকে মহান আল্লাহতালা পছন্দ করেন। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তা'আলা ক্ষমাশীল এবং পরম দয়ালু। মহান আল্লাহতালার কাছে বিনয়ের সঙ্গে কাঙ্গালের মত ভিখারির মতো যদি দোয়া করা যায় সে ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয়ই তা কবুল করবেন।

দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল গুলোর মধ্যে অন্যতম আমল হল রাত্রিতে নফল ইবাদতের পরে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা। প্রিয় পাঠক উদাহরণস্বরূপ একটি দোয়া দেওয়া হলঃ আল্লাহ আসমানের নিচে জমিনের উপরে আমি এক তোমার গুনাগার বান্দা। আমি ছাড়া তোমার বান্দার অভাব নাই কিন্তু তুমি ছাড়া আমার রব নাই।

আজ পর্যন্ত যতরকম কবিরা সগিরা গুনাহ করেছি সেই সকল গুনাহ থেকে আমাকে মাফ কর। তুমি মহান তুমি দয়ালু তুমি রিজিকদাতা তুমি সব পারো। তুমি আমার বাবা মাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব কর। রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বা ইয়ানিস সাগিরা।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন তোমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার সময় হাতের তালু সামনে রেখে দোয়া কর কখনো হাত উল্টো করোনা। দোয়া করা শেষ হলে হাতের তালু মুখমন্ডলে বুলিয়ে দাও ( আবু দাউদ )।
হযরত আসমা বিনতেই ইয়াজিদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা প্রতি বর্ণিত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সালাম বলেছেন ইসমে আজম এর শহীত দোয়া করা উত্তম। ইসমে আজম যে সকল আয়াত দয়ে রয়েছে সেগুলো হলঃ

  • ওয়া ইলাহুকুম ইলাহু ওয়াহিদুন লা ইলাহা ইল্লা হুয়ার রাহমানুর রাহিম। সূরা বাক্বারা এর আয়াত নম্বরঃ ১৬৩।
  • আলিফ লাম মিম জালিকাল কিতাবুলা রইবা ফিহি হুদাল্লিল মুত্তাকিন। আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহু ওয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম। সূরা আল ইমরান।

দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল - ভালো বিয়ে হওয়ার আমল

দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল গুলোর মধ্যে একটি কার্যকরী আমল হলঃ যে সকল যুবক যুবতীর বিবাহের বয়স অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পরেও বিবাহ হচ্ছে না প্রতিদিন ফরজ নামাজের পরে যুবকরা ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কব্জি এবং যুবতীরা বাম হাত দিয়ে বাম হাত দিয়ে ডান হাতের কব্জি চেপে ধরে 40 বার করে 40 দিন পর্যন্ত পাঠ করবে ইয়া ফাত্তাহু (الفتاح)।

দ্রুত বিয়ে করতে চাইলে আরেকটি আমল হলো নিয়মিত নামাজের পর তাসবীহ পাঠ করা অবশ্যই তাসবীহ পাঠের পূর্বে সুরা ফাতেহা এবং কোরআন তেলাওয়াত ও দরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে। উল্লেখযোগ্য তসবি হল আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার পড়া। এটি পড়ার মাধ্যমে কেউ যদি পবিত্র জীবনযাপন শুরু করার উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহর কাছে পানা চাই সে ক্ষেত্রে মহান আল্লাহতালা নিশ্চয়ই তাকে হেফাজত করবেন এবং তাকে সাহায্য করবেন।

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেন তিন ধরনের মানুষকে মহান আল্লাহতালা সাহায্য করার নিজের কর্তব্য হিসেবে নির্ধারণ করেছেন তার মধ্যে একটি হলো আল্লাহতালার পথে যিনি জিহাদ করেন দ্বিতীয় টি হল যে চুক্তির অর্থ পরিষদের ইচ্ছা পোষণ করে এবং তিন নাম্বারে রয়েছে বিয়েতে আগ্রহী মানুষ অর্থাৎ যিনি বিয়ে করার মাধ্যমে পবিত্র জীবন শুরু করতে চান। তিরমিজি, হাদিস : ১৬৫৫।

কিভাবে দোয়া করলে কবুল হয় - রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল

আল্লাহ তালার নিকটে যাওয়ার যেতে হলে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদায় পড়ে যেতে বলেছেন। সেজদা এমন একটি সময় যে সময় মহান আল্লাহ তাআলার চরণে আমাদের মাথা অর্পিত হয়। অপরদিকে বিভিন্ন মুহাদ্দিস ও আলেমগণের মতে আল্লাহর নিকটে যেতে হলে আল্লাহ তালাকে ডাকতে হলে বা তার কাছে কিছু চাইতে হলে অথবা তার নেয়ামত পেতে হলে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে।

একজন প্রার্থনাকারী হিসেবে নিয়ম গুলো অবশ্যই মেনে চলা উচিত। হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদি আল্লাহ তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যখন কোন মুসলমান অপর মুসলমানের জন্য দোয়া করে এবং যে দোয়ার মধ্যে কোন প্রকার গুনাহ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা থাকে না এমন ধরনের দোয়ার পরিবর্তে মহান আল্লাহতালা তিনটি হাদিয়া দান করেন।

প্রথম নাম্বারে রয়েছে তার দোয়া দ্রুত কবুল করেন। দ্বিতীয় নাম্বারে রয়েছে তার প্রতিদান আখিরাতের সেই কঠিন দিনে দেওয়ার জন্য রেখে দেন। তৃতীয় নাম্বারে রয়েছে তার একটি কষ্ট দূর করে দেন। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় সকল শ্রেণীর মানুষরা রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা। অক্লান্ত পরিশ্রম করে শুধুমাত্র রিজিক তালাশ করছে। মানুষ ভুলে যায় রিযিক দেওয়ার মালিক মহান আল্লাহ তায়ালা নিজে।
এই জন্য মহান আল্লাহতালাকে রাজ্জাক বা রিজিক দাতা বলা হয়ে থাকে। সূরা সাবা এর ২৯ নং আয়াতে উল্লেখ আছে নিশ্চয়ই মহান আল্লাহতালা সব তার বান্দার জন্য রিজিক প্রশস্ত করেন এবং সংকুচিত করেন। এছাড়া মহান আল্লাহতালার রাস্তায় ব্যয় করলে মহান আল্লাহতালা এর প্রতিদান নিশ্চয়ই দিবেন নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তাআলার শ্রেষ্ঠ রিজিকদাতা।

বাবা মায়ের সুস্থতার জন্য দোয়া - কোন দোয়া পড়লে পরীক্ষা ভালো হয়

মহান আল্লাহতালা নিজে কুরআনুল কারীমে বাবা ও মায়ের জন্য বিশেষ তিনটি দোয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। বাবা-মা জীবিত থাকুক বা মৃত সন্তান হিসাবে তাদের জন্য সকল সময় দোয়া করা উত্তম। এই দোয়ার মধ্যে রয়েছে নিজের জন্য কল্যাণ ও শান্তি এই কথার ঘোষনা মহান আল্লাহতালা নিজে দিয়েছেন কুরআনুল কারীমে। বাবা মার জন্য উল্লেখিত দোয়া গুলো নিচে দেওয়া হলঃ

  • رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرً ( রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানিস সাগিরা )
অর্থঃ হে আমার পালনকর্তা তুমি আমার পিতা-মাতার প্রতি দয়া কর যে ভাবে তারা আমাকে শৈশবে লালন পালন করেছেন। সূরা বনী ইসরাইল আয়াত নম্বর ২৪।
  •  رَبَّنَا ٱغْفِرْ لِى وَلِوَٰلِدَىَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ ٱلْحِسَابُ ( রাব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়্যা ওয়া লিলমুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব )
অর্থঃ হে আমার রব হে আমার পালনকর্তা যেই দিন সকল বিষয়ের হিসাব নেয়া হবে সেদিন আপনি আমাকে আমার বাবা আমাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। সূরা ইব্রাহীম এর আয়াত নম্বর ৪১।পরীক্ষা ভালো করার জন্য মহান আল্লাহতালার উপর তাওয়াক্কুল করে পড়াশোনা করলে নিশ্চয়ই পরীক্ষা ভালো হবে। وَ مَنۡ یَّتَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰهِ فَهُوَ حَسۡبُهٗ ؕ اِنَّ اللّٰهَ بَالِغُ اَمۡرِهٖ 

এই আয়াতের অর্থ হলোঃ যে সকল বান্দারা মহান আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে বা ভরসা করে আল্লাহ তা'আলা তাদের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ সেই সকল বান্দার উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই পূরণ করবেন ইনশাআল্লাহ। সূরা তালাকের আয়াত নম্বর ৩০।

আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দোয়া - তওবার শ্রেষ্ঠ দোয়া

ক্ষমা সম্পর্কে হাদিসে এসেছে হযরত আবু মুসা আশআরী রাঃ হতে বর্ণিত নিশ্চয়ই বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার সময় ক্ষমাপ্রার্থনা করতেনঃ- رَبِّ اغْفِرْلِىْ خَطَايَاىَ وَجَهْلِىْ এর অর্থ হলঃ হে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মালিক হে প্রভু আমাকে ক্ষমা করুন আমার ভুল ত্রুটি এবং বিভিন্ন কাজের মধ্যে থাকা অজ্ঞতা গুলোকে ক্ষমা করুন।

বুখারী মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ। বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে অপ্রকাশে আমরা নানা ধরনের গুনাহ করে থাকি এই সকল গুনাহ থেকে মাফ পাওয়ার জন্য এই দোয়াটি খুবই কার্যকর। رَبِّ اغْفِرْلِىْ مَا أَسْرَارْتُ وَ مَا أَلَنْتُ এর অর্থ হলঃ হে পালনকর্তা হে প্রভু গোপনে ও প্রকাশ্যে আমি যত রকমের ভুল কাজ করেছি এই সকল ভুল ক্ষমা করুন। মুসনাদে আহমাদ।

তওবা করার শ্রেষ্ঠ দোয়া হলোঃ হে মহান রাব্বুল আলামিন আপনি আমাদের প্রতিপালক আপনি রিজিকদাতা। আপনি ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই। আপনি সকল কিছু জানেন জানা অজানা সকল গুনাহ আপনি মাফ করে দেন। আসমানের নিচে জমিনের উপরে আমি এক পাপী বান্দা। আপনার বান্দার অভাব নেই কিন্তু আপনি ছাড়া আমার কোন রব নেই।
আপনি আমাকে ক্ষমা করুন সকল পাপাচারের কাজ থেকে আমাকে বিরত রাখুন। সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। আমার পিতামাতাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন আমিন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আশা করি উপরে উল্লেখিত সমস্ত বিষয়ে আপনি যথাযথ ধারণা পেয়েছেন। উপরে উল্লেখিত দোয়া বা কোন হাদিস সম্পর্কে যদি আপনার প্রশ্ন বা মতামত থাকে সে ক্ষেত্রে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আশা করি উপরে লিখিত আর্টিকেল আপনার প্রয়োজন আসবে। যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই নিজের প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url