আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় - কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কতপ্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে স্বপ্ন দেখেন? কিন্তু আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে অনেকে চিন্তায় বিচলিত হয়ে থাকে তাদের চিন্তা নিরসন করার জন্য এবং সহজে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় এ বিষয়ে জানতে আজকের পোস্টটি পড়তে থাকুন।
আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এছাড়াও আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার দাম কত? জানতে হলে আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন পড়তে হবে




আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

বর্তমান সময়ে শিক্ষার দিক থেকে উন্নত ধরনের শিক্ষার মান ও সুযোগ সুবিধার জন্য আমেরিকা বিশ্বের জনপ্রিয় শিক্ষা ক্ষেত্র হিসেবে সুপরিচিত। আর এই জন্যই প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থীর আমেরিকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার জন্য স্বপ্ন দেখে থাকে। কিন্তু তাদের এই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া। 

আর এই স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া নয় বরং শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় যোগ্যতা এবং প্রস্তুতির উপর নির্ভর করে থাকে। কেননা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ করতে হয়। অর্থাৎ আমেরিকা পড়াশোনা করতে চাইলে সাধারণত স্টুডেন্টদের জন্য তিন ধরনের ভিসার আবেদন করতে পারবে।

যেমন F-1, M-1, J-1 ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধরনের নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। যে নিয়ম কারণগুলো আবেদনকারী শিক্ষার্থী সঠিকভাবে মেনে চললে এবং পালন করে তাহলে সহজে সে আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে। তাই আজকের এই পোস্টটি আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন,

তাহলে অবশ্যই আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়াও আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং কিভাবে এর সমস্ত প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করা যায় এ বিষয়ে সঠিক তথ্য নিচে ব্যাখ্যা করা হলো।

স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য
  • আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে অবশ্যই সর্বপ্রথমে আমেরিকার যেকোন স্বীকৃতি স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে SEVIS ফি প্রদান করার পর তাকে I-20 বা DS-2019 ফর্ম প্রাপ্ত অবশ্যই হতে হবে।
  • শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ইংরেজি বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে এমনকি TOEEL, IELTS সহ অন্যান্য স্বীকৃত ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে তবে বিশেষ কিছু প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে GMAT বা GRE প্রয়োজন হতে পারে।
  • শিক্ষার্থীকে অবশ্যই আমেরিকা পড়াশোনা করার সেখানে থাকা খরচ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে আর্থিক সামর্থের প্রমাণ থাকার জরুরী এছাড়াও ব্যাংক স্টেটমেন্ট স্পন্সর সিপ চিঠি বা আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।
  • ভিসা সাক্ষাৎকারের সময় আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার উদ্দেশ্য এবং ভবিষ্যতের বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে কেননা পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশে ফিরে আসার জন্য প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করতে হবে।
  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট এবং সমস্ত নথিপত্রগুলোতে পরিষ্কার প্রমাণ থাকার জরুরী কেননা আবেদনকারী কোন ভাবে অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে কোনোভাবে যেন জড়িত না থাকে।

আমেরিকার ভিসা পাওয়ার জন্য স্টুডেন্টদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র
  • অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট থাকা জরুরী।
  • ভিসা আবেদনের ঠিক প্রদানের সমস্ত প্রমাণ থাকতে হবে।
  • I-20 বা DS-2019 ফর্ম।
  • SIVIS ফ্রি প্রদানের রশিদ থাকতে হবে।
  • একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সার্টিফিকেট থাকতে হবে ।
  • আর্থিক সামর্থের যথাযথ সঠিক প্রমাণ এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি চিঠি থাকতে হবে।
  • TOEEL, IELTS অবশ্যই স্কোর থাকতে হবে।
  • ভিসা সাক্ষাৎকারের সময় অবশ্যই DS-160 , ফর্ম থাকতে হবে।

স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়ার ধাপসমূহ
  • অবশ্যই আমেরিকান দূতাবাস কিংবা কনসুলেটর মাধ্যমে DS-160 ফর্ম যথাযথভাবে পূরণ করুন।
  • SIVIS ফি এবং ভিসা আবেদনের ফি প্রদান করুন।
  • প্রয়োজনীয় সকল নথিপত্রগুলো প্রস্তুত করুন।
  • অবশ্যই ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য দূতাবাসে উপস্থিত থাকুন।
  • ভিসা ক্ষাৎকারের সময় অবশ্যই নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসে থাকতে হবে এবং সমস্ত প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট ভাবে দিতে হবে।

তাই উপরের সমস্ত প্রক্রিয়া ধাপসমূহ গুলো আপনি যদি সঠিক নিয়ম কানুন মেনে পালন করেন তাহলে অবশ্যই আপনি আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি যদি সঠিক নির্দেশনা মেনে চলেন এবং আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে আপনার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করার জন্য সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হতে পারে।

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

আমেরিকা এমন একটি মহাদেশ যেখানে সারা বিশ্বব্যাপির কাছে উচ্চ শিক্ষার গন্তব্যের স্থান হিসেবে সুপরিচিত। অর্থাৎ আমেরিকা এই মহারাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ গুলোতে উচ্চশিক্ষা অর্জন করার জন্য হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রতিবছর আবেদন করে থাকেন। কিন্তু আমেরিকা পড়াশোনা করতে যাওয়ার জন্য সবার প্রথমে প্রয়োজন সেটি হল

স্টুডেন্ট ভিসা যাকে (F-1) ভিসা নামে সুপরিচিত। আর এই স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়া কেমন হবে এবং কত দিন সময় নিবে সে সম্পর্কে অনেক শিক্ষার্থীর মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন থাকে। কারন আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার অনেক শিক্ষার্থীর জন্য একটি বড় লক্ষ্য। কেননা বর্তমান সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা, সুযোগ সুবিধা এবং বিভিন্ন 

ধরনের বৈশ্বিক স্বীকৃতি সহ অনেক ছাত্র-ছাত্রী আমেরিকা বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজগুলোতে পড়াশোনা করার জন্য আকর্ষণ করে থাকে। তবে আমেরিকা পড়াশোনা করতে যাওয়ার জন্য অবশ্যই প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ভিসা প্রক্রিয়ার সম্পর্কে সঠিকভাবে জানাটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগবে এবং কিভাবে আপনি সেই সময়ে প্রস্তুতি নিবেন।

এছাড়া ভিসা পাওয়ার জন্য কোন সহজ প্রক্রিয়া অবলম্বন করা যায় এসব বিষয় নিয়ে অনেক শিক্ষার্থীর মনে বিভিন্ন ধরনের চিন্তা চেতনা ও দ্বিধা থাকে। অনেক সময় দেখা যায় যে, স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সময় গুলো বিভিন্ন উপাদানের উপর নির্ভরশীল যেমন আবেদন পত্রের সঠিকতা, কনস্যুলেটরের ব্যস্ততা, এমনকি আপনার সাক্ষাৎকারের সময় 

অতিরিক্ত নথিপত্র বা ডকুমেন্ট প্রয়োজনীয়তা। তবে (F-1) স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার পর সাধারণত ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে ভিসা পাওয়া যায়। কিন্তু কনসুলেটরের জমা দেওয়ার আবেদনের পত্র এবং সাক্ষাৎকারের তারিখের উপর নির্ভর করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিসা পাওয়ার সময়সীমা বেশি হতে পারে। অর্থাৎ যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা আমেরিকায় পড়াশোনা

করতে যেতে চান তাদের উচিত আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার পূর্বে সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো প্রস্তুত করে রাখা। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা এবং ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে এই সমস্ত বিষয়বস্তু সম্পর্কে নিচে সঠিকভাবে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলো।


আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার সময়সীমার প্রক্রিয়া
  • সর্বপ্রথমে আপনাকে অবশ্যই আমেরিকায় যেকোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে হবে। আর ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপনাকে I-20 ফর্ম প্রদান করা হবে যেটি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফর্ম। তবে স্টুডেন্ট ভিসার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে ২-৪ সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে।
  • এছাড়া আপনি I-20 ফর্ম পাওয়ার পর আপনাকে আবার DS-160 ফর্ম যথাযথ ভাবে পূরণ করতে হবে। এছাড়াও ভিসা আবেদনের জন্য ফি জমা দিতে হবে আর এ কাজটি অনলাইনে মাধ্যমে করা যায়। তবে ফরম পূরণের ১-২ দিন সময় লাগে এরপর আপনাকে একটি সিডিউল অনুযায়ী কনসুলেটর ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকা হবে।
  • এরপর আপনার সিডিউল অনুযায়ী ইন্টারভিউ সাক্ষাৎকার শেষে যদি আপনার সমস্ত ডকুমেন্ট নথিপত্র গুলো ঠিক থাকে তাহলে আপনার ভিসা অনুমোদন হতে পারে। বিশেষ করে ভিসা অনুমোদনের প্রক্রিয়া সাধারণত ৭-১০ সময় লাগে এছাড়াও কখনো কখনো ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হতে পারে বিশেষ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডকুমেন্ট প্রয়োজন কিংবা আপনার নিরাপত্তা চেকের জন্য।
  • সম্পূর্ণভাবে আপনার বিষয়ে অনুমোদন হয়ে গেলে আপনার পাসপোর্ট স্ট্যাম্প করা ভিসা পাঠানো হবে। আর এটি পেতে আপনাকে ৫-৭ ৭ দিন সময় লাগতে পারে এরপর আপনি আমেরিকা ভ্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন।

তাই উপরের প্রক্রিয়া দেখা অনুযায়ী আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার সময়সীমা সাধারণত ৬-৮ সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে থাকে। তবে কখনো কখনো আবেদনের প্রক্রিয়া, কনসিলেটরের সময়সূচী ইত্যাদি বিষয়বস্তু উপর নির্ভর করে এর সময়সীমা ভিন্ন হতে পারে। তবে আপনি যদি সঠিকভাবে প্রস্তুতি এবং মেনে চলেন তাহলে আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য সহজ হবে।

আমেরিকায় পিএইচডি করতে কত বছর লাগে?

আমেরিকায় পিএইচডি করতে অনেক শিক্ষার্থীর মনে বিভিন্ন ধরনের স্বপ্ন থেকে থাকে। কারণ আমেরিকা পিএইচডি হল এমন একটি শিক্ষার স্তর যেটাকে উচ্চতর শিক্ষার অন্যতম শীর্ষস্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অর্থাৎ এই পিএইচডি শিক্ষা অর্জন করা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অর্জনই নয় বরং এটি আপনার পেশাগত দিক থেকে বিশ্বব্যাপীর কাছে নতুন সুযোগের দুয়ার উন্মুক্ত করে দেয়। কিন্তু বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী জানে না যে,পি এইচ ডি শিক্ষা অর্জনের সময়সীমা এবং এটি কিভাবে নির্ধারিত হয় ও কতটা সময় নিতে পারে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে পিএইচডি শিক্ষা স্তরকে একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে যেখানে গবেষণার জন্য থিসিস লেখা সহ একাডেমির মান উন্নয়ন করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আমেরিকার পিএইচডি শিক্ষা স্তরে অর্জন করতে সাধারণত সময়কাল ৫-৭ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় বিভিন্ন বিষয়বস্তু ও ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। অর্থাৎ আপনি কোন বিষয়ে গবেষণা করছেন কিংবা আপনার থিসিসের কাজের ধরনটা কতটা জটিল এমনকি আপনার একাডেমী প্রস্তুতি কতটা ভালো এসব বিষয়ে বস্তুর উপর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আসুন আমরা এক নজরে জেনে নিই আমেরিকার পিএইচডি করতে কত বছর সময় লাগে এবং কি কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়।


প্রথমে ২-৩ বছর মেয়াদী
  • সর্ব প্রথমে আপনাকে ২-৩ তিন বছর সাধারণত , কোর্স ওয়ার্ক এবং একাডেমি ক্লাসের জন্য বরাদ্দ থাকে। তবে এই সময়ে মধ্যে আপনাকে সেই সমস্ত বিষয়বস্তুর উপরে গভীরভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে এমনকি বিভিন্ন ধরনের সেমিনারি অংশগ্রহণ করতে হবে। গবেষণার জন্য প্রাথমিক বিভিন্ন ধরনের দিকগুলো সম্পর্কে সঠিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
পরবর্তী ৩-৪ বছর মেয়াদী
  • পিএইচডি শিক্ষা প্রোগ্রামের পরবর্তী অংশের ধাপটি হলো গবেষণা এবং থিসিস লেখার জন্য তবে এই সময়কাল আপনার গবেষণা ক্ষেত্রে রুপের বিশেষভাবে নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। কেননা আপনার গবেষণা যদি খুব জটিল না হয় তাহলে এর প্রক্রিয়াটি দ্রুত হতে পারে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা প্রয়োজন হতে পারে যার মাধ্যমে আপনার পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের নির্ধারণ করে।

অর্থাৎ পরিশেষে বলা যায় যে পিএইচডি ডিগ্রি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার যাত্রা আর এই পিএইচডি আমেরিকায় সম্পন্ন করতে ৫-৭ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। মনে রাখবেন পিএইচডি শুধু একটি ডিগ্রী নয় বরং এটি আপনার জীবনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করার একটি সুযোগক্ষেত্র।

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার দাম কত?

বর্তমান সময়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে বরাবরের মতো যুক্তরাষ্ট্রকে উচ্চ শিক্ষার জনপ্রিয় একটি গন্তব্যের স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার সুযোগ এবং বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনী গবেষণা করার সুযোগ থাকার কারণে প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে পড়াশোনা করার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠে। কিন্তু এই যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করার জন্য একজন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ হলো তার স্টুডেন্ট ভিসা। আর এই স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়ার সঠিক তথ্য এবং খরচ সম্পর্কে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের একান্ত ভাবে জানা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাতে চাই আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার দাম কত? এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তাই সঠিক তথ্য জানতে হয় আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।


F-1 একাডেমিক স্টুডেন্ট ভিসা
  • এই একাডেমিক স্টুডেন্ট ভিসাটি সাধারণত আমেরিকায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে একাডেমী প্রতিষ্ঠানে পড়ার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এই ভিসাটির SEVIS ফি প্রায় $350 ডলারের মত বাংলাদেশের টাকায় ৩৯০০০ টাকা। এছাড়াও DS-160 ভিসাটির ফি প্রায় $185 ডলারের মত যা বাংলাদেশের টাকায় ২০,৬০০ টাকার মতো। এমনকি এই ভিসা পাওয়ার জন্য উপযুক্ত শর্ত সমূহ পালন করতে হবে বিশেষ করে এই ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে উপযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি এবং আর্থিক সামর্থ্য প্রমাণ থাকা জরুরী।
M-1 ভোকেশনাল স্টুডেন্ট ভিসা
  • এই কারিগরি এবং পেশাগত কোর্স করার জন্য ভোকেশনাল স্টুডেন্ট ভিসাটি ব্যবহার করা হয়। তবে এই ভিসাটির SEVIS ফি প্রায় $350 ডলারের মত বাংলাদেশের টাকায় ৩৯০০০ টাকা। এছাড়াও DS-160 ভিসাটির ফি প্রায় $185 ডলারের মত যা বাংলাদেশের টাকায় ২০,৬০০ টাকার মতো।

J-1 ভিসা
  • এটি সাধারণত শিক্ষা গবেষণা এবং বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য দেয়া হয়ে থাকে। তবে এই ভিসার জন্য SEVIS ফি প্রায় $220 ডলারের মত যা বাংলাদেশের টাকায় ২৪,৫০০ টাকার মতো এছাড়াও ভিসা আবেদনের ফি প্রায় $185 ডলারের মত যা বাংলাদেশের টাকায় ২০,৬০০ টাকার মত।

স্বাস্থ্য বীমা
  • বর্তমানে আমেরিকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য  বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য বীমা বাধ্যতামূলক। আর এই বীমা গুলো প্রায় $500 - $2000 ডলার পর্যন্ত হতে পারে যা বাংলাদেশের আনুমানিক টাকায় পরিমাণ ৫৫,০০০ - ২,২০,০০০ টাকার মত।

লেখকের শেষ কথাঃ আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা শুধুমাত্র একাডেমী দক্ষতার উপর নির্ভর করে না। বরং আপনার আর্থিক সামর্থ্য ডকুমেন্টেশনের যথার্থতা সহ আপনার ভিসা ইন্টারভিউ সফলতা নির্ধারণ করে। কিন্তু একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে আপনাকে শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির চিঠি পেলে হবে না বরং আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত পড়াশুনার 

সঠিক পরিকল্পনা এবং ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট সকল কিছু বিষয়ে ধারণা থাকা। তবে সর্বদা মনে রাখা জরুরি সঠিক প্রস্তুতি এবং প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে আপনি আমেরিকান পড়াশোনা স্বপ্ন সহজে বাস্তবায়ন করতে পারবেন। আর এই জন্য আপনার যোগ্যতা স্বপ্ন এবং অধ্যবসায় এর মাধ্যমে আপনার গন্তব্যের পথ চলা দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন। 

কাজেই ধৈর্য ধরো এবং ইতিবাচক মানসিক নিয়ে আপনার লক্ষ্যে অর্জনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। আজকের এই পোস্টটি আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন করে থাকেন, তাহলে আপনার অবশ্যই আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন এছাড়াও আজকের লেখা এই পোস্টটি পড়ে আপনারা যদি সঠিক

তথ্য পেয়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুদের সাথে এই বিষয় নিয়ে বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। কেননা আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন নিত্য নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে। এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url