আমলকির তেল তৈরি করার নিয়ম - আমলকীর তেলের উপকারিতা
গর্ভবতী মায়ের ফল খাবার তালিকাআমলকির তেল তৈরি করার নিয়ম অনেকেই জানে না। কিন্তু আমলকির তেল একটি উপকারী তেল।আমলকীর তেলের উপকারিতা অনেক। কিন্তু কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এ আমলকি তেল তৈরি করবেন তা জানতে হলে আমাদের আজকের আর্টিকেল টি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
চুল পড়া বন্ধ করতে আমলকীর তেলের অনেক অবদান রয়েছে। এটি চুলের বৃদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি চুল ঝলমলে রাখতে সহয়তা করে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই তেল বানিয়ে ফেলতে পারেন আপনিও। তাই আমলকি তেল কিভাবে তৈরি করবেন চলুন জেনে নিন।
পেজ সূচিপত্রঃ আমলকির তেল তৈরি করার নিয়ম গুলো জেনে নিন।
আমলকির তেল তৈরি করার নিয়ম
আমলকির তেল তৈরি করার নিয়ম অনেকে জানেনা যেটা যানা থাকলে আপনি উপকৃত হবেন। তাহলে চলুন জেনেনি আমলকির তেল তৈরি করার নিয়ম। এক কাপ আমলকির রস নিন ও এক কাপ নারকেল তেল নিন। এরপর একটি পাত্রে এই ২টি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার হালকা আঁচে এই তেল এবং আমলকির রস গরম করতে শুরু করুন। এতেই তৈরি হবে আমলকির তেল।
আমলকির তেল একটি প্রাকৃতিক ও উপকারী তেল যা চুলের জন্য বিশেষভাবে ভালো। এটি তৈরি করতে প্রথমে কিছু পাকা আমলকি সংগ্রহ করুন। আমলকিগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে টুকরো টুকরো করে কাটুন। এরপর আমলকির টুকরোগুলোকে একটি পাত্রে নিয়ে ২-৩ দিন রোদে শুকাতে দিন। শুকানো আমলকিগুলোকে নারকেল তেলের মধ্যে মিশিয়ে নিন। পাত্রটি চুলায় রেখে ধীরে ধীরে তাপ দিন, তবে তাপ খুব বেশি যেন না হয়। এক ঘণ্টা পর তেলটা ঠাণ্ডা করতে দিন এবং তারপর ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে একটি বোতলে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন বা সপ্তাহে কয়েকবার চুলে আমলকির তেল মাখুন, এটি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে এবং চুলকে মজবুত ও চকচকে করবে। এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধ হবে এবং চুলের গোড়া মজবুত হবে। আমলকির তেল একটি প্রাকৃতিক চুলের যত্নের সমাধান।
আমলকীর তেলের উপকারিতা
আমলকীর তেলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে আজকের আর্টিকেলটির এই অংশটুকু ভালো হবে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আমলকীর তেলের উপকারিতা জানার পাশাপাশি আপনিও তৈরি করতে পারবেন আমলকির তেল। আমলকির তেলের অন্যতম উপকারিতা হলো এটি চুলের গোড়া শক্ত করতে খুব কাজ করে। চুলে আমলকির রস ব্যবহার করলে কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে চুল দ্রুত লম্বা হয়। আমলকির তেল তৈরি করার নিয়ম গুলো জেনে আমলকির তেল তৈরি করুন এবং ব্যাবহার করুন।
আমলকির মধ্যে ভিটামিন সি ও মিনারেল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যার কারণে চুল বৃদ্ধিতে করতে সাহায্য করে। চুলকে ঘন ও লম্বা করতে এবং মজবুত করতে আপনি আমলকির তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার চুলের অনেক উপকার হবে। প্রাচীনকাল থেকে চুলের যত্নে আমলকি ব্যবহার হয়ে আসছে। আমলকি তেলের উপকারিতা হচ্ছে চুলে মাখলে চুল সচ্ছ হয় চুল বৃদ্ধি হয়। এবং শরীরের মাখলে ত্বক কমল ও নরম হয়।
এটি আপনার চুলের ফলিকল গুলিকে শক্তিশালী করে যার ফলে চুলের বৃদ্ধি এবং চুলকে শক্তিশালী করে। এছাড়াও, চুলের শিকড় শক্তিশালী করে এবং মাথা ঠান্ডা রাখে। এছাড়াও শরীরে জ্বালাপোড়া সহ আরো অনেক চুলকানি রোগ থাকলে আমলকি তেলের ব্যবহারের ফলে এ রোগ গুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আমলকির তেলের উপকারিতা হচ্ছে এ তেলটির কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। যার ফলে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে।
ঘরেই আমলকির তেল যেভাবে তৈরি করবেন
ঘরেই আমলকির তেল যেভাবে তৈরি করবেন চলুন জেনে নি। আমলকি আধা কাপ ও একস্ট্রা ভার্জিন নারকেল তেল এক কাপ তিল বা সরষের তেল আধ কাপ ও আধা চা চামচ মেথিদানা নিন। আমলকি একটু ব্লেন্ড করে নিন। তারপর সব উপকরণ একসঙ্গে একটি গভীর পাত্রে নিয়ে গরম করতে বসান। মিনিট দশেক পর তেল থেকে ধোঁয়া বেরোতে আরম্ভ করলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। এতেই হয়ে গেল আমলকির তেল।
কিভাবে আপনারা ঘরে বসে আমলকির তেল তৈরি করবেন চলুন এবার জেনে নি। আমলকি গুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার আপনার বাড়িতে থাকা শুকনা কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে নিন। ছুরি দিয়ে বিচি ও ডাটা গুলোকে আলাদা করে নিন। এবার কারি পাতা ও সিকি কাপ নারিকেলের তেল কে এবার একসাথে ব্লেন্ড করে মিশ্রিত করে বাসায় থাকা একটি নরম কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিয়ে গরম করে নিলে তৈরি হবে আমলকির তেল।
তাহলে কিভাবে আমলকির তেল তৈরি করবেন। আমলকির তেল তৈরি করার নিয়ম অনুযায়ী কিভাবে আপনার বাড়িতে বসে আমলকি তেল তৈরি করবেন আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
চুলের যত্নে আমলকির তেল
চুলের যত্নে আমলকির তেল এর ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে এই অনুচ্ছেদ টুকু ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এবং ভালোভাবে বুঝুন চুলের জন্য কি কি উপকার রয়েছে এই আমলকির তেলে। আমলকির তেল শুধু চুলেই নয় শরীরেও ব্যবহার করা যায়। চুলে ব্যবহার করলে পাতলা চুল ঘন হয় এবং চুল মলিন হয়। এছাড়াও শরীলে আমাকে তেল ব্যবহার করলে শরীরের চুলকানি সহ জ্বালাপোড়া রোগ থাকলে এই রোগ গুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এটাই আমলকীর তেলের উপকারিতা। তাহলে চুলের যত্নে আমলকীর তেল ব্যাবহার করুন।
তেল হাতে নিয়ে মাথার তালু এবং চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মালিশ করুন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করলে চুল মজবুত হয়। সেই সাথে কমে আসবে চুল পড়ার পরিমাণ। এবং পাতলা চুল আস্তে আস্তে ঘন হয়ে উঠবে। এভাবে তেল মালিশ করলে রক্ত চলাচল ভালো হয়। যে কারণে চুলের বৃদ্ধিও ভালো হয়। আমলকির অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য খুশকি দূর করতে কাজ করে। ফলে চুল যত্নে থাকে ভালো থাকে আর চুল ভালো থাকলে মন ভালো থাকে।
আমলকীর তেল কেন ব্যাবহার করে
আমলকীর তেল কেন ব্যাবহার করে এটি জানার জন্য আপনাকে এই অংশটি অবশ্যই ভালোভাবে পড়তে হবে। আমলকির তেল একটি উপকারী অয়েল। আমলকি তেল সারা শরীরে ব্যাপক উপকার করে থাকে। আমলকি তেল যেমনটা চুলের জন্য উপকারী ঠিক তেমনি সারা শরীরে উপকার করে থাকে। আমলকি তেল কেন ব্যবহার করবেন এজন্য ব্যবহার করবেন একটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে একটি ভেষজ ওষুধ।
আমলকীর তেল কেন ব্যাবহার করে? আমলকীর তেল ব্যবহার করলে চুলের বৃদ্ধি দ্রুত হয়, চুল মজবুত এবং উজ্জ্বল হয়। এই তেল চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল পড়া রোধ করে এবং খুশকি দূর করে। আমলকীর তেল কেন ব্যাবহার করে তার একটি বড় কারণ হলো এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়া আমলকীর তেল মাথার ত্বক সুস্থ রাখতেও সহায়তা করে।
চুলে আমলকি ব্যবহার করলে যা হয়
চুলে আমলকি ব্যবহার করলে যা হয় জেনে আপনার মাথা ঘুরে যাবে। তাহলে চলুন জেনে নিই চুলে আমলকি ব্যবহার করলে যা হয়। চুলে আমলকির তেল ব্যবহার করার কারণে মাথা ঠান্ডা থাকে। এবং, সহজে চুল পাকে না। চুল উঠে যায় না। চুল পাতলা থাকলে চুল ঘন হতে সাহায্য করে। কটা চুল কুছকুচি কালো করে। এবং চুলকে আকর্ষণীয় করে তোলে। যা দেখে অন্যরা ডিপ্রেশন মধ্যে পড়ে যায়।
তেল হাতে নিয়ে মাথার তালু এবং চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মালিশ করুন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করলে চুলের ফলিকল মজবুত হবে, সেইসঙ্গে কমে আসবে চুল পড়ার পরিমাণও। এভাবে তেল মালিশ করলে স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল ভালো হয়, যে কারণে চুলের বৃদ্ধিও ভালো হয়। আমলকির মূল অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য গুলো খুশকি দূর করতে কাজ করে। আমলকির তেল তৈরি করার নিয়ম জেনে তেল তৈরি করুন এবং চুলে ব্যাবহার করুন।
চুল পড়া কমাতে আমলকীর তেল এর ব্যাবহার
চুল পড়া কমাতে আমলকীর তেল এর ব্যাবহার কিভাবে করে অনেকেই জানে না। তাই আপনি যদি জানতে চান তাহলে অবশ্যই এই ছেদটি পড়তে থাকুন। অনেকেই অকালে মাথার চুল উঠে পড়ে যায়। এটি একটি বায়ুজনিত রোগ। আর মাথায় চুল না থাকলে অনেকের সামনে যেতে অনেক সময় খারাপ লাগে। তাই মাথায় চুল পড়া কমাতে আমলকি তেল ব্যবহার করুন। আর এই ব্যবহারের ফলে আপনার চুল পড়া কম যেতে পারে।
শীতে স্ক্যাল্পে খুশকির সমস্যার জন্য চুল পড়ার সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তাছাড়া আর্দ্রতার অভাবে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আপনি আমলকির তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ, এই সব সমস্যা দূর করার জন্য আমলকির তেলের কোন বিকল্প নেই । আমলকির মধ্যে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যেগুলো চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করে। আমলকির তেল তৈরি করার নিয়ম গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভাবে মেনে তেল তৈরি করে মাথাই ব্যাবহার করলে চুল পড়া থেকে মুক্তি পাবেন।
নতুন চুল গজাতে আমলকি
নতুন চুল গজাতে আমলকি এর অনেক অবদান রয়েছে যেগুলো যে আপনি উপকৃত হবেন। তাহলে জানার জন্য অবশ্যই এই অনুচ্ছেদটি পড়ুন। যাদের মাথার চুল অনেকটা উঠে গেছে তার অবশ্যই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কি করা যায় কি করলে এ রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ রোগের ওষুধ আছে। আমলকি তেল নিয়মিত মাথায় মাখলে মাথার চুল পড়া বন্ধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সহযোগিতা করে।
নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে আমলকির ফাইটোনিউ ট্রিয়েন্টস এবং ভিটামিন সি। মাথার ত্বকের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে চুল লম্বা করে। এবং ঘনত্ব বৃদ্ধিতে উল্লেখ যোগ্য করে তুলে। আমলকিতে থাকা এই নিউট্রিয়েন্টস চুলে কোলাজেন নামে এক বিশেষ প্রোটিন তৈরি করে। নতুন কোষ বা ফলিকল তৈরিতে এই কোলাজেন বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। নতুন করে চুল গজাতে সাহায্য় করে। তাই এই হেয়ার প্যাক ব্যবহারে আশাকরি নতুন চুল গজাবে এটাই হচ্ছে আমলকীর তেলের উপকারিতা।
আমলকীর তেল শরীরের মাখলে যা হয়
আমলকীর তেল শরীরের মাখলে যা হয় তা জানুন। ছোটবেলায় মায়েরা বলতেন আমলকী নাকি শরীরের জন্য খুব উপকারী। এমনকি সেই সময় তাঁরা চুলের যত্ন নেওয়ার জন্যও ব্যবহার করতেন আমলকীর তেল। আমলকির তেল তৈরি করার নিয়ম গুলো জেনে তেল তৈরি করে ঘরে রাখুন উপকারে আসবে।
আমরা অনেকেই কাঁচা আমলকী নুন ও লাল মরিচের গুঁড়ো দিয়ে খেতে ভালবাসি। হজমের জন্য এখনও অনেকেই আমলকীর সাহায্য নেন। ছোটবেলায় মায়েরা বলতেন আমলকী নাকি শরীরের জন্য খুব উপকারী। এমনকি সেই সময় তাঁরা চুলের যত্ন নেওয়ার জন্যও ব্যবহার করতেন। কিন্তু জানেন কি ত্বকের ক্ষেত্রে কতটা সহায়ক। তাহলে চলুন জানা যাক এই আমলকী আপনার ত্বকের ওপর কী প্রভাব ফেলে।
আমলকী আপনার ত্বকের বার্ধক্যকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এর জন্য আমলকীর রস তৈরি করে তাতে মধু মিশিয়ে পান করুন। এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা আপনার ত্বকের অকাল বার্ধক্য সূক্ষ্ম রেখা কালো দাগ এবং বলিরেখা প্রতিরোধ করবে।ব্রণর সমস্যা থেকে রেহাই পেতে মুখে লাগান আমলকীর তেল। পরিষ্কার ও সুন্দর ত্বক পাওয়ার জন্য আমলকীর তেল ব্যবহার করুন এবং হাতে নাতে ফল পান। প্রতিদিন এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে আপনি ত্বকের সমস্যা গুলো থেকে রেহাই পেতে পারেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আমার পক্ষ থেকে এটাই পরামর্শ থাকবে যে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাথায় চুল ওঠা বা শরীরের ত্বকের সমস্যা বা ত্বকের জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে আমলকি তেল ব্যবহার করুন। আর এই তেল ঘরে বসে বানানোর জন্য আর্টিকেলটি বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে আশা করি ভালোভাবে পড়েছেন। এবং এখন থেকে আপনি নিজে নিজেই আমলকির তেল তৈরি করতে পারবেন।
তাই উপরোক্ত সমস্যা গুলো যদি আপনার মধ্যে থেকে থাকে তাহলে আপনি এই ঘরোয়া পদ্ধতিতে আমলকির তেল বানিয়ে সে তেলগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে ওষুধ তৈরি করুন এবং সুস্থ থাকুন। ২৮৯২৬
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url