প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা রূপচর্চায় চন্দনের উপকারিতা এবং রূপচর্চায়
চন্দনের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করব। চন্দনের অনেক উপকারিতা রয়েছে তার মধ্যে
চন্দনকে বিশেষ করে রূপচর্চার জন্য ব্যবহার করা হয়। কারণ রূপচর্চায় চন্দন এর
অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই আজকে আমরা রূপচর্চায় চন্দনের উপকারিতা গুলো
আপনাদেরকে জানাবো।
আপনি যদি রূপচর্চায় চন্দনের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি
মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন দেরি না করে রূপচর্চায় চন্দনের উপকারিতা
- রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেই।
রূপচর্চায় চন্দনের উপকারিতা
আমরা জানি যে গরমের সময় শরীর বা ত্বকের একটু বাড়তি যত্ন নেওয়া লাগে। এক্ষেত্রে
অনেক উপকারী। ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নিতে চন্দন সাহায্য করে। এন্টিসেপটিক
হিসেবে চন্দনের উপকারিতা রয়েছে। একসময় বিয়ের কনেকে সাজানো হতো চন্দন দিয়ে।
চন্দনের আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন এটি সব গুণে গুণান্বিত একটি
উপাদান। এখন আমরা রূপচর্চায় চন্দনের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব।
শুষ্ক ত্বক এর জন্যঃ শুষ্ক ত্বক দূর করার জন্য চন্দন অনেক উপকারী।
আপনি শুষ্কতা দূর করতে চন্দনের সাথে মধু কিংবা দুধ ব্যবহার করতে পারেন। সবগুলো
একসাথে মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে আপনার
ত্বক শুষ্ক হওয়া থেকে বিরত থাকবে। এবং ত্বক হবে টানটান দাগমুক্ত।
সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও উজ্জ্বলতাঃ আপনি যদি আপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে
চান এবং চেহারার উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে চন্দন আপনার জন্য সবথেকে ভালো
পছন্দ হবে। চন্দনের সাথে হলুদ টক দই অথবা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে
এটি মুখে ২০ মিনিট ধরে লাগিয়ে রাখুন। এরপর এটি শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে
ধুয়ে ফেলুন। এভাবে যদি আপনি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি
আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
বিশেষ করে গরমের সময় রোগের কারণে ত্বক একটু তৈলাক্ত হয়ে যায়। এ সমস্যায়
কমপক্ষে সবাই ভুগে থাকেন। তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পেতে আপনি চন্দন এর সাথে
গোলাপ জল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এটি তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি দেবে।
মুখের ময়লা দূর করার জন্যঃ মুখে অতিরিক্ত তেল ও ময়লা পরিষ্কার করতে
চন্দন বিশেষভাবে উপযোগী। আপনি যদি আপনার মুখের ময়লা দূর করতে চান তাহলে চন্দন এর
সাথে টমেটোর রস এবং মুলতানি মাটি মিশিয়ে ব্যবহার করলে খুব তাড়াতাড়ি এর উপকার
পেয়ে যাবেন।
রোদে পোড়া ভাব দূর করার জন্যঃ বাইরে ঘোরাঘুরি করার কারণে অনেক সময়
তকে রোদে পোড়া ছাপ পড়ে যায়। এগুলো কমাতে এক চামচ চন্দন পাউডার এর সঙ্গে
অ্যালোভেরা জেল নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। এটি মুখের ব্রণের জন্য অনেক উপকারী।
আপনি যদি নিয়মিত ব্যবহার করেন আপনি এর উপকারিতা বুঝতে পারবেন।
ব্রণের সমস্যার জন্য চন্দন অনেক উপকারী একটি উপাদান। আপনারা যারা ব্রণের সমস্যায়
ভুগছেন ব্রণের কারণে মুখ এর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে তাহলে নিয়মিত চন্দন পাউডার
এর ফেসপ্যাক তৈরি করে এটি নিজের মুখে ব্যবহার করুন। আপনি যদি নিয়মিত ব্যবহার
করতে পারেন দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই এর উপকারিতা বুঝতে পারবেন।
ত্বকের র্যাশ থেকে মুক্তিঃ যাদের ত্বক সূর্যরশ্মি সহ্য করতে পারেনা।
তাদের তোকে খুব সহজে লালচে দাগ এর উপস্থিতি দেখা যায়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে
চন্দনের পেস্ট সবথেকে সহজ এবং উপযোগী মাধ্যম। ত্বকের ব্ল্যাকহেড দূর করতে তাকে
দীর্ঘদিন ধরে সুন্দর রাখতে চন্দন এর উপকারিতা রয়েছে।
রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার
আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে চন্দন ত্বকের জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান। বিশেষ করে
রূপচর্চা করতে চন্দন বিশেষভাবে উপকারী। ইতিমধ্যে আমরা রূপচর্চায় চন্দনের
উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। চন্দন কাঠের গুড়া পাওয়া যায় এটি ত্বক পরিষ্কার
করতে, ত্বক উজ্জল করতে, রোদে পোড়া ভাব দূর করা ও ত্বককে সুন্দর এবং সজীব রাখা এ
ছাড়াও অসংখ্য গুনাগুন রয়েছে উপাদানের। আমরা এখন রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার
সম্পর্কে জানব। তাহলে চলুন রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেই।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করা হয়
ব্রণ ও ত্বকের দাগ দূর করতে ব্যবহার করা হয়।
ত্বকের ক্লান্তি ভাব দূর করতে চন্দন ব্যবহার করা হয়।
ত্বকের ব্ল্যাকহেডস দূর করতে চন্দন ব্যবহার করা হয়।
ত্বককে টানটান করতে চন্দন ব্যবহার করা হয়।
বিশেষ করে শুষ্ক ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক ও সংবেদনশীল ত্বক এই তিন ধরনের ত্বকের জন্য
চন্দনকে ভিন্ন রকম ভাবে ব্যবহার করতে হবে। তাহলে চলুন কিভাবে ব্যবহার করবেন
সেগুলো জেনে নেই।
শুষ্ক ত্বকের জন্য ত্বকের বাড়তি মশ্চারাইজার এর দরকার হয়। শুষ্ক ত্বক দূর করতে
চন্দন এর সঙ্গে মধু ও দুধ ব্যবহার করতে পারেন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য উপকারী।
চন্দন এর সাথে এ দুটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে ও হাতে পায়ে ব্যবহার করলে
ত্বকের শুষ্কতা থেকে রক্ষা পাবেন।
সংবেদনশীল ত্বকের জন্য ব্যবহারঃ
এ ধরনের ত্বকের রূপচর্চা করার সময় একটু বেশি সচেতন থাকা প্রয়োজন। আপনি
সংবেদনশীল ত্বক এ চন্দন এর সঙ্গে হালকা টক দই ব্যবহার করতে পারেন। অথবা সঙ্গে মধু
মিশিয়ে সারা শরীরে ব্যবহার করা যায়। শরীরে দেওয়ার পর ১৫-২০ মিনিট পর সেগুলো
তুলে ফেলুন তারপর জলপাই তেল দিয়ে মালিশ করুন। এভাবে আপনি আপনার ত্বকের যত্ন নিতে
পারেন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্যবহারঃ
ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে চন্দন এর সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
চন্দন এর মধ্যে এমন আয়ুর্বেদিক গুণ আছে জে ত্বকের আরো গভীরে গিয়ে পরিষ্কার করতে
সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
শেষ কথাঃ রূপচর্চায় চন্দনের উপকারিতা - রূপচর্চায় চন্দনের
ব্যবহার
ইতিমধ্যেই আমরা রূপচর্চায় চন্দনের উপকারিতা - রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার
সম্পর্কে জানলাম। আপনি যদি আপনার ত্বকের ভালোভাবে যত্ন নিতে চান তাহলে আপনি
রূপচর্চায় চন্দনের উপকারিতা অনেক পাবেন। নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনি খুব
তাড়াতাড়ি এর সুফল পেয়ে যাবেন। কারণ রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার বহুকাল আগে
থেকেই হয়ে আসছে।
বিভিন্ন রকম কসমেটিক্স এ চন্দন ব্যবহার করা হয় যেমন পারফিউম সাবান ইত্যাদি।
আপনারা যারা রূপচর্চায় চন্দনের উপকারিতা - রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার
সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য এই পোস্টটি খুবই উপকারী। তার জন্য সম্পূর্ণ
পোষ্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url