হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়
এইডস কি কারনে হয় - এইডস কিভাবে ছড়ায়আপনি কি জানেন, হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস শুধুমাত্র শীতকালে শিশুদের আক্রান্ত
করে তা নয় বরং বয়স্কদের আক্রান্ত করতে পারে। কিন্তু আপনি যদি হিউম্যান
মেটাপনিউম ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য না জেনে থাকেন,
তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য।
আজকের পোস্টে আমরা হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আলোচনা করব। এছাড়াও হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস চিকিৎসা
পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের সমগ্র আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়
বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে ভাইরাস সংক্রমণ ব্যাধি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি
সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যত রকমের ভাইরাস সংক্রান্ত রোগ ব্যাধি রয়েছে
তার মধ্যে অন্যতম হলো হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস। যা মূলত এই ভাইরাসটি
শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমনের জন্য দায়ী। তবে এই ভাইরাসটির সংক্রমনের প্রতিনিয়ত
শিকার হচ্ছে শিশুসহ বয়স্ক ব্যক্তিরা।
কেননা এই ভাইরাসটি দুর্বল ব্যক্তি এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের
ক্ষেত্রে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটিয়ে মৃত্যুর মুখে পতিত করে। শীতকালে বা ঠান্ডা
আবহাওয়ায় এই ভাইরাসের প্রবণতা বেড়ে যায়। কিন্তু এই ভাইরাস সম্পর্কে সঠিক
পদক্ষেপ এবং উপযুক্ত চিকিৎসা সঠিক সময়ে গ্রহণ না করলে মৃত্যু অনিবার্য। কেননা
হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস
একপ্রকার শ্বাস জনিত ভাইরাস যা মূলত হাঁচি-কাশি কিংবা সংক্রমণিত ব্যক্তির
সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে ছড়ায়। বিশেষ করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে গলা ব্যথা,
কাশি, জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের মতো বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা যেতে পারে। তাই আজকের
পোস্টটি আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে,
হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে
পারবেন। তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন আমরা জেনে নিই হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস থেকে
বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। যে তথ্য গুলোর মাধ্যমে আপনারা এই
প্রাণঘাতী সংক্রমণ ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
শিশুদের মধ্যে হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস প্রভাব
বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ভাইরাস সংক্রমণ একটি অতি গুরুতর উদ্বেগের
বিষয়। কেননা বর্তমান সময়ে সচরাচর ভাবে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস শিশুদের
শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা গুলো প্রতিনিয়ত সৃষ্টি করছে। যার মধ্যে সম্প্রতি সময়ে
সংক্রমণ ঘটানো একটি ভাইরাস হলো হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস। এই ভাইরাসটি একটি অতি
সাধারণ ভাইরাসের
মতো শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে হিউম্যান মেটাপনিউম এই ভাইরাসটি
শীতের ঋতুতে অর্থাৎ শীতকালে প্রচুর পরিমাণে সক্রিয় থাকে এবং সহজে শিশুদের
শ্বাসনালীতে আক্রমণ করে থাকে। এই ভাইরাসটি শিশুদের শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটিয়ে
তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে ফেলে এবং শিশুদের প্রাণঘাতী ঝুঁকির
সম্মুখীন তৈরি করে।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে শিশুদের শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা সহ গুরুতর
নিউমোনিয়া রোগ পর্যন্ত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আর এই সমস্ত রোগগুলো সাধারণত
সেই সব শিশুদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটানোর সম্ভাবনা থাকে অর্থাৎ যাদের
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল সেই সব শিশুদের জন্য সবচেয়ে বেশি
ঝুঁকিপূর্ণ।
তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আজকে হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস থেকে বাঁচার
উপায় প্রভাব, লক্ষণ এবং ঝুঁকি ও প্রতিরোধের বিভিন্ন ধরনের উপায় গুলো নিচে
বিস্তারিতভাবে দেওয়া হল। যে তথ্যগুলোর মাধ্যমে আপনারা আপনাদের শিশুদের হিউম্যান
মেটাপনিউম ভাইরাসের প্রভাব থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
শ্বাসকষ্ট ও কাশি
হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস সাধারণত শিশুদের শ্বাসনালির উপর বিশেষভাবে সংক্রমণ
ঘটানোর প্রভাব ফেলে যার জন্য শিশুদের শ্বাসকষ্ট এবং কাশি হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়।
বিশেষ করে এই ভাইরাসটি শিশুদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক সংক্রমণ। কারণ শিশুদের
শ্বাসনালী ছোট এবং সংকীর্ণ হওয়ার ফলে শিশুদের শ্বাস নিতে সমস্যা অনুভব করে।
কিন্তু আপনি যদি আপনার শিশুকে শ্বাসকষ্ট ও কাশি হওয়ার লক্ষণ চিহ্নিত হওয়ার
মাত্রই সঠিক চিকিৎসার পদ্ধতির প্রয়োগ করেন তাহলে, সহজে আপনার শিশুটি এই ভাইরাসের
হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে।
সর্দি এবং গলা ব্যথা
হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাসের কারণে শিশুদের মধ্যে সর্দি এবং গলা ব্যথা সমস্যার
লক্ষণ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে সর্দি এবং গলা ব্যাথার কারণে অনেক শিশুরা খেতে
এবং দুধ পান করতে কষ্ট হতে পারে এমনকি তারা বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তি অনুভব করে
থাকে। তাই আপনার শিশুর ক্ষেত্রে যদি সর্দি এবং গলা ব্যথার সমস্যা লক্ষণ দেখা দেয়
তাহলে কোন ভাবে কাল বিলম্ব না না করে অতি দ্রুত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন
হওয়া উচিত।
তাই পরিশেষে সমস্ত অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, শিশুদের স্বাস্থ্যের
ক্ষেত্রে বিশেষ করে হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস একটি উদ্যোগ জনক বিষয় তবে সচেতনতা
এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে ভাইরাসটি প্রতিরোধ করা সম্ভব তবে
অভিভাবকদের উচিত শিশুদের প্রতি সঠিক মনোযোগী তৈরি করা এবং যেকোনো ধরনের ভাইরাসের
প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত
বাংলাদেশে হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাসের লক্ষণ
বাংলাদেশে শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমজনিত রোগগুলো অতি সাধারণ হলেও গুরুতর
স্বাস্থ্য সমস্যা এবং উদ্বেগের বিষয় হতে পারে। তবে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমন এক ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ চিহ্নিত করা হয়েছে। যেটি
সহজে শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিদের শ্বাসযন্ত্রের প্রতিনিয়ত সমস্যা
সৃষ্টি করছে আর সেই ভাইরাসটি হল,
আরো পড়ুনঃ জন্ডিস এর লক্ষণ - জন্ডিস এর প্রতিকার
হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস। আর এই ভাইরাসটির সংক্রমণের কারণে শিশুদের সর্দি কাশি
জ্বর এবং মারাত্মক নিউমোনিয়া পর্যন্ত সমস্যা সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। তবে এই ভাইরাসটি
মূলত শ্বাসতন্ত্রের আঘাত হানে এবং বাংলাদেশে আক্রান্ত সেই সব শিশুদের মধ্যে
নিম্নলিখিত লক্ষণসমূহ প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে।
সাধারণ সর্দি কাশি
- নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়ার সমস্যা।
- হালকা থেকে মাঝারি এবং শুকনো কাশি হওয়া।
জ্বর
- কম বা মাঝারি ধরণের জ্বর, যা অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী রূপ ধারণ করে।
- শরীরে তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে যায় এবং সর্দি কাশি লক্ষণগুলো অনুভব করা যায়।
শ্বাসকষ্ট
- দ্রুত শ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে কষ্টসাধ্য হয়।
- শ্বাস নেওয়ার সময় সাই সাই শব্দ হওয়া।
খাওয়া-দাওয়ার অনীহা
- শরীর দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ায় মন ক্ষুধা মন্দা দেখা দেয়।
- অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং অবসাদ ক্রমাগত প্রতিনিয়ত অনুভব করা।
- শিশুর স্বাভাবিক খেলাধুলা কিংবা কার্যকলাপে বিভিন্ন ধরনের অনাগ্রহ দেখা।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস ঝুঁকি
বর্তমান সময়গুলোতে বাংলাদেশের আবহাওয়ার জলবায়ু এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব ও
স্বাস্থ্যসেবার সীমাবদ্ধতার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া হিউম্যান
মেটাপনিউম ভাইরাস সহজে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শীতকালীন মৌসুমে
ভাইরাসটির দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই ভাইরাসের বিশেষত
হলো যে,
ঠান্ডা এবং ভেজা আবহাওয়ার পরিবেশে ভাইরাসটি সংক্রমণের মাত্রা বেশি। কেননা
শহরাঞ্চল এবং গ্রামাঞ্চলের মধ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও সচেতনতার তফাৎ ভিন্ন হতে
পারে। অর্থাৎ শহরাঞ্চলে বিশেষ করে জনবহুল পরিবেশ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ধরন
অনুযায়ী ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকলেও গ্রামের এলাকাগুলোতে বিশেষ করে
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সীমাবদ্ধতা এবং অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত না থাকার
কারণে হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে শিশু
বয়স্ক এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল সে সমস্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই
হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস সহজে স্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
এছাড়াও নিউমোনিয়া মত মারাত্মক জীবন হুমকি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই
হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাসের ঝুঁকির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি যাদের তাদের সম্পর্কে
নিম্নে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হলো।
- যে সমস্ত শিশুদের জন্মের সময় তাদের ওজন কম ছিল।
- যাদের আগে থেকে হাঁপানি কিংবা অন্য কোন ধরনের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে।
- যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল।
- যারা অপরিষ্কার পরিবেশে বসবাস করছে।
হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস চিকিৎসা পদ্ধতি
বর্তমান বিশ্বে অন্যতম স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ গুলোর মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ একটি
প্রধান উদ্বেগের বিষয়। বিশেষ করে ভাইরাস গুলোর মধ্যে হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস
একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাইরাস। যা প্রধানত শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক এবং যাদের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল সে সমস্ত ব্যক্তিদের এই ভাইরাস সহজে আক্রান্ত করে।
এমনকি এই ভাইরাসটি শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটিয়ে সর্দি কাশি থেকে শুরু করে গুরুতর
নিউমোনিয়া রোগ পর্যন্ত সংক্রমণ ঘটাতে পারে। যদিও বর্তমান সময়ে হিউম্যান
মেটাপনিউম ভাইরাসে নির্দিষ্ট কোন টিকা বা অ্যান্টিভাইরাস আবিষ্কার করা হয়নি, তবে
সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমনের প্রভাব বিস্তার
কিছুটা নিয়ন্ত্রণ বা কমানো সম্ভব।
যদি এই ভাইরাসের আক্রমণে রোগী সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না পেলে ভাইরাসটি ক্রমাগত
গুরুত্ব আকার ধারণ করে এবং আক্রান্ত রোগীর জীবন হুমকির মুখে ফেলতে পারে। নিচে
হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়।
.চিকিৎসা পদ্ধতি
যেহেতু হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোন এন্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রতিষেধক
আবিষ্কার করা হয়নি তাই লক্ষণ অনুযায়ী আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া যেতে
পারে।
- জ্বর ও ব্যথা কমানোর জন্য আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্যারাসিটামল খাওয়ানো যেতে পারে।
- শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে প্রয়োজন অনুযায়ী যথাযথভাবে অক্সিজেন সাপোর্টের ব্যবস্থা করতে হবে।
- সর্দি ও কাশির জন্য উপযুক্ত ওষুধ খাওয়াতে হবে।
তরল খাবার গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজন
হিউম্যান মেটাপনিউম আক্রান্ত ব্যক্তিকে যথাযথভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম এবং
তরল গ্রহণের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি এবং অন্যান্য তরল গ্রহণের পরামর্শ সর্বদা দেওয়া হয়। এতে
করে দেখা যায় যে তাদের শরীরের হাইড্রেশনের মাত্রা বজায় থাকে এবং ভাইরাসের
বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি বাড়ে।
ভেন্টিলেটরি সাপোর্ট গুরুতর সমস্যার রূপ ধারণ করলে
যদি কোনো কারণে রোগীর গুরুতর শ্বাসকষ্ট এবং শ্বাস রোধ অনুভব করে থাকেন, তবে তাকে
ভেন্টিলেটরি সাপোর্টের প্রয়োজন হতে পারে। কেননা এই ব্যবস্থা শুধুমাত্র হাসপাতালে
পরিবেশে সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই ভেন্টিলেটরে সাপোর্টের সঠিক
সময়ে ব্যবস্থা না করা হলে তাহলে আক্রান্ত রোগীর গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়। অর্থাৎ
এই চিকিৎসা পদ্ধতি সেসব ক্ষেত্রে দেওয়া হয় যাদের নিউমোনিয়া বা
ব্রঙ্কিয়োলাইটিসের আক্রান্ত হয়েছে।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
- প্রতিদিন নিয়মিত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণযুক্ত আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ থেকে সর্বদায় দূরে থাকতে হবে।
- কখনো বা কোন অবস্থাতে ভিড় এড়ানো উচিত নয়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন সুষম খাবার এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
তাই পরিশেষে বলতে চাই যে,হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস সাধারণত কম বিপদজনক হলেও এটি
শুধুমাত্র শিশু বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য
অতি গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তবে এই ভাইরাসটি সঠিক
সচেতনতা প্রতিরোধ ব্যবস্থা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা গ্রহণ
করার মাধ্যমে অনায়াসে হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
লেখকের শেষ কথাঃ হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টটিতে সকলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হল হিউম্যান
মেটাপনিউম ভাইরাসের উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দিলে তা কোনভাবে কাল বিলম্বনা না করে
অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। তাই আজকের পোস্টটি আপনারা যদি শুরু
থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন,
তাহলে হিউম্যান মেটাপনিউম ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
জানতে পারবেন। যে তথ্যগুলো জেনে আপনারা আপনাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে
পারবেন। আজকের পোস্টটি পড়ে আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার প্রতিবেশী
আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধুদের সাথে এই বিষয়ে বেশি বেশি শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url